মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ওরেগনের পোর্টল্যান্ডে অভিবাসন ও শুল্ক কার্যকর কেন্দ্র (আইসিই) সুরক্ষায় সেনা মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, ‘দেশি সন্ত্রাসীদের’ হাত থেকে কেন্দ্রগুলোকে রক্ষা করতে প্রয়োজন হলে পূর্ণশক্তি ব্যবহার করা হবে। খবর রয়টার্সের।
ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, পোর্টল্যান্ডের আইসিই কেন্দ্রগুলোতে অ্যান্টিফা ও অন্য সন্ত্রাসীদের হামলা রোধে প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে প্রয়োজনীয় সেনা সরবরাহের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে পোর্টল্যান্ডের মেয়র কিথ উইলসন এবং অন্যান্য স্থানীয় কর্মকর্তা দাবি করেছেন, শহরে কোনো অরাজকতা বা সহিংসতা নেই, তাই সেনা মোতায়েনের প্রয়োজন নেই।
শনিবার ওরেগনের ডেমোক্র্যাট গভর্নর টিনা কোটেকও সেনা মোতায়েনের প্রয়োজন অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, জাতীয় নিরাপত্তার জন্য কোনো হুমকি নেই, তাই বড় শহরগুলোতে সেনার দরকার নেই। আমি আশা করি প্রেসিডেন্ট বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করবেন।
ডেমোক্র্যাটরা সেনা মোতায়েনকে সমালোচনা করলেও অনেক রিপাবলিকান কর্মকর্তা এটিকে সমর্থন করেছেন। মার্কিন শ্রমমন্ত্রী লরি চাভেজ-ডিরেমার বলেছেন, আইসিই কেন্দ্রগুলো সুরক্ষিত রাখা গুরুত্বপূর্ণ এবং ট্রাম্পের পদক্ষেপ প্রয়োজনীয়।
পোর্টল্যান্ডে এ বছরের প্রথম ছয় মাসে সহিংস অপরাধের পরিমাণ অনেক কমেছে। তথ্যে দেখা গেছে, ১৭টি হত্যাকাণ্ড হয়েছে, যা গত বছরের একই সময়ে হত্যার তুলনায় ৫১% কম।
যদিও ট্রাম্পের নির্দেশে কীভাবে সেনা মোতায়েন করা হবে এবং ‘পূর্ণ শক্তি’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। এ বছরের জুন থেকে পোর্টল্যান্ডের আইসিই কেন্দ্রগুলো ঘিরে একের পর এক বিক্ষোভ হয়েছে, যেখানে কিছু সংঘাতে পুলিশকে কাঁদুনে গ্যাস ছোড়া এবং গ্রেপ্তারের ঘটনা ঘটেছে। ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ২৬ জনের বিরুদ্ধে অগ্নিসংযোগ, পুলিশ আক্রমণ ও অন্যান্য অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ লুৎফর রহমান হীরা
হেড অফিসঃ ১/ জি,আদর্শ ছায়ানীড়, রিংরোড, শ্যামলী, আদাবর ঢাকা - ১২০৭।
স্বত্ব © ২০২৫ চলনবিলের সময়