অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য পুলিশ ‘ক্ষমা’ চাইবে, জানালেন ফাওজুল কবির

: চলনবিলের সময় ডেস্ক
প্রকাশ: ২ মাস আগে

5

প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য পুলিশ প্রতিনিধি ক্ষমা চাইবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান। তিনি বলেছেন, ‘কথায় কথায় যমুনা অভিমুখে যাত্রা অনভিপ্রেত। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যা ঘটেছে তা অনাকাঙ্ক্ষিত। এর জন্য ক্ষমা চাইবে পুলিশের প্রতিনিধি।

বুধবার (২৭ আগস্ট) সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ রাজধানীর রেলভবনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দুই উপদেষ্টার এ বৈঠক শুরু হয়। প্রায় ১ ঘণ্টার বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

ফাওজুল কবির খান বলেন, ‘প্রকৌশল পেশায় বিএসসি ডিগ্রিধারীদের দাবির যৌক্তিকতা যাচাই ও সুপারিশ প্রণয়নের জন্য সরকারের গঠিত কমিটির বাকি পাঁচ সদস্যকে নিয়ে বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) আবারও বৈঠক হবে।

এদিকে দাবি না মানা পর্যন্ত শাহবাগে অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন প্রকৌশল শিক্ষার্থীরা। বুধবার বিকেল সাড়ে ৫টায় হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে নতুন এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাচ ২০-এর শিক্ষার্থী জুবায়ের আহমেদ।

জুবায়ের আহমেদ বলেন, প্রকৌশল অধিকার আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের ওপর ন্যক্কারজনক হামলার প্রতিবাদে আমাদের ৫ দফা দাবি উপস্থাপন করছি।

দাবিগুলো হলো, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীকে আন্দোলনকারীদের সামনে উপস্থিত হয়ে এ ঘটনার জন্য ক্ষমা চাইতে হবে এবং জবাবদিহি করতে হবে। তিনি বলেন, ‘প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ইতোমধ্যে গঠিত কমিটিকে আমরা আমাদের প্রতিনিধিত্বের অনুপযুক্ত মনে করি। ওই কমিটিকে আমরা প্রত্যাখ্যান করলাম। অনতিবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক প্রতিনিধিসহ প্রকৌশল অধিকার আন্দোলনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে নিয়ে কমিটির সংস্কার করে উত্থাপিত তিন দফা দাবিকে দ্রুত সময়ের মধ্যে মেনে নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে।

এ মর্মে সংশ্লিষ্ট ৩ উপদেষ্টা ফাওজুল করিম খান, আদিলুর রহমান ও সৈয়দা রেজোয়ানা হাসানকে আজকে এসে এর নিশ্চয়তা প্রদান করতে হবে বলেও জানান তিনি। এ ছাড়া হামলায় আহত সব শিক্ষার্থীর চিকিৎসার ব্যয়ভার সরকারকে বহন করতে হবে এবং আন্দোলন চলাকালে সব শিক্ষার্থীর সুরক্ষা নিশ্চিত করার কথাও জানানো হয়েছে।

জুবায়ের আহমেদ বলেন, পুলিশ দিয়ে এ আন্দোলনে আর কোনো প্রকার হামলা করা যাবে না। সাবেক বুয়েট শিক্ষার্থী রোকনের ওপর হামলাকারীদের অনতিবিলম্বে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে হবে এবং চাকরি থেকে বহিষ্কার করতে হবে। যেসব পুলিশ এই ন্যক্কারজনক হামলার সঙ্গে জড়িত তাদের বহিষ্কার করতে হবে। আমাদের দাবিগুলো মেনে নেওয়া না হলে আমরা কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য থাকব।