“ফলন ও দামে সোনালি স্বপ্ন দেখছেন গাইবান্ধার পাট চাষিরা”

: গাইবান্ধা উপজেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২ মাস আগে

2

বাজারে পাটের দাম ভালো পাওয়ায় খুশি গাইবান্ধার কৃষক। বর্তমানে গাছ কাটা, আঁশ ছাড়ানো, জাগ দেয়া ও শুকানোর কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতের পাশাপাশি সরকারি পাট কেন্দ্রগুলো চালু হলে সোনালি আঁশের উৎপাদন আরও বাড়বে। এজন্য কৃষকদের নিয়মিত পরামর্শও দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জেলা পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা।

মৌসুম শেষে গাইবান্ধার চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলে পাট কাটার কাজ করছেন চাষিরা। গাছ কাটা থেকে শুরু করে আঁশ ছাড়ানো, জাগ দেয়া ও শুকানোর কাজে তাদের সহযোগিতা করছেন পরিবারের সদস্যরা। তবে গত কয়েক বছর ন্যায্যমূল্য না পেয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলেন তারা। এবার বাজারে ভালো দাম পাওয়ায় সে দুশ্চিন্তা কাটিয়ে স্বস্তি ফিরেছে কৃষকদের মুখে।

বর্তমানে প্রতিমণ পাট সাড়ে তিন হাজার থেকে চার হাজার টাকায় বিক্রি হওয়ায় লাভের আশা করছেন তারা। চাষিরা বলেন, এ বছর ফলনও ভালো হয়েছে, আর বাজারে দামও সন্তোষজনক। এরকম ভালো দাম থাকলে ও উন্নত জাতের বীজ সরবরাহ করাসহ প্রক্রিয়াজাতকরণ সুবিধা বাড়ানো হলে জেলায় পাট চাষ দ্বিগুণ হবে।
 
ফুলছড়ি উপজেলার হাজীরহাট এলাকার পাট চাষি শাকিল মিয়া জানান, ধানের মতো কৃষি বিভাগ থেকে উন্নত জাতের পাট বীজ সরবরাহ করা হলে এবং সরকারি পাট ক্রয় কেন্দ্রগুলো খুলে দেয়া হলে এ অঞ্চলের পাট চাষ দ্বিগুণ হবে।
সদর উপজেলার কামারজানির পাট চাষি গোলাম মিয়া জানান, প্রতি বছর পাটের দাম নিয়ে হতাশ থাকলেও এবার ভাল পেয়ে আবারো পাট চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছে চাষিরা।
 
এদিকে, পাটের আবাদ বাড়াতে কৃষকদের নানা দিকনির্দেশনা দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জেলা পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. মাজেদুল ইসলাম। তিনি বলেন, চাষিরা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হন, সেদিকে বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে। পাটের উন্নত জাত আমদানিসহ সরকারি পাট ক্রয় কেন্দ্রগুলো পুনরায় চালু হলে এবং চাষিদের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত হলে আবারও বিশ্ববাজারে খ্যাতি ফিরিয়ে আনবে গাইবান্ধার সোনালি আঁশ পাট। পাট চাষ বাড়াতে কৃষকদের বিভিন্ন পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
 
কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, চলতি মৌসুমে গাইবান্ধায় ১৩ হাজার ৮২২ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে। এ মৌসুমে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩৯ হাজার ৬৫৯ মেট্রিক টন।