সম্পাদকীয়

- আপডেট সময় : ০১:১৪:২৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৪ জানুয়ারী ২০২৫ ৯৪ বার পড়া হয়েছে

তীব্র শীতে রোগবালাইয়ের প্রকোপ: প্রতিরোধ ও সচেতনতার প্রয়োজনীয়তা
শীতের তীব্রতা প্রকৃতির এক অনন্য বৈশিষ্ট্য। তবে এ সময়টি আমাদের শরীর ও স্বাস্থ্যের জন্য নানা চ্যালেঞ্জ নিয়ে আসে। শীতের প্রভাব শুধু প্রকৃতিতেই নয়, মানুষের দৈনন্দিন জীবনে নানাবিধ সমস্যা সৃষ্টি করে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় আমাদের স্বাস্থ্য। প্রতিদিন বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগের প্রকোপ, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
শীতে সবচেয়ে বেশি দেখা দেয় সর্দি-কাশি, জ্বর, হাঁপানি, শ্বাসকষ্ট এবং ত্বকের সমস্যা। বিশেষ করে শিশু, বৃদ্ধ এবং যারা পূর্ব থেকেই শ্বাসকষ্ট বা ক্রনিক রোগে ভুগছেন, তারা বেশি ঝুঁকিতে থাকেন। শীতকালে আবহাওয়ার শুষ্কতা, তাপমাত্রার নিম্নগতি এবং ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার সক্রিয়তা জনস্বাস্থ্যকে হুমকির মুখে ফেলে।
শীতকালে সবচেয়ে ভয়াবহ চিত্র দেখা যায় দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যে। যারা পর্যাপ্ত গরম পোশাক এবং সঠিক খাদ্য গ্রহণে অক্ষম, তাদের জন্য শীত কেবল কষ্টই নয়, মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তীব্র শীতে হার্টের সমস্যা ও উচ্চ রক্তচাপজনিত রোগও বাড়ে, যা মারাত্মক পরিণতি ডেকে আনতে পারে।
এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রয়োজন সচেতনতা এবং প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা। সঠিক খাদ্যাভ্যাস, পর্যাপ্ত পানি পান এবং গরম পোশাক পরিধান শীতের রোগবালাই প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। পাশাপাশি, দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য শীতবস্ত্র বিতরণ এবং ফ্রি স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম আরও জোরদার করা প্রয়োজন।
সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাগুলোর সমন্বিত উদ্যোগের মাধ্যমে শীতজনিত সমস্যার প্রকোপ কমিয়ে আনা সম্ভব। আমরা যদি একত্রে কাজ করি এবং সচেতনতার আলো ছড়িয়ে দিতে পারি, তবে তীব্র শীতের অন্ধকার আমাদের শরীর ও মনের ওপর আর প্রভাব ফেলবে না। তাই আসুন, শীতের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সক্রিয় হই এবং মানবতার সেবায় অবদান রাখি।
সম্পাদক
পরিবর্তন টিভি