ঢাকা ০৩:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫, ৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মেধাভিত্তিক দেশ গঠনে শিক্ষা অপরিহার্য: ব্যারিস্টার অসীম Logo রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পাচ্ছেন মাদ্রাসাশিক্ষার্থীরা Logo জুলাই যোদ্ধাদের জন্য চাকরিতে কোটা থাকছে না : মুক্তিযুদ্ধ উপদেষ্টা Logo ৮ দফা দাবিতে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে তালা ঝুলিয়ে অবস্থান ধর্মঘট করেছেন শিক্ষার্থীরা Logo বিআরটিএ পাবনা সার্কেলের অভিযানে ১২ টি মামলা ও ২৯ হাজার টাকা জরিমানা Logo পদ্মার ভাঙনে সুজানগরের মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাচ্ছে শ শ বাড়ীঘর ও ফসলী জমি Logo ৭ম জন্মদিনে স্বপ্নকে শাজাহানপুর প্রেসক্লাবের উষ্ণ অভিনন্দন! Logo টাইগারদের দাপুটে বোলিংয়ে বিধ্বস্ত পাক ব্যাটাররা, মামুলি লক্ষ্য বাংলাদেশের Logo মধ্যরাতে মদ্যপ অবস্থায় নোবেলের মারামারি, অতঃপর… Logo হাতে পবিত্র কোরআন লিখলেন ৯ বছরের শিশু
নোটিশঃ
 জরুরি সংবাদকর্মী আবশ্যক। আগ্রহীরা ইমেইল আবেদন করুনঃ chalonbilersomoy@gmail.com। চলনবিলের সময় এর সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। 

কনকনে ঠান্ডায় বিপর্যস্ত উত্তরের জনজীবন

পঞ্চগড় প্রতিনিধি,পরিবর্তন টিভি
  • আপডেট সময় : ০৯:৪৯:১৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ জানুয়ারী ২০২৫ ৫৩ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

চলনবিলের সময় অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে পাহাড়ি হিমেল বাতাস আর কুয়াশায় জেঁকে বসেছে শীত। হাড় কাঁপানো কনকনে ঠাণ্ডায় বিপর্যস্ত জনজীবন। জানুয়ারির দ্বিতীয় দিনেও বৈরী এই আবহাওয়া সীমাহীন জনদুর্ভোগ বাড়িয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে ৮ থেকে ১১ ডিগ্রির মধ্যে ওঠানামা করছে তাপমাত্রা। দিনের বেশিরভাগ সময় কুয়াশার চাদরে ঢাকা থাকে আকাশ। এর মধ্যে শুরু হওয়া শীতল বাতাসে জবুথবু জনজীবন।

বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) সকাল ৬টায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আদ্রতা ৯৯ শতাংশ রেকর্ড হলেও এর গতিবেগ ঘণ্টায় ১০ থেকে ১২ কিলোমিটার।

 

এর আগে, বুধবার সকাল ৯টায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় সর্বনিম্ন ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা পরিমাণ ছিল ১০০ শতাংশ।

 

স্থানীয়রা বলছেন, তাপমাত্রা কমার চেয়েও বেশি অসুবিধা হচ্ছে হিমশীতল বাতাসে। এর পাশাপাশি ঘন কুয়াশা থাকায় বাতাসে তা কাঁটার মতো বিঁধতে থাকে। তীব্র ঠান্ডার কারণে গ্রাম-গঞ্জের মানুষ শীতের গরম কাপড় পরিধান করছে। ঘরে ঘরে লেপ-কাঁথা নামানো হয়েছে। তবে গত কয়েকদিন থেকেই শীতের তীব্রতা হঠাৎ বেড়ে যাওয়ার কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন নিম্নআয়ের মানুষগুলোর। শীতের তীব্রতা বেড়ে গেলেও এখনও সরকারিভাবে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হচ্ছে প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। তীব্র শীতে তেঁতুলিয়া অঞ্চলের নদী কেন্দ্রিক মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে বেশি। তীব্র ঠান্ডায় বন্ধ হয়ে পড়েছে পাথর সংগ্রহের কাজ। এসব পরিবারে খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে।

এদিকে শীতের তীব্রতা বাড়ায় হাসপাতালগুলোতে বেড়েছে রোগীর সংখ্যা। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্ক মানুষ বেশি। তারা সর্দি, জ্বরসহ বিভিন্ন শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে আসছেন। কেউ চিকিৎসা নিয়ে চলে যাচ্ছেন। আবার যাদের অবস্থা বেশি খারাপ তারা হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন।

 

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায় বলেন, পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলাটি হিমালয়ের কাছে হওয়ায় উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল থেকে বয়ে আসা হিমেল হাওয়ায় বেশ ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। সামনের দিনে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। চলতি সপ্তাহে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। সঙ্গে থাকবে একাধিক মৃদু শৈত্য প্রবাহ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

কনকনে ঠান্ডায় বিপর্যস্ত উত্তরের জনজীবন

আপডেট সময় : ০৯:৪৯:১৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ জানুয়ারী ২০২৫

দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে পাহাড়ি হিমেল বাতাস আর কুয়াশায় জেঁকে বসেছে শীত। হাড় কাঁপানো কনকনে ঠাণ্ডায় বিপর্যস্ত জনজীবন। জানুয়ারির দ্বিতীয় দিনেও বৈরী এই আবহাওয়া সীমাহীন জনদুর্ভোগ বাড়িয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে ৮ থেকে ১১ ডিগ্রির মধ্যে ওঠানামা করছে তাপমাত্রা। দিনের বেশিরভাগ সময় কুয়াশার চাদরে ঢাকা থাকে আকাশ। এর মধ্যে শুরু হওয়া শীতল বাতাসে জবুথবু জনজীবন।

বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) সকাল ৬টায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আদ্রতা ৯৯ শতাংশ রেকর্ড হলেও এর গতিবেগ ঘণ্টায় ১০ থেকে ১২ কিলোমিটার।

 

এর আগে, বুধবার সকাল ৯টায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় সর্বনিম্ন ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা পরিমাণ ছিল ১০০ শতাংশ।

 

স্থানীয়রা বলছেন, তাপমাত্রা কমার চেয়েও বেশি অসুবিধা হচ্ছে হিমশীতল বাতাসে। এর পাশাপাশি ঘন কুয়াশা থাকায় বাতাসে তা কাঁটার মতো বিঁধতে থাকে। তীব্র ঠান্ডার কারণে গ্রাম-গঞ্জের মানুষ শীতের গরম কাপড় পরিধান করছে। ঘরে ঘরে লেপ-কাঁথা নামানো হয়েছে। তবে গত কয়েকদিন থেকেই শীতের তীব্রতা হঠাৎ বেড়ে যাওয়ার কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন নিম্নআয়ের মানুষগুলোর। শীতের তীব্রতা বেড়ে গেলেও এখনও সরকারিভাবে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হচ্ছে প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। তীব্র শীতে তেঁতুলিয়া অঞ্চলের নদী কেন্দ্রিক মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে বেশি। তীব্র ঠান্ডায় বন্ধ হয়ে পড়েছে পাথর সংগ্রহের কাজ। এসব পরিবারে খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে।

এদিকে শীতের তীব্রতা বাড়ায় হাসপাতালগুলোতে বেড়েছে রোগীর সংখ্যা। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্ক মানুষ বেশি। তারা সর্দি, জ্বরসহ বিভিন্ন শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে আসছেন। কেউ চিকিৎসা নিয়ে চলে যাচ্ছেন। আবার যাদের অবস্থা বেশি খারাপ তারা হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন।

 

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায় বলেন, পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলাটি হিমালয়ের কাছে হওয়ায় উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল থেকে বয়ে আসা হিমেল হাওয়ায় বেশ ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। সামনের দিনে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। চলতি সপ্তাহে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। সঙ্গে থাকবে একাধিক মৃদু শৈত্য প্রবাহ।