
বগুড়া জেলায় শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে হিন্দু সম্প্রদায়ের দুর্গাপূজা। জেলা, উপজেলা এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে নেতৃবৃন্দরা বিভিন্ন পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করেছেন এবং কোথাও কোনো আপত্তিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। সরকারি প্রশাসন এই আয়োজনে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করেছে। চাল অনুদান নিয়ে বিতর্ক।
এবছর পূজার জন্য সরকারিভাবে প্রতিটি মণ্ডপে ৫০০ কেজি চাল আর্থিক সাহায্য হিসেবে প্রদান করা হয়। তবে এই চাল অনুদান বিতরণে একটি বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।
মণ্ডপ কমিটিগুলোর অভিযোগ, চালের পরিবর্তে নগদ অর্থ দেওয়া হলে বেশি সুবিধা হতো।
অনেক স্থানেই মণ্ডপ কমিটিগুলো তাদের চালের ডিও (ডেলিভারি অর্ডার) ১৭,৫০০/- টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে দিয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, এই ডিও কিনে নিয়েছে কিছু দুর্নীতিবাজ ব্যক্তি।
শাজাহানপুর উপজেলাতেও একই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। বিভিন্ন মন্দিরের সভাপতি/সাধারণ সম্পাদকরা ক্ষোভের সঙ্গে জানান যে, উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক তাদের না জানিয়েই ডিও বিক্রি করে দিয়েছেন।
তাঁরা অভিযোগ করেন, উপজেলা কমিটি তাঁদের নির্দিষ্ট কয়েকজন ব্যক্তির কাছে ডিও দিয়ে টাকা নিতে বলেছে এবং অন্য কাউকে ডিও দিতে বারণ করেছে, সব জায়গায় একই রেট নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত মণ্ডপ কমিটির নেতৃবৃন্দদের দাবি, তাঁদের চাল তাঁরা কোথায় বিক্রি করবেন বা কী করবেন, সেটা তাঁদের ব্যক্তিগত ব্যাপার—সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক কেন তাঁদের না জানিয়ে নিজেদের পছন্দের ব্যক্তির কাছে বিক্রি করতে বলছেন?
কমিটির দাবি: চেকে নগদ অর্থ প্রদান
এই সমস্যা এড়াতে মণ্ডপ কমিটিগুলো জোর দাবি জানিয়েছে যে, ভবিষ্যতে অনুদানের অর্থ চালের পরিবর্তে সরাসরি মন্দিরের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে চেকের মাধ্যমে প্রদান করা হোক।
পূজার সংখ্যা বৃদ্ধি।
এবছর বাংলাদেশে দুর্গাপূজার সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। এবার প্রায় ১,৯০০টি পূজা বৃদ্ধি পেয়েছে, যা দেশের অতীত সমস্ত রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে।