বৈরী আবহাওয়ার কারণে অন্যান্য বছর এর তুলনায় এ বছর বৃষ্টিপাত অনেক বেশি, যার কারণে যতা সময়ে ধানের বীঝ রোপন করতে পারছেন না কৃষকেরা, প্রতিবছর বর্ষার এ মৌসুমে ধানের বীঝ রোপন করা শেষ হয়ে যায়, কিন্তু এ বছর বৈরী আবহাওয়া এবং পানি নিষ্কাশনের সঠিক ব্যবস্থা না থাকায় কঠিন ভোগান্তিতে ভুগছেন এ অঞ্চলের কৃষকেরা, বিশেষ করে পটুয়াখালী জেলার রাঙ্গাবালি উপজেলার সমুদ্রের কুল ভর্তি অঞ্চলগুলো বেশি সমস্যার সম্মুখীন হয়, যেমন রাঙ্গাবালির মৌডুবি ইউনিয়নে জাহাজ মারার ওই অঞ্চলে দেখা যায়, প্রায় ১২ শত একর জমি পানিতে প্লাবিত হয়ে রয়েছে, একদিকে বৈরী আবহাওয়ার কারণে প্রচুর বৃষ্টিপাত, অন্যদিকে সমুদ্রের জোয়ারের পানি দুই থেকে তিন ফুট বেড়ে যাওয়ায় প্লাবিত হয়ে রয়েছে শত শত একর ধানের জমি, বারোশো একর জমি বিস্তারিত একটি এলাকায়, পানি নিষ্কাশনের জন্য রয়েছে মাত্র একটি সুইজগেট,স্থানীয় কৃষকদের কাছ থেকে জানা গেছে কিছু অসাধু মাছ চাষিরা, তাদের নিজেদের সুবিধার্থে দিনের বেলায় জোয়ারের পানি ঢুকিয়ে সুইচগেট বন্ধ করে রাখেন এবং রাতে গেট খুলে দেন , তাদের মাছ ধরার সুবিধার্থে, যেখানে বৃষ্টির পানিতেই প্লাবিত তার উপর জোয়ারের পানি দুই থেকে তিন ফুট বেড়ে যায় সেখানে আবার সুইচ গেট বন্ধ করে রাখা হয় এ যেন কৃষকের উপর নির্মম অত্যাচার।
তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি যাতে পানি নিষ্কাশনের যথাযথ সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়, যেন কৃষকেরা তাদের জমিতে বীজ রোপন করতে পারেন।কৃষকের জমি যদি সঠিক পন্থায় বীঝ রোপন করতে না পারে তাহলে খাদ্যক্ষেত্রে অনেক দুর্ভোগ দেখা দিবে বলে মনে করেন মৌঠুবী বিট কর্মকর্তা শোয়েব মাহমুদ, তিনি বলেন এখন বিঝ রোপন করার সঠিক সময় , কিন্তু দেখা গেছে বৈরী আবহাওয়া এবং স্বাভাবিক জোয়ারের পানি বেশি হওয়ায় কৃষকের জমি প্লাবিত হয়ে রয়েছে, যার কারণে কৃষকেরা অনেক ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন,তাই সরকার এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ পানি নিষ্কাশনের জন্য যেন দ্রুত সময়ের মধ্যে সুব্যবস্থা গ্রহণ করেন।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ লুৎফর রহমান হীরা
হেড অফিসঃ ১/ জি,আদর্শ ছায়ানীড়, রিংরোড, শ্যামলী, আদাবর ঢাকা - ১২০৭।
স্বত্ব © ২০২৫ চলনবিলের সময়