“ত্রৈমাসিক চলনবিলের সময়” নামটি কেন বেছে নেওয়া হয়েছে তার পেছনে কয়েকটি ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপট আছে। আপনাদের প্রশ্ন অনুযায়ী সম্পাদক ও প্রকাশক বিশ্লেষণ করে ব্যাখ্যা করছেন:
১. নামের মূল ভাবনা
“চলনবিল”: ভৌগোলিক ও সাংস্কৃতিক পরিচয়ের জন্য ব্যবহার করা হয়েছে। বাংলাদেশের বৃহত্তম বিল অঞ্চল চলনবিলকে কেন্দ্র করে পত্রিকাটি প্রকাশিত হয়। তাই স্থানীয় মানুষের মাটির টান ও পরিচয় তুলে ধরতে “চলনবিল” শব্দটি নামের মূল অংশ।
“সময়”: সময় মানে যুগ বা বর্তমানকাল। এই শব্দটি ব্যবহার করে বোঝানো হয়েছে যে চলনবিল অঞ্চলের সময়ের খবর, সংস্কৃতি, সমস্যা-সমাধান ও চলমান ঘটনাগুলোকে এই পত্রিকা লিপিবদ্ধ করবে।
২🔹 শ্লোগান: “সময়-এর প্রতিচ্ছবি”
নামের সঙ্গে মিলিয়ে শ্লোগান বেছে নেওয়া হয়েছে।
এতে বোঝানো হয়েছে—এই পত্রিকা কেবল খবর প্রকাশ করবে না, বরং চলনবিল অঞ্চলের সময়ের প্রতিচ্ছবি বা আয়না হয়ে কাজ করবে।
অর্থাৎ, পাঠক যখন পত্রিকাটি পড়বেন, তখন যেন বুঝতে পারেন সেই সময়ের সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক বাস্তবতা কী ছিল।
৩. কেনো “সময়”, অন্য নাম নয়?
“চলনবিলের কণ্ঠ” বা “চলনবিলের কথা” নামগুলোতেও স্থানীয়তার ছাপ আছে, তবে সেগুলো কেবল বক্তব্য বা কণ্ঠস্বরের প্রতীকী রূপ বহন করে।
“সময়” শব্দটি কেবল বক্তব্য নয়, বরং ইতিহাসকে সংরক্ষণ, সময়কে সাক্ষী করা এবং চলমান প্রজন্মকে জানানোর প্রতীক।
সম্পাদক ও প্রকাশক চেয়েছেন, পত্রিকাটি যেন শুধু খবরের কাগজ না হয়ে একটি আর্কাইভ বা সময়ের দলিল হয়ে থাকে। এজন্য “সময়” শব্দকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।
৪. “ত্রৈমাসিক” কেনো?
ত্রৈমাসিক অর্থ বছরে ৪ বার প্রকাশ।
স্থানীয়ভাবে নিয়মিত সাপ্তাহিক বা দৈনিক পত্রিকা প্রকাশে সীমাবদ্ধতা থাকায় ত্রৈমাসিক প্রকাশের মাধ্যমে ধীরে-সুস্থে তথ্য, গবেষণা, ইতিহাস, সাহিত্য সবকিছু সংরক্ষণের সুযোগ থাকে।
তাই নামের আগে “ত্রৈমাসিক” শব্দ যোগ করে এটি অন্য দৈনিক বা সাপ্তাহিক থেকে আলাদা করা হয়েছে।
৫. সারসংক্ষেপ
👉 “চলনবিলের কণ্ঠ” বা “চলনবিলের কথা”র মতো নামগুলো অঞ্চলকে কেবল কণ্ঠস্বর দেয়, কিন্তু “চলনবিলের সময়” নামটি অঞ্চলকে একটি সময়ের প্রতিচ্ছবি ও দলিল হিসেবে উপস্থাপন করে। তাই এ নামটি বেছে নেওয়া হয়েছে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ লুৎফর রহমান হীরা
হেড অফিসঃ ১/ জি,আদর্শ ছায়ানীড়, রিংরোড, শ্যামলী, আদাবর ঢাকা - ১২০৭।
স্বত্ব © ২০২৫ চলনবিলের সময়