পুলিশ ক্যাম্পে হামলায় জড়িত তিনজনসহ ৯ ডাকাত গ্রেপ্তার

: মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২ মাস আগে

7

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় পুলিশ ক্যাম্পে সশস্ত্র হামলার ঘটনায় জড়িত মেঘনা নদীর শীর্ষ নৌ-ডাকাত আক্তার সরকারকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-১১। রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে কুমিল্লার তিতাস থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আক্তার সরকার গজারিয়া উপজেলার গুয়াগাছিয়ার সরকার বাড়ির আ. মজিদ সরকারের ছেলে। তার নামে গজারিয়া, দাউদকান্দি, চাঁদপুরসহ বিভিন্ন থানায় ২৭টি মামলা রয়েছে।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে গজারিয়ার গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের মেঘনা নদী ও শাখা নদীতে অবৈধ বালুমহাল পরিচালনা, নৌযানে চাঁদাবাজি করে আসছে নয়ন, পিয়াস ও আক্তার বাহিনীর সদস্যরা। গত এক বছরে নদীতে কয়েক দফা গোলাগুলিতে স্থানীয় কয়েকজন তাদের হাতে খুন হন। তাদের ভয়ে এলাকার শতাধিক পরিবার গ্রামছাড়া হয়েছিল।

গজারিয়া থানার ওসি আনোয়ার আলম আজাদ কালবেলাকে বলেন, রাতে আক্তার সরকারকে গজারিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। আগামীকাল মঙ্গলবার ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে ডাকাত আক্তারকে আদালতে পাঠানো হবে।

র‍্যাব-১১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচএম সাজ্জাদ হোসেন বলেন, গত ২৫ আগস্ট বিকেল ৫টায় গজারিয়ার গুয়াগাছিয়া অস্থায়ী ক্যাম্পে নয়ন-পিয়াস ও আক্তারের নেতৃত্বে প্রায় ৪০-৫০ জন ডাকাত সদস্য ৪/৫ টি ট্রলার যোগে এসে পুলিশকে লক্ষ্য করে ককটেল এবং চর্তুদিক থেকে গুলিবর্ষণ করে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। পুলিশের বাধার মুখে ডাকাত সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, পুলিশ ক্যাম্পে সশস্ত্র ডাকাতদের হামলা, গোলাগুলি ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় জড়িত নয়ন-পিয়াস বাহিনীর অন্যতম সদস্য আক্তার সরকার। তিনি হত্যা, ডাকাতি, মাদক, অপহরণসহ ২৭টি মামলার আসামি এবং মেঘনার শীর্ষ নৌ-ডাকাত।

এইচএম সাজ্জাদ হোসেন বলেন, অভিযানে আক্তারের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ ক্যাম্পে হামলায় ব্যবহৃত বিশেষ ইঞ্জিনচালিত নৌকা, পাঁচটি পিতলের তৈরি নৌকার পাখা, দুটি চুম্বক, একটি বাইনোকুলার, একটি ছোরা এবং ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত আরও সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।