গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দ ও কালী মন্দিরকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যে উন্নয়ন, কর্মসংস্থান ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক নতুন দিগন্তের সূচনা হয়েছে। এলাকাবাসীর সহযোগিতা ও আন্তরিকতায় গড়ে ওঠা এই মন্দির এখন কেবল একটি ধর্মীয় উপাসনালয় নয়— এটি হয়ে উঠেছে শান্তি, সম্প্রীতি ও উন্নয়নের প্রতীক।
শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দ কালী মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা হরিদাস বাবু তার নিজস্ব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে লেখেন,
আমাকে কেউ কেউ নানা নামে সমালোচনা করছেন— কেউ বলেন মাস্তান, কেউ বলেন ভারতের এজেন্ট, কেউ আবার বলেন মুসলমান নামধারী। কিন্তু আমার প্রশ্ন হচ্ছে— কেন এত জ্বলে? সমালোচনা না করে আসুন আমরা সবাই মিলে পলাশবাড়ীর উন্নয়নে কাজ করি। ‘সমালোচনা নয়, ঐক্য ও উন্নয়নই হোক আমাদের মূল লক্ষ্য।
তিনি আরও লেখেন, “আমি বর্তমানে কারও ক্ষতি করছি না, কারও কাছ থেকে ১০ টাকাও নেইনি। যদি কেউ মনে করেন আমি ভুল করেছি, তাহলে আমাকে ক্ষমা করবেন। আমরা সবাই পলাশবাড়ীর মানুষ— একই পরিবারের সদস্য।”
হরিদাস বাবু তার পোস্টে রাজনৈতিক মতভেদ দূরে রেখে ঐক্যের আহ্বান জানিয়ে বলেন,“রাজনীতি ও মতপার্থক্য থাকতেই পারে, তবে উন্নয়ন ও মানবকল্যাণের ক্ষেত্রে সবাইকে একসঙ্গে চলতে হবে। আপনারা যে কোনো দল করতে পারেন— সেটি আপনাদের মৌলিক অধিকার। কিন্তু আসুন, দল-মতের ঊর্ধ্বে উঠে আমরা সবাই মিলে একটি সুন্দর পলাশবাড়ী গড়ি।”
তিনি বিশ্বাস করেন, শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দ কালী মন্দিরকে ঘিরে পুরো এলাকায় কর্মসংস্থানের নতুন সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে। স্থানীয় শত শত মানুষ এখন নিজ গ্রামেই জীবিকা নির্বাহ করছে। মন্দিরের কারণে কোমরপুর চৌমাথা থেকে হাসবাড়ী পর্যন্ত ডাবল লেনের রাস্তা নির্মাণের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি কলকারখানা ও ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি পেলে স্থানীয় অর্থনীতিতেও নতুন গতি আসবে।
পোস্টে হরিদাস বাবু আরও উল্লেখ করেন, “দেশ-বিদেশ থেকে ভক্তরা এলে আমাদের এলাকার ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়বে, কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পাবে, মানুষ শান্তিতে থাকবে। তাই আমাদের উচিত— ভালো কাজকে সমর্থন করা ও একে অপরের পাশে থাকা।”
তিনি আরও বলেন,
“আমি চাই পলাশবাড়ী হোক সম্প্রীতির শহর— যেখানে সব ধর্মের মানুষ মিলেমিশে একসঙ্গে বসবাস করবে। সাংবাদিক সমাজ, সুশীল সমাজ, পেশাজীবী, আইনজীবী ও প্রশাসন— সবাই একসঙ্গে কাজ করলে গাইবান্ধা হবে উত্তরবঙ্গের সবচেয়ে সুন্দর জেলা।”
এলাকাবাসীর মতে, হরিদাস বাবুর এই উদ্যোগ কেবল একটি ধর্মীয় স্থাপনা নয়; এটি পলাশবাড়ীকে নতুনভাবে পরিচিত করছে। মন্দিরকে কেন্দ্র করে যেমন ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য বৃদ্ধি পাচ্ছে, তেমনি সামাজিক ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডেও নতুন প্রাণচাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ লুৎফর রহমান হীরা
হেড অফিসঃ ১/ জি,আদর্শ ছায়ানীড়, রিংরোড, শ্যামলী, আদাবর ঢাকা - ১২০৭।
স্বত্ব © ২০২৫ চলনবিলের সময়