পাবনা জেলার প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ, ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক ইদ্রিস আলী বিশ্বাস আর নেই। শনিবার সকাল ৬টায় ঢাকার ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর।
ইদ্রিস আলী বিশ্বাস পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ছিলেন। তিনি পৌরসভার গোপালপুর মহল্লার মৃত ইউসুফ আলী বিশ্বাসের পুত্র। মৃত্যুকালে তিনি দুই পুত্রসন্তান রেখে গেছেন। পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, রোববার বাদ জোহর পাবনা জিলা স্কুল মাঠে তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে এবং পরবর্তীতে আরিফপুর সদর গোরস্তানে তাঁকে দাফন করা হবে।
১৯৪৬ সালে জন্মগ্রহণকারী ইদ্রিস আলী বিশ্বাস প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেন পাবনা জিলা স্কুলে। ষষ্ঠ শ্রেণি শেষে তিনি ভর্তি হন ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজে এবং সেখান থেকে এইচএসসি পাস করেন। পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভূগোলে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
শিক্ষাজীবন শেষে তিনি কৃষি ব্যাংকে অফিসার হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। পরবর্তীতে পারিবারিক ব্যবসার দায়িত্ব গ্রহণ করে সততা ও নিষ্ঠার মাধ্যমে নিজেকে একজন সফল উদ্যোক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন। ব্যবসার পাশাপাশি শিক্ষাক্ষেত্রেও রেখেছেন অনন্য অবদান। তাঁর প্রতিষ্ঠিত “সালেহা খাতুন আদর্শ স্কুল অ্যান্ড কলেজ” আজও শিক্ষা বিস্তারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
ইদ্রিস আলী বিশ্বাস আজীবন সমাজসেবা, মানবকল্যাণ ও শিক্ষার উন্নয়নে নিবেদিত ছিলেন। তিনি পাবনা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সাবেক সভাপতি, রাইফেলস ক্লাবের সহ-সভাপতি, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি পাবনা ইউনিটের সহ-সভাপতি, বিসিক শিল্প মালিক সমিতি ও নাসিব (NASCIB) পাবনা জেলা শাখার সভাপতি, চালকল মালিক সমিতির সভাপতি, আদর্শ মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ এবং রোটারি ক্লাব অব এভারগ্রিন পাবনার প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
তাঁর প্রজ্ঞা, সততা ও নেতৃত্বগুণ তাঁকে পাবনা জেলার অন্যতম অনুপ্রেরণাদায়ী ব্যক্তিত্বে পরিণত করেছে।
ইদ্রিস আলী বিশ্বাসের মৃত্যুতে পাবনা জুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সমাজের সর্বস্তরের মানুষ তাঁর আত্মার মাগফিরাত কামনা করেছেন।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ লুৎফর রহমান হীরা
হেড অফিসঃ ১/ জি,আদর্শ ছায়ানীড়, রিংরোড, শ্যামলী, আদাবর ঢাকা - ১২০৭।
স্বত্ব © ২০২৫ চলনবিলের সময়