বিমান বিধ্বস্তে আত্মত্যাগী শিক্ষিকার প্রতি রাষ্ট্রীয় মর্যাদার দাবি

: চলনবিলের সময়
প্রকাশ: ৩ মাস আগে

4

সম্প্রতি মাইলস্টোন স্কুলে সংঘটিত মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনায় নি/হত ক্যাপ্টেন তৌকিরকে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়েছে। জাতি তাঁর সেবাকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেছে। তবে এই ঘটনার পর জনমনে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উঠেছে: যে শিক্ষিকা নিজের জীবন বাজি রেখে আগুনের লেলিহান শিখার মাঝে ঝাঁপিয়ে পড়ে শিক্ষার্থীদের রক্ষা করলেন এবং শেষ পর্যন্ত আত্মাহুতি দিলেন, তাকে কেন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হলো না?
দুর্ঘটনার দিন, বিমানটি স্কুলে আছড়ে পড়ার পর ভয়াবহ আগুন ধরে যায়। সেই সংকটময় মুহূর্তে, নিজেদের জীবনের তোয়াক্কা না করে অসংখ্য শিক্ষক-শিক্ষিকা শিক্ষার্থীদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে ঝাঁপিয়ে পড়েন। তাঁদের মধ্যে একজন বীরাঙ্গনা শিক্ষিকা ছিলেন যিনি নিজের জীবন উৎসর্গ করে অসংখ্য শিশুর প্রাণ বাঁচিয়েছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তিনি বার বার আগুনের ভেতর ঢুকে আটকা পড়া শিশুদের বের করে আনছিলেন, যতক্ষণ না তিনি নিজেই আগুনের শিকার হন। তাঁর এই অসীম সাহসিকতা ও আত্মত্যাগ নিঃসন্দেহে সর্বোচ্চ সম্মানের দাবিদার।
ক্যাপ্টেন তৌকিরের আত্মত্যাগ যেমন প্রশংসনীয়, তেমনি এই শিক্ষিকার আত্মবলিদানও কোনো অংশে কম নয়। দেশ ও দশের জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করার এই বিরল দৃষ্টান্ত রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি ও শ্রদ্ধার দাবি রাখে। সমাজের বিভিন্ন স্তর থেকে প্রশ্ন উঠেছে, একজন সামরিক সদস্যের আত্মত্যাগকে যদি রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দেওয়া হয়, তবে একজন বেসামরিক নাগরিকের, যিনি এতগুলো শিশুর জীবন বাঁচাতে নিজের প্রাণ দিলেন, তাঁর আত্মত্যাগকে কেন একই সম্মান দেওয়া হবে না?
এই ঘটনা শিক্ষাঙ্গনে কর্মরত সকল নিবেদিতপ্রাণ শিক্ষকের আত্মত্যাগকে নতুন করে স্মরণ করিয়ে দিয়েছে। সরকারের কাছে জোর দাবি উঠেছে, এই আত্মত্যাগী শিক্ষিকাকে মরণোত্তর রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় ভূষিত করা হোক এবং তাকেও ক্যাপ্টেন তৌকিরের মতো পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হোক। এটি শুধুমাত্র তার প্রতি সম্মান প্রদর্শনই নয়, বরং দেশের সকল শিক্ষক-শিক্ষিকার প্রতি এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।
এই বিষয়ে আপনার কোনো মতামত আছে কি?