 
     আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে অষ্টমী, নবমী ও দশমী— এই তিন দিন সরকারি ছুটির দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট। শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘দুর্গাপূজায় নিরাপত্তা ও হিন্দু সম্প্রদায়ের ভাবনা’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় এই দাবি উত্থাপন করা হয়।
আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে অষ্টমী, নবমী ও দশমী— এই তিন দিন সরকারি ছুটির দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট। শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘দুর্গাপূজায় নিরাপত্তা ও হিন্দু সম্প্রদায়ের ভাবনা’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় এই দাবি উত্থাপন করা হয়।
গোলটেবিল আলোচনায় মহাজোটের (একাংশ) মুখপাত্র ও নির্বাহী মহাসচিব পলাশ কান্তি দে লিখিত বক্তব্যে জানান, হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা পাঁচ দিনব্যাপী হলেও বর্তমানে মাত্র দুদিন সরকারি ছুটি থাকে। এর ফলে অনেকেই পরিবার-পরিজনের সঙ্গে পূজার আনন্দ উপভোগ করতে পারেন না এবং ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পালনে সমস্যা হয়।
তিনি সরকারের কাছে অবিলম্বে তিন দিনের ছুটির ব্যবস্থা করার অনুরোধ জানান।
পূজা ঘিরে সাম্প্রদায়িক হামলার ঝুঁকি রয়েছে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেন পলাশ কান্তি দে। তিনি বলেন, বিগত বছরগুলোতে পূজার আগে ও পরে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। ইতোমধ্যে চারটি জেলায় প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে আসায় এবার পূজামণ্ডপ ও হিন্দু সম্প্রদায়ের স্থাপনা সাম্প্রদায়িক শক্তির লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হতে পারে।
মহাজোটের পক্ষ থেকে পূজার সময় দেশব্যাপী নিরাপত্তা জোরদার এবং প্রতিটি স্থায়ী ও অস্থায়ী মন্দিরে সরকারের খরচে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনের দাবি জানানো হয়েছে।
হিন্দু মহাজোটের প্রধান দাবিগুলো :
তিন দিনের ছুটি : দুর্গাপূজার অষ্টমী, নবমী ও দশমী– এই তিন দিন সরকারি ছুটি ঘোষণা করতে হবে।
সিসিটিভি ও নিরাপত্তা : প্রতিটি মন্দিরে সরকারি খরচে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন এবং পূজার ১০ দিন আগে থেকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে।
সেনাবাহিনীর টহল : গত বছরের মতো এবারও দুর্গাপূজায় দেশজুড়ে সেনাবাহিনীর টহল নিশ্চিত করতে হবে।
মনিটরিং সেল : দুর্গাপূজার নিরাপত্তা তদারকির জন্য একটি কেন্দ্রীয় মনিটরিং সেল গঠন করতে হবে।
গোলটেবিল আলোচনায় বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আসলাম চৌধুরী, গণফোরামের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি বাসুদেব ধর, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মনীন্দ্র কুমার নাথসহ অন্য গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর সহিংসতা এবং এসব ঘটনার বিচারহীনতার সংস্কৃতির তীব্র নিন্দা জানান।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ লুৎফর রহমান হীরা
হেড অফিসঃ ১/ জি,আদর্শ ছায়ানীড়, রিংরোড, শ্যামলী, আদাবর ঢাকা - ১২০৭।
স্বত্ব © ২০২৫ চলনবিলের সময়