পাবনার সেন্ট্রাল হাসপাতালে চিকিৎসার আড়ালে এক নারী রোগীকে অজ্ঞান করে শ্লীলতাহানির চেষ্টা চালানোর অভিযোগ উঠেছে হাসপাতালের এক পুরুষ কর্মচারীর বিরুদ্ধে। শনিবার (১৮ অক্টোবর) রাতে এ ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়, যা পরবর্তীতে সংঘর্ষ ও ভাঙচুরে রূপ নেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ, ডিবি ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। ঘটনাস্থল থেকে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন— পাবনা সদর উপজেলার মালিগাছা ইউনিয়নের রুপপুর গ্রামের রেজাউল করিমের ছেলে আব্দুল্লাহ আল মামুন (২৪), ভাঙ্গুরা উপজেলার ভেড়ামারা গ্রামের আবুল হোসাইন (৩০) এবং পাবনা সদর উপজেলার চকপৈলানপুর নয়নামতি এলাকার মৃত নুরুল আহসান মোস্তাকিন বিশ্বাসের ছেলে মোস্তাকিন বিশ্বাস (৩৭)।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, শনিবার রাতে এক নারী রোগীকে ইনজেকশন দেওয়ার পর অজ্ঞান অবস্থায় তার ওপর শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন হাসপাতালের এক পুরুষ স্টাফ। হঠাৎ রোগীর জ্ঞান ফিরে এলে তিনি ওই স্টাফের হাত চেপে ধরেন। ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে বিষয়টি রোগীর স্বজনদের নজরে আসে এবং তারা উত্তেজিত হয়ে পড়েন।
অভিযোগ রয়েছে, ঘটনার পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে এবং রোগীর স্বজনদের ভয়ভীতি দেখায়। এসময় স্বজনরা পুলিশে খবর দিতে চাইলে হাসপাতালের কিছু ভাড়াটে স্টাফ তাদের ওপর চড়াও হয়। এতে স্থানীয় জনতা ও পাবনা এডওয়ার্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা ঘটনাস্থলে জড়ো হয়ে হাসপাতালটিতে ভাঙচুর চালায়।
পাবনা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুস সালাম জানান, চিকিৎসার নামে নারী রোগীর সঙ্গে অসদাচরণের অভিযোগে শনিবার রাতে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং তিনজনকে গ্রেফতার করে। আজ তাদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ লুৎফর রহমান হীরা
হেড অফিসঃ ১/ জি,আদর্শ ছায়ানীড়, রিংরোড, শ্যামলী, আদাবর ঢাকা - ১২০৭।
স্বত্ব © ২০২৫ চলনবিলের সময়