 
     যশোরের কেশবপুরের মনোহরনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি দীর্ঘ মাস ধরে জলাবদ্ধ। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে যাওয়ার একমাত্র ভরসা এখন বাঁশের সাঁকো।
যশোরের কেশবপুরের মনোহরনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি দীর্ঘ মাস ধরে জলাবদ্ধ। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে যাওয়ার একমাত্র ভরসা এখন বাঁশের সাঁকো।
কেশবপুর উপজেলার পাঁজিয়া ইউনিয়নের পূর্বাংশের শেষ প্রান্তের অবহেলিত জনপদের নাম বাগডাঙ্গা মনোহরনগর। উপজেলা সদর থেকে যার দূরত্ব প্রায় ৯ কিলোমিটার। দীর্ঘদিন এই গ্রামে উন্নয়নের কোনো ছোঁয়া লাগেনি। গ্রামের শেষ প্রান্তে ১৯৭৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল মনোহরনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি।
মনোহরনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি পরিদর্শনকালে দেখা গেছে, বিদ্যালয়টির খেলার মাঠ প্লাবিত হয়ে আছে। বিদ্যালয়টির ১৯০ জন শিক্ষার্থীসহ শিক্ষক-কর্মচারীদের বিদ্যালয়ে প্রবেশের জন্য বাঁশের সাঁকো পার হয়ে যেতে হয়।
বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তন্বী সরকার বলেন, আমাদের বিদ্যালয়টি প্লাবিত হয়ে আছে। যাতায়াতের জন্য আমাদের খুব সমস্যা হয়।
পাঁজিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মকবুল হোসেন মুকুল জানান, বিদ্যালয়টি দীর্ঘদিন প্লাবিত থাকার শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে আসতে খুব সমস্যা হয়। তাদের যাতায়াতের সুবিধার জন্য বিদ্যালয়ে প্রবেশের মুখ হতে বিদ্যালয়ের ভবন পর্যন্ত যাতায়াতের জন্য বাঁশের সাঁকো তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। এই সমস্যা খুব তাড়াতাড়ি সমাধান হয়ে যাবে বলে তিনি জানান।
মনোহরনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অমিয় চক্রবর্তী বলেন, বিদ্যালয়টি দীর্ঘদিন প্লাবিত থাকায় শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে আসতে খুব সমস্যা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে তাদের জন্য বাঁশের সাঁকো তৈরি করে দেওয়া হয়েছে।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি গৌতম রায় বলেন, বিদ্যালয়টি বছরের ৬/৭ মাস জলাবদ্ধ থাকে। ছাত্র-ছাত্রীদের যাতায়াতের জন্য বাঁশের সাঁকো তৈরি করা হয়েছে। জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য মাঠ ভরাট করার প্রয়োজন।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ লুৎফর রহমান হীরা
হেড অফিসঃ ১/ জি,আদর্শ ছায়ানীড়, রিংরোড, শ্যামলী, আদাবর ঢাকা - ১২০৭।
স্বত্ব © ২০২৫ চলনবিলের সময়