একটা সম্পর্ক শেষ হয়ে যাওয়া মানে শুধু একজন মানুষকে হারানো নয়—হারিয়ে যায় অনেক স্মৃতি, ভরসা, অভ্যাস আর ভেতরটা ভালো রাখার উৎস। তাই ব্রেকআপ হোক বা ডিভোর্স— প্রথম দিকে নিজেকে ভেঙে পড়া, একা লাগা বা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত লাগা খুবই স্বাভাবিক।
এ সময় মন ভেঙে যায়, নিজেকে দোষী লাগতে পারে, রাগ বা হতাশা কাজ করতে পারে, এমনকি প্রিয়জনদের থেকেও দূরত্ব তৈরি হয়ে যায়। তবে মনে রাখতে হবে— এই অনুভূতিগুলো অস্থায়ী। সঠিক যত্ন আর কিছু ধাপে ধাপে পদক্ষেপ আপনাকে আগের মতো করে তুলতে সাহায্য করবে।
চলুন জেনে নেই, কীভাবে সম্পর্কের কষ্ট কাটিয়ে উঠতে পারেন
কষ্টকে স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করুন
যে কোনো বিচ্ছেদেই কষ্ট হয়। তাই নিজেকে কিছুটা সময় দিন শোক প্রকাশের জন্য। কান্না এলে কান্না করুন, একা থাকতে ইচ্ছে হলে থাকুন। কিন্তু মনে রাখবেন— এটা পার হয়ে যাবে। আবেগগুলোকে চেপে রাখবেন না, বরং বুঝে নিন এগুলো সাময়িক।
সোশ্যাল মিডিয়ায় বিরতি দিন
ব্রেকআপের পর পুরোনো ছবি, স্ট্যাটাস বা সেই মানুষটির আপডেট বারবার দেখা আপনাকে আরও কষ্ট দিতে পারে। তাই কিছুদিন সোশ্যাল মিডিয়া থেকে বিরতি নিন। নিজের ব্যক্তিগত কষ্ট সবার সঙ্গে শেয়ার করাও কখনো কখনো আপনাকেই আরও বেশি ভেঙে দিতে পারে।
যাদের পাশে আপনি শান্তি পান, তাদের সঙ্গে থাকুন
এই সময়ে এমন মানুষদের পাশে থাকুন, যারা আপনার অনুভূতি বোঝে, আপনাকে মানসিকভাবে সাপোর্ট দেয়। হতে পারে সেটা আপনার মা-বাবা, ভাইবোন, ঘনিষ্ঠ বন্ধু বা এমন কেউ যার সঙ্গে মন খুলে কথা বলতে পারেন।
নিজেকে ভালোবাসা শুরু করুন
নিজের যত্ন নেওয়াটা এই সময়ে সবচেয়ে দরকারি। ঠিকভাবে খাওয়া-দাওয়া, ঘুম, হালকা ব্যায়াম— সব কিছুতেই নিজের প্রতি খেয়াল রাখুন। আপনি যত ভালো থাকবেন, মনের কষ্টও ধীরে ধীরে কমতে থাকবে।
নেতিবাচক চিন্তা দূরে ঠেলুন
ব্রেকআপের সময় নিজেকে দোষারোপ করা, “আমি কি যথেষ্ট ভালো ছিলাম না?” এসব প্রশ্ন আসতে পারে। কিন্তু এগুলোর পেছনে পড়ে থাকলে আপনি এগোতে পারবেন না। বরং নিজেকে নতুনভাবে চিনুন, নিজের আগ্রহ, লক্ষ্য, স্বপ্নের দিকে মন দিন। এটা আত্মবিশ্বাস ফেরাতে অনেক সাহায্য করবে।
প্রয়োজনে পেশাদার সাহায্য নিন
সব সময় সব কিছু একা সামলানো সম্ভব হয় না। যদি দেখেন কষ্ট অনেক বেশি বেড়ে যাচ্ছে, ঘুম, খাওয়া, বা কাজকর্মে প্রভাব পড়ছে— তাহলে মনোরোগ বিশেষজ্ঞ বা কাউন্সেলরের সাহায্য নিন। এখন অনেক জায়গাতেই অনলাইন বা অফলাইনে মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তা পাওয়া যায়।
সম্পর্ক ভেঙে যাওয়াটা জীবনের শেষ না। এটা একটা অধ্যায়ের সমাপ্তি— নতুন কিছুর সূচনা হতে পারে এখান থেকেই। নিজেকে সময় দিন, নিজেকে ভালোবাসুন— দেখবেন, আপনি আবারও হাসতে শিখবেন।
সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ লুৎফর রহমান হীরা
হেড অফিসঃ ১/ জি,আদর্শ ছায়ানীড়, রিংরোড, শ্যামলী, আদাবর ঢাকা - ১২০৭।
স্বত্ব © ২০২৫ চলনবিলের সময়