চলনবিল অঞ্চলের নদনদীতে অবৈধভাবে স্থাপিত সোঁতীবাধের কারণে প্রতিবছর বিলাঞ্চলের দেশীয় প্রজাতির মাছ ও জলজ প্রাণীর মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। বহু বছর ধরে প্রভাবশালী মহলের আশ্রয়ে এসব অবৈধ কর্মকাণ্ড চললেও এবার কঠোর অবস্থানে নেমেছে প্রশাসন।
চাটমোহর উপজেলা প্রশাসন ও মৎস্য দপ্তরের যৌথ উদ্যোগে অবৈধ সোঁতীবাধ উচ্ছেদে ধারাবাহিক অভিযান চলছে। এর অংশ হিসেবে বুধবার (২২ অক্টোবর) সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত দিনব্যাপী অভিযানে পাঁচটি সোঁতীবাধ অপসারণ করা হয়।
চাটমোহর উপজেলার বিলচলন ইউনিয়নের খলিশাগাড়ি বিল, কিনু সরকারের জোলা, নিমাইচড়া ইউনিয়নের ধরমগাছা ও কাটা গান এলাকায় এসব অবৈধ বাধ অপসারণ করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালতের নেতৃত্ব দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুসা নাসের চৌধুরী।
চাটমোহর সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আব্দুল মতিন জানান, “পানি প্রবাহে বাধা সৃষ্টি করে স্থানীয় জেলেরা ও কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি এসব সোঁতীবাধ স্থাপন করেছিল। আমরা নিয়মিতভাবে অভিযান পরিচালনা করছি। আজকের অভিযানে পাঁচটি বাধ সম্পূর্ণভাবে অপসারণ করা হয়েছে।”
তবে একই সঙ্গে নতুন করে ডিবিগ্রাম ইউনিয়নের পাচুরিয়া চিকনাই নদীর কালীবাড়ি পয়েন্টে বড়দহ ঘাট এলাকায় জাকের সরদার গং অবৈধভাবে নতুন সোঁতীবাধ স্থাপন করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে পানির স্বাভাবিক প্রবাহ ব্যাহত হওয়া ছাড়াও ছোট মাছ নিধনের ঘটনা ঘটছে বলে স্থানীয়রা জানান। তারা দ্রুত ওই বাধ অপসারণ ও দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুসা নাসের চৌধুরী বলেন, “চলনবিল অঞ্চলের পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। কোনোভাবেই অবৈধ সোঁতীবাধ স্থাপন করতে দেওয়া হবে না।”
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ লুৎফর রহমান হীরা
হেড অফিসঃ ১/ জি,আদর্শ ছায়ানীড়, রিংরোড, শ্যামলী, আদাবর ঢাকা - ১২০৭।
স্বত্ব © ২০২৫ চলনবিলের সময়