
অসময়ের প্রবল বৃষ্টিতে জয়পুরহাটে আমন ধান, আগাম আলু, পেঁয়াজ ও সবজি ফসল ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে। মাঠে আমন ধান পাকতে শুরু করেছে। আগাম জাতের লাগানো ধান কাটতে শুরু করেছেন কোনো কোনো কৃষক। ধান কেটে কেউ কেউ জমিতে আগাম জাতের আলু ও পেঁয়াজ বীজ রোপণ করেছেন। বৃষ্টিতে পাকা ধান জমিতে নুয়ে পড়ে পানিতে ভাসছে। কৃষকরা বলছেন, যে ধান পেকেছে ওই ধান দ্রুত কেটে ঘরে তুলতে না পারলে প্রচুর ক্ষতি হবে তাদের।
জয়পুরহাটে গত ২৪ ঘণ্টায় ৬৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) সন্ধ্যা থেকে থেমে থেমে ব্যাপক বৃষ্টি হওয়ায় জেলায় আমন ধান, আগাম জাতের লাগানো আলু বীজ, পেঁয়াজ ও সবজির জমিতে বৃষ্টির পানি জমে ফসলের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।
সদর উপজেলার ধারকি গ্রামের মশিউর রহমান জানান, তিনি ২ বিঘা জমিতে আমন ধান আবাদ করেছেন। ধান পেকেছে। চলতি সপ্তাহে ধান কাটার জন্য মজুরও ঠিক করেছেন। শুক্রবার রাতে প্রচণ্ড বৃষ্টি হওয়ায় জমিতে ধান গাছ হেলে পড়ে পানিতে ভাসছে। দ্রুত ধান কাটতে না পারলে পানিতে নষ্ট হবে।
ধারকি ফকিরপাড়া গ্রামের কৃষক আব্দুল বাকী জানান, তিনি ৪৫ হাজার টাকা খরচ করে ২ বিঘা জমিতে আলু বীজ রোপন করেন। শুক্রবার রাতে ব্যাপক বৃষ্টি হওয়ায় জমিতে পানি জমেছে। আলু বীজ পচে নষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় রয়েছেন তিনি।
ক্ষেতলাল উপজেলার মহব্বতপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল মজিদ জানান, তিনি দেড় বিঘা ভিটা মাটিতে পেঁয়াজ বীজ রোপণ করেন। পেঁয়াজ বীজ পচে যাবে। পেঁয়াজ বীজ কিনেছিলেন ৩ হাজার টাকা মণ দরে। অসময়ের এই বৃষ্টিতে অনেক ক্ষতির মুখে পড়তে হবে তাকে।
জয়পুরহাট জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৬৪ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। চলতি বছর জেলায় ৭০ হাজার ৯৫ হেক্টর জমিতে আমন চাষ হয়েছে।
জয়পুরহাট জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সাদিকুল ইসলাম জানান, অসময়ের বৃষ্টিতে ধানসহ কিছু ফসলের ক্ষতি হয়েছে। কী পরিমাণ ক্ষতি তা নিরূপণের কাজ চলছে। মাঠপর্যায়ের কাজ শেষে তা জানা যাবে।