ঢাকা ০৫:০৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫, ৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশঃ
 জরুরি সংবাদকর্মী আবশ্যক। আগ্রহীরা ইমেইল আবেদন করুনঃ chalonbilersomoy@gmail.com। চলনবিলের সময় এর সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। 

নড়াইলে ঐতিহ্যবাহী ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা

পরিবর্তন টিভি নিউজ ডেস্কঃ
  • আপডেট সময় : ১০:২৮:১০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫ ৫৪ বার পড়া হয়েছে
চলনবিলের সময় অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নড়াইলে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

 

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নড়াইল সদর উপজেলার বিছালি ইউনিয়নের চাকই মাঠে এ ঘোড়দৌড় অনুষ্ঠিত হয়।

 

তিন দিনব্যাপী চাকই-রুখালী ঐতিহ্যবাহী পৌষ মেলার প্রথম দিনে আয়োজিত এ ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতাকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই বিস্তীর্ণ ফাঁকা মাঠজুড়ে মেলা বসে। মেলায় শিশুদের নাগরদোলা থেকে শুরু করে নানা পণ্যসামগ্রী ও খাবারের দোকান বসতে দেখা যায়।

 

রঙিন বেলুন হাতে শিশুদের মাতামাতিও ছিলো লক্ষণীয়। দূর-দূরান্ত থেকে আসা হাজার হাজার নারী-পুরুষ ও শিশুর উপস্থিতিতে মুখরিত হয়ে ওঠে গোটা মাঠ। শীতের পড়ন্ত বিকেলে ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা উপভোগ করেন সকলেই।

 

দর্শনার্থীরা জানান, বহু বছর ধরে চাকই-রুখালী ঐতিহ্যবাহী পৌষ মেলায় ঘোড়দৌড় অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এখানে হাজার হাজার মানুষের সমাগম ঘটে। মানুষের মনে আনন্দ-উল্লাস সৃষ্টি হয়। প্রতিটা বাড়িতে বিভিন্ন এলাকা হতে আত্মীয় স্বজনে ভরে যায়। এক অন্যরকম আনন্দমুখর পরিবেশে এ মেলা পালিত হয়।

 

ঘোড়ার মালিকরা জানান, ঘোড়া দাবড়াতে তাদের অনেক খরচ হয়। কোথাও পুরষ্কার পান আবার কোথাও পান না। কিন্ত তারপরও তারা আনন্দের জন্য অনেক জায়গা ঘোড়া দাবড়াতে জান তারা।

 

আয়োজক সূত্রে জানা যায়, নড়াইল, যশোর, মাগুরাসহ বিভিন্ন এলাকা আসা ৩২টি ঘোড়া প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। এতে প্রথম হয় যশোরের অভয়নগর উপজেলার সিংগাড়ী থেকে আসা রাব্বি ইসলামের ঘোড়া প্রথম, নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার নওখোলা গ্রামের আইয়ুব হোসেনের ঘোড়াটি দ্বিতীয়, নড়াইল সদর উপজেলার মির্জাপুরের নিছার আলীর ঘোড়াটি তৃতীয় এবং যশোরের অভয়নগর উপজেলার পুড়াখালী এলাকার মো. রাসেলের ঘোড়াটি চতুর্থ হয়েছে। যথাক্রমে তাদের দশ হাজার, সাত হাজার, পাঁচ হাজার ও তিন হাজার টাকা উপহার দেওয়া হয়েছে।

 

মেলা আয়োজক কমিটির সভাপতি ও বিছালী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি কাজী হাসরাত বলেন, ঐতিহ্য ধরে রাখার জন্য আমাদের এই আয়োজন৷ যাতে আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম এটা সম্পর্কে জানতে পারে এবং আরও সুন্দর করে পালন করতে পারে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

নড়াইলে ঐতিহ্যবাহী ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা

আপডেট সময় : ১০:২৮:১০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫

নড়াইলে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

 

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নড়াইল সদর উপজেলার বিছালি ইউনিয়নের চাকই মাঠে এ ঘোড়দৌড় অনুষ্ঠিত হয়।

 

তিন দিনব্যাপী চাকই-রুখালী ঐতিহ্যবাহী পৌষ মেলার প্রথম দিনে আয়োজিত এ ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতাকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই বিস্তীর্ণ ফাঁকা মাঠজুড়ে মেলা বসে। মেলায় শিশুদের নাগরদোলা থেকে শুরু করে নানা পণ্যসামগ্রী ও খাবারের দোকান বসতে দেখা যায়।

 

রঙিন বেলুন হাতে শিশুদের মাতামাতিও ছিলো লক্ষণীয়। দূর-দূরান্ত থেকে আসা হাজার হাজার নারী-পুরুষ ও শিশুর উপস্থিতিতে মুখরিত হয়ে ওঠে গোটা মাঠ। শীতের পড়ন্ত বিকেলে ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা উপভোগ করেন সকলেই।

 

দর্শনার্থীরা জানান, বহু বছর ধরে চাকই-রুখালী ঐতিহ্যবাহী পৌষ মেলায় ঘোড়দৌড় অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এখানে হাজার হাজার মানুষের সমাগম ঘটে। মানুষের মনে আনন্দ-উল্লাস সৃষ্টি হয়। প্রতিটা বাড়িতে বিভিন্ন এলাকা হতে আত্মীয় স্বজনে ভরে যায়। এক অন্যরকম আনন্দমুখর পরিবেশে এ মেলা পালিত হয়।

 

ঘোড়ার মালিকরা জানান, ঘোড়া দাবড়াতে তাদের অনেক খরচ হয়। কোথাও পুরষ্কার পান আবার কোথাও পান না। কিন্ত তারপরও তারা আনন্দের জন্য অনেক জায়গা ঘোড়া দাবড়াতে জান তারা।

 

আয়োজক সূত্রে জানা যায়, নড়াইল, যশোর, মাগুরাসহ বিভিন্ন এলাকা আসা ৩২টি ঘোড়া প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। এতে প্রথম হয় যশোরের অভয়নগর উপজেলার সিংগাড়ী থেকে আসা রাব্বি ইসলামের ঘোড়া প্রথম, নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার নওখোলা গ্রামের আইয়ুব হোসেনের ঘোড়াটি দ্বিতীয়, নড়াইল সদর উপজেলার মির্জাপুরের নিছার আলীর ঘোড়াটি তৃতীয় এবং যশোরের অভয়নগর উপজেলার পুড়াখালী এলাকার মো. রাসেলের ঘোড়াটি চতুর্থ হয়েছে। যথাক্রমে তাদের দশ হাজার, সাত হাজার, পাঁচ হাজার ও তিন হাজার টাকা উপহার দেওয়া হয়েছে।

 

মেলা আয়োজক কমিটির সভাপতি ও বিছালী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি কাজী হাসরাত বলেন, ঐতিহ্য ধরে রাখার জন্য আমাদের এই আয়োজন৷ যাতে আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম এটা সম্পর্কে জানতে পারে এবং আরও সুন্দর করে পালন করতে পারে।