ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটিরকম্পিউটার ফ্যাকাল্টির নতুন ডিন ড. সৈয়দ আখতার

: চলনবিলের সময় ডেস্ক
প্রকাশ: ২ মাস আগে

2

ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটির ফ্যাকাল্টি অব কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ডিজিটাল ইনোভেশনের (এফসিএসডিআই) ডিন হিসেবে যোগ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন কম্পিউটার বিজ্ঞানী ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) খাতের অগ্রদূত অধ্যাপক ড. সৈয়দ আখতার হোসেন।

সোমবার (০১ সেপ্টেম্বর) আনুষ্ঠানিকভাবে তিনি ডিন হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

অধ্যাপক ড. হোসেনকে স্বাগত জানান ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ ক্যাম্পাসের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. শাহ সামিউর রশিদ, ডেপুটি রেজিস্ট্রার সৈয়দ লুবাব রাহমান, এফসিএসডিআইর ফ্যাকাল্টি এইচএম মোস্তাফিজুর রহমান, নিয়াজ মাখদুম এবং শিক্ষার্থী প্রতিনিধিরা।

শিক্ষা, গবেষণা এবং উদ্ভাবনে কয়েক দশকের সমৃদ্ধ অভিজ্ঞতা নিয়ে অধ্যাপক হোসেন বাংলাদেশে প্রযুক্তি শিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। ইউসিএসআইতে যোগদানের পূর্বে তিনি ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ফ্যাকাল্টি অব সায়েন্স অ্যান্ড ইনফরমেশন টেকনোলজির (এফএসআইটি) ডিন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, এজেন্টিক এআই এবং ন্যাচারাল ল্যাঙ্গুয়েজ প্রসেসিংয়ে তার অবদান আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। গবেষণা ও একাডেমিক প্রকাশনায় তিনি অত্যন্ত সমৃদ্ধ। বই, গবেষণা নিবন্ধ, জার্নাল ও কনফারেন্স পেপার মিলিয়ে তার ২৫০টিরও বেশি প্রকাশনা রয়েছে। গুগল স্কলার অনুসারে তার সাইটেশন সংখ্যা ৩ হাজারের বেশি।

অধ্যাপক হোসেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী। তিনি ফ্রান্সের লুমিয়ের লিওঁ বিশ্ববিদ্যালয়ে পোস্ট-ডক্টরাল সম্পন্ন করেন এবং সুইডেনের লিনেউস বিশ্ববিদ্যালয়ে মর্যাদাপূর্ণ একাডেমিক ফেলোশিপ অর্জন করেন। তার উল্লেখযোগ্য উদ্ভাবনের মধ্যে অন্যতম হলো বাংলা-২ ব্রেইল মেশিন, যা বাংলাদেশের দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে। এজন্য তিনি ডিজিটাল ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ড (২০১১), ন্যাশনাল আইসিটি অ্যাওয়ার্ড (২০১৬) এবং সিএসও-এশিয়া বেস্ট প্রফেসর ইন আইটি অ্যাওয়ার্ড (২০১২) অর্জন করেন।

এছাড়াও তিনি এডি সায়েন্টিফিক ইনডেক্স থেকে টপ রিসার্চার অ্যাওয়ার্ড এবং ২০২২ সালে ৪২তম আইসিপিসি ওয়ার্ল্ড ফাইনালসে ‘এসিএম ডি-বালসি’ অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেন।

অধ্যাপক ড. সৈয়দ আখতার হোসেন তার উদ্ভাবনী গবেষণা, একাডেমিক নেতৃত্ব এবং অঙ্গীকারের মাধ্যমে নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থী ও গবেষকদের অনুপ্রাণিত করে চলেছেন।