হংকংয়ের তাই পো এলাকার ওয়াং ফুক আবাসিক কমপ্লেক্সে অগ্নিকাণ্ডের ২৪ ঘণ্টা পেরিয়েছে। এ ঘটনায় এখনো আগুন থামেনি। এ ছাড়া নিহতের সংখ্যাও বেড়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, সিটি-স্টেটের অগ্নিকাণ্ডে কমপক্ষে ৫৫ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ফায়ার সার্ভিস। নিহতদের মধ্যে একজন অগ্নিনির্বাপক কর্মীও রয়েছেন। ফায়ার সার্ভিসের তথ্যে জানানো হয়েছে, এখনো ২৭৯ জন নিখোঁজ রয়েছেন। তাদের খোঁজে উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অগ্নিকাণ্ডের কারণ এখনো স্পষ্ট নয়। দমকল সদস্যরা জানিয়েছেন, আগুন দ্রুত ভবনগুলোর বিভিন্ন তলায় ছড়িয়ে পড়ায় উদ্ধারকাজ কঠিন হয়ে পড়ে।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষ নিখোঁজদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করছে এবং আহতদের নিকটবর্তী হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে জরুরি সেবা দলগুলো কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
হংকংয়ের প্রধান নির্বাহী জন লি বুধবার (২৬ নভেম্বর) রাতে হতাহতের তথ্য জানান। ফায়ার সার্ভিস জানায়, বুধবার স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ৫১ মিনিটে বহুতল ভবনে আগুন লাগার খবর পাওয়া যায়। আগুনের পর কমপ্লেক্সের শত শত বাসিন্দাকে অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। যাদের প্রয়োজন, তাদের জরুরি আবাসনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) সকাল ৮টায়ও চারপাশে কালো ধোঁয়া দেখা যায়। ফায়ার সার্ভিসের একাধিক ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। কমপ্লেক্সের মোট ৮টি ভবনের মধ্যে ৪টি পুরোপুরি পুড়ে গেছে, ৩টি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আগুন সম্পূর্ণ নেভাতে আজও সারা দিন সময় লাগতে পারে।
বিবিসি জানায়, ভোর থেকেই অনেক বাসিন্দা ঘটনাস্থলে এসে নিজেদের বাড়িঘরের ক্ষয়ক্ষতি দেখছেন। আগুন লাগার কারণ এখনো পরিষ্কার নয়। এ ঘটনায় একটি নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের দুই পরিচালক ও এক প্রকৌশলীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ঘটনা গুরুতর হওয়ায় ফায়ার সার্ভিস পাঁচ মাত্রার সতর্কতা জারি করে—যা তিন দশকের মধ্যে হংকংয়ে সর্বোচ্চ সতর্কতা। নিরাপত্তার কারণে আশপাশের ১৩টি স্কুল আজ বন্ধ রাখা হয়েছে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ লুৎফর রহমান হীরা
হেড অফিসঃ ১/ জি,আদর্শ ছায়ানীড়, রিংরোড, শ্যামলী, আদাবর ঢাকা - ১২০৭।
স্বত্ব © ২০২৫ চলনবিলের সময়