কাঁচা নাকি পাকা পেঁপে, কোনটি ভালো জেনে নিন

: চলনবিলের সময় ডেস্ক
প্রকাশ: ৩ সপ্তাহ আগে

5

পেঁপে আমাদের প্রতিদিনের খাবারের পরিচিত ফল। গরমের দিনে ঠান্ডা পেঁপে, নাশতার সঙ্গে পেঁপে কিংবা সালাদ ও স্মুদি- সব জায়গায় এর ব্যবহার দেখা যায়। মিষ্টি স্বাদ, হজম সহজ করা এবং পুষ্টিগুণের কারণে অনেকেই এটিকে ‘প্রাকৃতিক ওষুধ’ মনে করেন। পেঁপেতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, সি, ই, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং পাচক এনজাইম পাপেইন থাকে। এগুলো হজম শক্তি বাড়ায়, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করে এবং ত্বক রাখে উজ্জ্বল।

পেঁপের কথা সামনে এলেই অনেকে জানতে চান, ‘কাঁচা নাকি পাকা পেঁপে খাবেন তারা? কোনটি কাদের জন্য উপকারী?’

এ প্রসঙ্গে দিনাজপুরের রাইয়ান হেলথ কেয়ার হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারের পুষ্টিবিদ লিনা আক্তার তার প্রকাশিত একটি নিবন্ধে বিস্তারিত জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, কাঁচা পেঁপেতে এনজাইম প্যাপাইন ও ভিটামিন সি বেশি, অপর দিকে পাকা পেঁপেতে বিটা ক্যারোটিন ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বেশি। কাঁচা পেঁপে হজমশক্তির জন্য বেশি ভালো, পাকা পেঁপেতে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বেশি বলে ত্বকের জন্য ভালো। কাঁচা পেঁপেতে ক্যালরির পরিমাণ কম, পাকা পেঁপেতে ক্যালরি একটু বেশি। যাদের ডায়াবেটিস ও ওজন বেশি, তাদের জন্য পাকা পেঁপের চেয়ে কাঁচা পেঁপে ভালো।

কীভাবে খাবেন, কারা খাবেন না

লিনার ভাষায়, কাঁচা পেঁপে সবজি হিসেবে রান্না করে খেতে পারেন। মাংস নরম করার জন্য রান্নায় ব্যবহার করা হয়। কারণ, এর এনজাইম মাংস গলতে সাহায্য করে। সালাদ হিসেবে খাওয়া যায়। আচার করেও অনেকে খেয়ে থাকেন।

তবে পাঁচ ধরনের ব্যক্তির কাঁচা পেঁপে না খাওয়া ভালো জানিয়ে এই পুষ্টিবিদ বলেন, কাঁচা পেঁপে গর্ভাবস্থায় অসময়ে জরায়ু সংকোচন শুরু করে দিতে পারে। তাই এ সময় এটি এড়িয়ে চলা ভালো। যাদের হৃৎস্পন্দনজনিত সমস্যা আছে, তারাও এড়িয়ে চলবেন।

তিনি আরও বলেন, কাঁচা পেঁপে কারও কারও ক্ষেত্রে তীব্র অ্যালার্জি সৃষ্টি করতে পারে। যাদের হাইপোথাইরয়েডিজম আছে, তারা বেশি পরিমাণে খেলে আয়োডিন শোষণে সমস্যা দেখা দিতে পারে। কিডনিতে পাথর রয়েছে এমন রোগীর বেশি পরিমাণে না খাওয়া উচিত।