শাহজাদপুরে দুর্গোৎসব ঘিরে রঙ তুলিতে প্রতিমা ফুটিয়ে তুলতে ব্যস্ত শিল্পীরা

: নুপুর কুমার রায়(শাহজাদপুর উপজেলা)প্রতিনিধি:
প্রকাশ: ১ মাস আগে

11

হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে শাহজাদপুর মন্দিরগুলোতে শুরু হয়েছে নানা প্রস্তুতি। তাই ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা শিল্পী ও আযোজকেরা।

ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে প্রতিমা তৈরির কাজ এখন রঙ তুলির শেষ আঁচড়ে প্রতিমা ফুটিয়ে তুলতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে প্রতিমা শিল্পীরা।
বিভিন্ন মন্দির ঘুরে দেখা গেছে, দিন যতই এগিয়ে আসছে প্রতিটি মন্দিরে মন্দিরে চলছে প্রতিমার গায়ে রঙ তুলির আঁচড়। নানা রঙ এর তুলির টানে প্রতিমাগুলো ফুটিয়ে তুলছেন শিল্পীরা।
এ বছর শাহজাদপুর উপজেলায় ৯৩ টি মন্দিরে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। নাওয়া-খাওয়া আর ঘুম বাদ দিয়ে দেবী দুর্গার সঙ্গে লক্ষ্মী, গনেশ, কার্তিক ও স্বরস্বতির পাশাপাশি ধর্মীয় দৃশ্যপট ফুটিয়ে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা।
এ বছর এক-একজন প্রতিমা শিল্পীরা ৪ থেকে ৬টি করে প্রতিমা তৈরি করেছেন। আর মজুরি নিচ্ছে সর্বনিম্ন ৩০ হাজার থেকে সর্বোচ্চ লাখ টাকা পযর্ন্ত। তবে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে চাহিদার তুলায় মজুরি কম পেলেও বাপ দাদার আদি পেশা টিকিয়ে রেখেছেন তারা।
আয়োজকরা বলেন সাম্প্রদায়িক সম্প্রতির সব ধর্ম-বর্ণের মানুষের সহযোগিতায় এবছর অনাড়ম্বরভাবে দুর্গোৎসব পালন করা হবে। শারদীয়া দুর্গোৎসব আমাদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব। এটি ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপানা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে আমরা উদযাপন করব।
বাংলাদেশ পুজা উদযাপন পরিষদ, শাহজাদপুর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক,বাসুদেব দত্ত জানান বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের নির্দেশনা মোতাবেক আমরা পূজা অর্চনা পালন করবো। স্থানীয় ভাবে আমরা পূজার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি এবং আমরা কন্ট্রল রুম খুলবো কোন মন্দিরে কোন অসুবিধা হলে তাত্ক্ষণিকভাবে আমাদের কন্ট্রল রুমে ফোন দেয়ার সাথে সাথে আমরা ব্যাবস্থা নেব।