
জিয়া সাংস্কৃতিক সংগঠন (জিসাস) কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির বিরুদ্ধে কমিটি গঠন ও বিলুপ্তির নামে অর্থ লেনদেনের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। সংগঠনের সভাপতি গুলনাহার ইভা, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, সহ-সভাপতি আরমান মণ্ডল, সিয়ামসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে যে, তারা বিভিন্ন জেলায় কমিটি গঠনের নামে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন।
অভিযোগে জানা যায়, ২০২৫ সালের ৩০ অক্টোবর তারিখে কোনো সাংগঠনিক নিয়ম বা পূর্ব সতর্কতা ছাড়াই বগুড়া জেলা কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়, যেখানে জেলা কমিটির সভাপতি আনোয়ার হোসেন আপেল ব্যক্তিগত কারণে সিদ্ধান্ত নিলেও অন্য সদস্যরা বিষয়টি সম্পর্কে অবগত ছিলেন না। পরবর্তীতে ১৬ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে নতুন কমিটি গঠনের সময় অর্থের বিনিময়ে পদবন্টনের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগকারীদের দাবি—কমিটির গুরুত্বপূর্ণ পদে স্থান পেয়েছেন সহ-সভাপতি আরমান মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিরা, অথচ যারা দলীয় কর্মকাণ্ডে সক্রিয় ছিলেন ও আর্থিক সহযোগিতা দিতে পারেননি, তাদের বাদ দেওয়া হয়েছে। অভিযোগকারীরা আরও জানান, জিয়াউর রহমানের নাম ব্যবহার করে সংগঠনের এই কর্মকাণ্ড বিএনপির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করছে এবং দলের প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা নষ্ট করছে।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে বিএনপির তৃণমূল নেতাকর্মীরা বিষয়টির সুষ্ঠু তদন্ত ও যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।