ঢাকা ১১:৩৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫, ৭ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশঃ
 জরুরি সংবাদকর্মী আবশ্যক। আগ্রহীরা ইমেইল আবেদন করুনঃ chalonbilersomoy@gmail.com। চলনবিলের সময় এর সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। 

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ

পরিবর্তন টিভি নিউজ ডেস্কঃ
  • আপডেট সময় : ১০:৩৬:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫ ৫৯ বার পড়া হয়েছে

ছবি : সংগৃহীত

চলনবিলের সময় অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

২০২৪ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানি আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে বেড়েছে। এ সময়ের মধ্যে পোশাক রপ্তানিতে ৪১ দশমিক ৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে বাংলাদেশের।

 

সম্প্রতি ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব কমার্সের আওতাধীন অফিস অব টেক্সটাইল অ্যান্ড অ্যাপারেল (অটেক্সা) এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

 

অটেক্সার তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের শুরুতেই রপ্তানিতে ধাক্কা খায় বাংলাদেশের পোশাক খাত। ওই বছরের জানুয়ারিতে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি কমে ৩৬ দশমিক ৭ শতাংশ। এর পর মার্চে প্রবৃদ্ধি কমে আরও ১৪ দশমিক ২ শতাংশ। নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে ৬১৩ দশমিক ৯১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পোশাক রপ্তানি করে বাংলাদেশ। আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ৪৩৩ দশমিক ৫৬ মিলিয়ন ডলার।

 

জানা যায়, গত বছরের নভেম্বরে পোশাক রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ছিল বছরের অন্য যেকোনো মাসের চেয়ে বেশি। ২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে মোট পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির পরও ২০২৩ সালের বেশিরভাগ মাসের তুলনায়ই তা কম ছিল। ২০২৪ সালের এপ্রিল থেকে আগস্ট পর্যন্ত সময়ে রপ্তানি প্রবৃদ্ধির ব্যবধান ছিল সামান্য, ০ দশমিক ২ শতাংশ থেকে ৬ দশমিক ৮ শতাংশ।

 

তথ্য অনুযায়ী, বছরের শেষ প্রান্তিকে রপ্তানি প্রবৃদ্ধিতে গতি ফেরে। সেপ্টেম্বরে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ছিল ১৮ দশমিক ৪ শতাংশ ও অক্টোবরে ছিল ২৬ দশমিক ৭ শতাংশ।

 

তবে নভেম্বরে রেকর্ড পরিমাণ প্রবৃদ্ধির পরও ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানি ২০২৩ সালের একই সময়ের তুলনায় ০ দশমিক ৪৪ শতাংশ কম ছিল। যেখানে ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত রপ্তানি আয়ের পরিমাণ ছিল ৬ দশমিক ৭৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, সেখানে গত বছরের একই সময়ে এটি ছিল ৬ দশমিক ৭৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

 

এ বিষয়ে তৈরি পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের আমদানিতে উল্লেখজনক বৃদ্ধি দেখেছি। তবে এ বিষয়টিও গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা উচিত যে ২০২৩ সালের নভেম্বরে আমদানির পরিমাণ অস্বাভাবিকভাবে কম ছিল।

 

সূত্র বলছে, একই সময়ে বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের পোশাক খাতের রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ছিল ৪ দশমিক ৪৯ শতাংশ। একইসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের পোশাক রপ্তানি ১৩ দশমিক ২৬ শতাংশ বেড়েছে। ভারত স্থানীয় কাঁচামাল ব্যবহার করে প্রতিযোগিতামূলক মূল্যে আরও বেশি পোশাক রপ্তানি করতে পেরেছে।

 

অটেক্সার তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের প্রথম ১১ মাসে বাংলাদেশ ২ দশমিক ১৭ বিলিয়ন বর্গমিটার সমপরিমাণ পোশাক যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি করেছে। সে হিসাবে আগের বছরের ‍তুলনায় এটি ৩ দশমিক ৯৮ শতাংশ বেশি। অন্যদিকে একই সময়ে ভারত রপ্তানি করেছে ১ দশমিক ২৭ বিলিয়ন বর্গমিটার সমপরিমাণ পোশাক, যার মূল্য ৪ দশমিক ৩৬ বিলিয়ন ডলার। আগের বছরের একই সময়ে এটি ছিল ১ দশমিক ১২ বিলিয়ন বর্গমিটার, যার মূল্য ছিল ৪ দশমিক ১৮ বিলিয়ন ডলার।

 

ভিয়েতনাম থেকেও যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানি ৪ দশমিক ৪৮ শতাংশ বেড়েছে। গত বছরের জানুয়ারি থেকে নভেম্বরে দেশটি পোশাক রপ্তানি থেকে ১৩ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে। এর আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ১৩ দশমিক ১৮ বিলিয়ন ডলার। দেশটির রপ্তানির পরিমাণ ৯ দশমিক ০২ শতাংশ বেড়েছে।

 

উল্লেখ্য, গত বছরের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত সময়ে যুক্তরাষ্ট্রে চীনের পোশাক রপ্তানি থেকে আয় ০ দশমিক ৩০ শতাংশ কমেছে। সার্বিকভাবে গত বছরের প্রথম ১১ মাসে যুক্তরাষ্ট্রের পোশাক আমদানির পরিমাণ ছিল ৭২ দশমিক ৯৪ বিলিয়ন ডলার। আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় যা ০ দশমিক ৬৩ শতাংশ বেশি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ

আপডেট সময় : ১০:৩৬:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫

২০২৪ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানি আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে বেড়েছে। এ সময়ের মধ্যে পোশাক রপ্তানিতে ৪১ দশমিক ৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে বাংলাদেশের।

 

সম্প্রতি ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব কমার্সের আওতাধীন অফিস অব টেক্সটাইল অ্যান্ড অ্যাপারেল (অটেক্সা) এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

 

অটেক্সার তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের শুরুতেই রপ্তানিতে ধাক্কা খায় বাংলাদেশের পোশাক খাত। ওই বছরের জানুয়ারিতে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি কমে ৩৬ দশমিক ৭ শতাংশ। এর পর মার্চে প্রবৃদ্ধি কমে আরও ১৪ দশমিক ২ শতাংশ। নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে ৬১৩ দশমিক ৯১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পোশাক রপ্তানি করে বাংলাদেশ। আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ৪৩৩ দশমিক ৫৬ মিলিয়ন ডলার।

 

জানা যায়, গত বছরের নভেম্বরে পোশাক রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ছিল বছরের অন্য যেকোনো মাসের চেয়ে বেশি। ২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে মোট পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির পরও ২০২৩ সালের বেশিরভাগ মাসের তুলনায়ই তা কম ছিল। ২০২৪ সালের এপ্রিল থেকে আগস্ট পর্যন্ত সময়ে রপ্তানি প্রবৃদ্ধির ব্যবধান ছিল সামান্য, ০ দশমিক ২ শতাংশ থেকে ৬ দশমিক ৮ শতাংশ।

 

তথ্য অনুযায়ী, বছরের শেষ প্রান্তিকে রপ্তানি প্রবৃদ্ধিতে গতি ফেরে। সেপ্টেম্বরে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ছিল ১৮ দশমিক ৪ শতাংশ ও অক্টোবরে ছিল ২৬ দশমিক ৭ শতাংশ।

 

তবে নভেম্বরে রেকর্ড পরিমাণ প্রবৃদ্ধির পরও ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানি ২০২৩ সালের একই সময়ের তুলনায় ০ দশমিক ৪৪ শতাংশ কম ছিল। যেখানে ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত রপ্তানি আয়ের পরিমাণ ছিল ৬ দশমিক ৭৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, সেখানে গত বছরের একই সময়ে এটি ছিল ৬ দশমিক ৭৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

 

এ বিষয়ে তৈরি পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের আমদানিতে উল্লেখজনক বৃদ্ধি দেখেছি। তবে এ বিষয়টিও গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা উচিত যে ২০২৩ সালের নভেম্বরে আমদানির পরিমাণ অস্বাভাবিকভাবে কম ছিল।

 

সূত্র বলছে, একই সময়ে বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের পোশাক খাতের রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ছিল ৪ দশমিক ৪৯ শতাংশ। একইসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের পোশাক রপ্তানি ১৩ দশমিক ২৬ শতাংশ বেড়েছে। ভারত স্থানীয় কাঁচামাল ব্যবহার করে প্রতিযোগিতামূলক মূল্যে আরও বেশি পোশাক রপ্তানি করতে পেরেছে।

 

অটেক্সার তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের প্রথম ১১ মাসে বাংলাদেশ ২ দশমিক ১৭ বিলিয়ন বর্গমিটার সমপরিমাণ পোশাক যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি করেছে। সে হিসাবে আগের বছরের ‍তুলনায় এটি ৩ দশমিক ৯৮ শতাংশ বেশি। অন্যদিকে একই সময়ে ভারত রপ্তানি করেছে ১ দশমিক ২৭ বিলিয়ন বর্গমিটার সমপরিমাণ পোশাক, যার মূল্য ৪ দশমিক ৩৬ বিলিয়ন ডলার। আগের বছরের একই সময়ে এটি ছিল ১ দশমিক ১২ বিলিয়ন বর্গমিটার, যার মূল্য ছিল ৪ দশমিক ১৮ বিলিয়ন ডলার।

 

ভিয়েতনাম থেকেও যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানি ৪ দশমিক ৪৮ শতাংশ বেড়েছে। গত বছরের জানুয়ারি থেকে নভেম্বরে দেশটি পোশাক রপ্তানি থেকে ১৩ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে। এর আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ১৩ দশমিক ১৮ বিলিয়ন ডলার। দেশটির রপ্তানির পরিমাণ ৯ দশমিক ০২ শতাংশ বেড়েছে।

 

উল্লেখ্য, গত বছরের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত সময়ে যুক্তরাষ্ট্রে চীনের পোশাক রপ্তানি থেকে আয় ০ দশমিক ৩০ শতাংশ কমেছে। সার্বিকভাবে গত বছরের প্রথম ১১ মাসে যুক্তরাষ্ট্রের পোশাক আমদানির পরিমাণ ছিল ৭২ দশমিক ৯৪ বিলিয়ন ডলার। আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় যা ০ দশমিক ৬৩ শতাংশ বেশি।