‘রাতের ভোটের’ দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিলেন নুরুল হুদা

: চলনবিলের সময়
প্রকাশ: ৪ মাস আগে

11

সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা আদালতে নিজের দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। ২০১৮-এর রাতের ভোটের প্রহসনের নির্বাচন ও রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে বিএনপির করা মামলায় দুই দফায় আট দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে এ দায় স্বীকার করেন তিনি।

মঙ্গলবার (১ জুলাই) রিমান্ড শেষে নুরুল হুদা আদালতে হাজির করা হয়। এরপর তাকে দুপুর ২টার দিকে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমানের আদালতের তেলা হয়।

এ সময় আসামি ‘স্বেচ্ছায়’ জবানবন্দি দিতে রাজি হওয়ায় তা রেকর্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই পুলিশ পরিদর্শক সৈয়দ সাজেদুর রহমান।

এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত আসামির জবানবন্দি রেকর্ড করেছেন। রেকর্ড শেষে সন্ধ্যা ৬টা ১৫ মিনিটে তাকে আদালত থেকে বের করা হয়। আদালতের শেরেবাংলা নগর থানার প্রসিকিউশন বিভাগের এসআই রফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গত ২২ জুন সন্ধ্যার দিকে রাজধানীর উত্তরা এলাকা থেকে নুরুল হুদাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এদিন স্থানীয় জনগণ তাকে আটক করে পুলিশের হাতে সোপর্দ করে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, লুঙ্গি পরিহিত নুরুল হুদাকে গলায় জুতার মালা পরান এবং মুখে আঘাত করতেও দেখা যায়। পরদিন ২৩ জুন নুরুল হুদাকে ৪ দিন ও ২৭ জুন ফের ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

এর আগে গত ২২ জুন বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে নির্বাচন কমিশনের সাংবিধানিক দায়িত্ব ‘পালন না করে’ উল্টো ‘ভয়-ভীতি দেখিয়ে’ জনগণের ভোট ছাড়াই নির্বাচন সম্পন্ন করার অভিযোগে মামলা করে বিএনপি। দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ মামলাটি করেন।

গত ২৫ জুন এ মামলায় নতুন করে রাষ্ট্রদ্রোহ, প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের ধারা যুক্ত করা হয়। মামলায় ২০১৪ সালের নির্বাচনের তৎকালীন সিইসি কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ, ২০১৮ সালের নির্বাচনে তৎকালীন সিইসি এ কে এম নূরুল হুদা ও ২০২৪ সালের নির্বাচনের তৎকালীন সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালকে আসামি করা হয়েছে।

এ ছাড়া পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) হাসান মাহমুদ খন্দকার, এ কে এম শহীদুল হক, জাবেদ পাটোয়ারী, বেনজীর আহমেদ ও চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকেও আসামি করা হয়েছে এই মামলায়।