ফলন ও দামে স্বস্তি, চাটমোহরে পাট কাটায় ব্যস্ত কৃষক

: চলনবিলের সময়
প্রকাশ: ৩ মাস আগে

9

চাটমোহরে সোনালী আঁশের সুদিন ফিরে এসেছে। চলনবিলের বিস্তীর্ণ এলাকায় এখন পাট কাটা, জাগ দেওয়া, আঁশ ছাড়ানো ও বাজারে বিক্রির ব্যস্ততায় দিন কাটাচ্ছেন কৃষকরা। চলতি মৌসুমে ফলন ও দাম—দুই-ই ভালো হওয়ায় কৃষকের মুখে ফুটেছে তৃপ্তির হাসি।

এবার সময়মতো পর্যাপ্ত বৃষ্টি ও অনুকূল আবহাওয়ার কারণে পাট চাষে কোনো বড় প্রতিবন্ধকতা আসেনি। উজান থেকে ঢলের পানি না এলেও কিছুদিন আগে হওয়া ভারি বৃষ্টিতে খাল, বিল ও ডোবায় পর্যাপ্ত পানি জমে, যা জাগ দেওয়ার জন্য উপযোগী হয়েছে। তবে কিছু উঁচু এলাকায় এখনও পর্যাপ্ত পানি না থাকায় কিছু কৃষক সমস্যায় পড়েছেন।

উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, এ মৌসুমে ১১ ইউনিয়নে মোট ৮ হাজার ৯৬০ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৮০ হেক্টর বেশি। কৃষি বিভাগ থেকে ১ হাজার ১০০ কৃষককে বিনামূল্যে সার ও বীজ সরবরাহ করা হয়েছে। এছাড়া মৌসুমের শুরুতে পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত হওয়ায় অতিরিক্ত সেচের প্রয়োজন হয়নি, ফলে উৎপাদন খরচও বেড়ে যায়নি। রোগবালাই ও পোকার আক্রমণও ছিল তুলনামূলক কম।

গত বছরের ভালো দাম কৃষকদের পাট চাষে আগ্রহী করে তুলেছে। পাকপাড়া গ্রামের কৃষক জামাল উদ্দিন জানান, তিনি এ বছর ৫ বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছেন। প্রতি বিঘায় খরচ হয়েছে প্রায় ৭-৮ হাজার টাকা, উৎপাদন হয়েছে ৮-১০ মণ পাট, যার বাজারদর প্রায় ৩৫ হাজার টাকা। এছাড়া বিঘাপ্রতি প্রায় ২ হাজার টাকার পাটকাঠি মিলছে। গত বছর ভরা মৌসুমে প্রতি মণ পাট ২-৩ হাজার টাকায় বিক্রি হলেও এবার মিলছে ৩,২০০ থেকে ৩,৮০০ টাকা।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কুন্তলা ঘোষ বলেন, “চাটমোহরে পাট চাষ ক্রমেই বাড়ছে। এ বছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে আবাদ হয়েছে। কৃষি বিভাগ উন্নত জাতের পাট চাষ ও উৎপাদন বৃদ্ধিতে সার্বক্ষণিক পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে।”