বোথরে লাশ দাহে পাওনাদারের বাধা, পুলিশের হস্তক্ষেপে শেষ পর্যন্ত দাহ সম্পন্ন

: চলনবিলের সময় ডেস্ক
প্রকাশ: ২ সপ্তাহ আগে

10

পাবনার চাটমোহর উপজেলার বোথর গ্রামে এক হৃদয়বিদারক ঘটনার সৃষ্টি হয়েছে। ভাতিজার পাওনাদারদের দাবির জেরে কাকা’র লাশ দাহে বাধা দেন তারা। প্রায় এক ঘণ্টা জটিল পরিস্থিতির পর পুলিশের হস্তক্ষেপে লাশের দাহ সম্পন্ন হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বোথর গ্রামের প্রয়াত নিত্তি ব্যবসায়ী বসন্ত দাসের ছেলে কার্ত্তিক চন্দ্র দাস দুলাল (৬৯) বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) রাতে মৃত্যুবরণ করেন। শুক্রবার (১০ অক্টোবর) সকালে লাশ দাহের প্রস্তুতি চলছিল। এ সময় পার্শ্ববর্তী ভাঙ্গুড়া উপজেলার অষ্টমনিষা এলাকার পান্না সরকারসহ কয়েকজন উপস্থিত হয়ে দাবি করেন—কার্ত্তিকের ভাতিজা রিপন কুমার দাসের কাছে তাদের টাকার পাওনা আছে, তাই টাকা পরিশোধ না করলে লাশ দাহ করতে দেওয়া হবে না।

এ নিয়ে চাটমোহর থানাকে অবহিত করা হলে থানা অফিসার ইনচার্জ মো. মঞ্জুরুল আলম দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পাওনাদারদের সঙ্গে কথা বলেন এবং সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন। পরে প্রায় এক ঘণ্টা পর পরিস্থিতি শান্ত হলে লাশ চাটমোহর মহাশ্মশানে নিয়ে দাহ করা হয়।

কার্ত্তিকের পরিবারের পক্ষ থেকে রিপনের কর্মচারী কনক জানান, রিপনের চাউলের ব্যবসার সঙ্গে পান্না, দায়েন ও শফির আর্থিক লেনদেন ছিল। ব্যাংকের অলিখিত চেকের ভিত্তিতে ৬ লক্ষাধিক টাকা পাওনা থাকলেও তারা ২০ লক্ষ টাকা দাবি করছে।

কনকের দাবি, রিপন দাস কার্ত্তিক কাকার কাছ থেকে প্রায় ৩৯ লক্ষ টাকা নিয়ে ব্যবসা গুটিয়ে উধাও হয়ে যান, যার কারণে পরিবারের ওপর এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

এদিকে উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি শ্রী অশোক চক্রবর্তী জানান, রিপন কুমার দাসের চাউল ব্যবসার কারণে লেনদেন থাকতে পারে, তবে প্রয়াত কার্ত্তিক দাসের সঙ্গে পান্না গংদের সরাসরি কোনো আর্থিক সম্পর্ক ছিল না।

এই ঘটনায় এলাকাজুড়ে ক্ষোভ ও সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়দের মতে, মৃতদেহ দাহের মতো সংবেদনশীল বিষয়েও এমন আচরণ অত্যন্ত অমানবিক।