ঢাকা ০৯:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫, ৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo নশিপুর ইউপিতে বিনামূল্যে চারাগাছ বিতরনে সাবেক এমপি লালু Logo উত্তরায় বিমান বিধ্বস্তে নিহত বেড়ে ১৯ Logo চাটমোহরের হান্ডিয়াল কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পেশ ইমাম সবুর মিঞা আর নেই Logo বগুড়ায় “চলনবিলের সময়” পত্রিকার সাংবাদকর্মীদের মাঝে হাসিমুখে পরিচয়পত্র ও নিয়োগপত্র প্রদান Logo মেধাভিত্তিক দেশ গঠনে শিক্ষা অপরিহার্য: ব্যারিস্টার অসীম Logo রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পাচ্ছেন মাদ্রাসাশিক্ষার্থীরা Logo জুলাই যোদ্ধাদের জন্য চাকরিতে কোটা থাকছে না : মুক্তিযুদ্ধ উপদেষ্টা Logo ৮ দফা দাবিতে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে তালা ঝুলিয়ে অবস্থান ধর্মঘট করেছেন শিক্ষার্থীরা Logo বিআরটিএ পাবনা সার্কেলের অভিযানে ১২ টি মামলা ও ২৯ হাজার টাকা জরিমানা Logo পদ্মার ভাঙনে সুজানগরের মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাচ্ছে শ শ বাড়ীঘর ও ফসলী জমি
নোটিশঃ
 জরুরি সংবাদকর্মী আবশ্যক। আগ্রহীরা ইমেইল আবেদন করুনঃ chalonbilersomoy@gmail.com। চলনবিলের সময় এর সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। 

চেয়ারম্যান-মেয়র হতে লাগবে স্নাতক ডিগ্রি

পরিবর্তন টিভি নিউজ ডেস্কঃ
  • আপডেট সময় : ০৮:২৭:২৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫ ৬১ বার পড়া হয়েছে

ফাইল ছবি

চলনবিলের সময় অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

পৌরসভা-সিটি করপোরেশনের মেয়র এবং ইউনিয়ন-উপজেলা-জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নিরক্ষর ও স্বল্পশিক্ষিতরা নির্বাচন করতে পারবেন না। এসব পদে নির্বাচন করতে গেলে ন্যূনতম স্নাতক ডিগ্রি লাগবে। এ ছাড়া থাকবে না সরাসরি ভোটের বিধানও।

 

বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের মতামত বিশ্লেষণ ও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে এমন সুপারিশ করতে যাচ্ছে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন। আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের দিকে এই প্রতিবেদন জমা দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে কমিশন।

 

এ বিষয়ে সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. তোফায়েল আহমদ গণমাধ্যমকে বলেন, সাধারণ মানুষের অভিযোগ—দল-পেশীশক্তি ও টাকার দাপটের কারণে শিক্ষিত মানুষ জনপ্রতিনিধি হতে পারেন না। নিরক্ষর লোক যেন জনপ্রতিনিধি হতে না পারেন, শিক্ষিতরা জনপ্রতিনিধি হতে আগ্রহী হন এবং বিজয়ী হয়ে আসতে পারেন, এমনভাবে সংস্কারের প্রস্তাব দেয়া হবে।

 

ইউপি সদস্যরা ভোট দিয়ে যাকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করবেন, তাকে কমপক্ষে স্নাতক ডিগ্রিধারী হতে হবে। ইউপি সদস্যদের মধ্যে একজনকে সভাধ্যক্ষ নির্বাচিত করা হবে। সভাধ্যক্ষকেও স্নাতক ডিগ্রিধারী হতে হবে। এভাবেই সিটি করপোরেশন এবং পৌরসভায় নির্বাচন হবে।

জানা গেছে, চেয়ারম্যান ও মেয়রদের সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করতে হবে। তাই তাদের বেতন কাঠামোতেও সংস্কারের প্রস্তাব আনা হয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যানের বেতন উপজেলা পর্যায়ের প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তার সমান ও পৌর মেয়রের বেতন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সমান হবে। এ ছাড়া স্থানীয় সরকারে উপদেষ্টা বা কোনো পদে থাকতে পারবেন না সংসদ সদস্যরা (এমপি)। তারা শুধু সভায় উপস্থিত হয়ে মতামত দিতে পারবেন।

 

সংস্কার কমিশন ৫০ হাজারের চেয়ে কম জনসংখ্যার পৌরসভাকে বাতিলের সুপারিশ করবে। কেননা এসব পৌরসভার বেশির ভাগই অতীতে দলীয় নেতাদের পুনর্বাসনের জন্য করা হয়েছে। এসব পৌরসভায় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাসের পর মাস বেতন বকেয়া থাকে। এ ধরনের প্রায় শখানেক পৌরসভাকে ইউনিয়নের সঙ্গে একীভূত করা জন্য কমিশন সুপারিশ করবে।

 

এ বিষয়ে কমিশনপ্রধান ড. তোফায়েল জানান, ২০২১ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত স্থানীয় সরকারে ভোট করতে নির্বাচন কমিশনের ২৩ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। একই সঙ্গে এসব নির্বাচন করলে খরচ হতো ৬০০ কোটি টাকা। এ জন্য প্রস্তাবে সব স্থানীয় সরকার নির্বাচন একসঙ্গে করার সুপারিশ থাকবে। আর কোনো স্থানীয় সরকার নির্বাচন দলীয় প্রতীকে হবে না।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

চেয়ারম্যান-মেয়র হতে লাগবে স্নাতক ডিগ্রি

আপডেট সময় : ০৮:২৭:২৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫

পৌরসভা-সিটি করপোরেশনের মেয়র এবং ইউনিয়ন-উপজেলা-জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নিরক্ষর ও স্বল্পশিক্ষিতরা নির্বাচন করতে পারবেন না। এসব পদে নির্বাচন করতে গেলে ন্যূনতম স্নাতক ডিগ্রি লাগবে। এ ছাড়া থাকবে না সরাসরি ভোটের বিধানও।

 

বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের মতামত বিশ্লেষণ ও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে এমন সুপারিশ করতে যাচ্ছে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন। আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের দিকে এই প্রতিবেদন জমা দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে কমিশন।

 

এ বিষয়ে সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. তোফায়েল আহমদ গণমাধ্যমকে বলেন, সাধারণ মানুষের অভিযোগ—দল-পেশীশক্তি ও টাকার দাপটের কারণে শিক্ষিত মানুষ জনপ্রতিনিধি হতে পারেন না। নিরক্ষর লোক যেন জনপ্রতিনিধি হতে না পারেন, শিক্ষিতরা জনপ্রতিনিধি হতে আগ্রহী হন এবং বিজয়ী হয়ে আসতে পারেন, এমনভাবে সংস্কারের প্রস্তাব দেয়া হবে।

 

ইউপি সদস্যরা ভোট দিয়ে যাকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করবেন, তাকে কমপক্ষে স্নাতক ডিগ্রিধারী হতে হবে। ইউপি সদস্যদের মধ্যে একজনকে সভাধ্যক্ষ নির্বাচিত করা হবে। সভাধ্যক্ষকেও স্নাতক ডিগ্রিধারী হতে হবে। এভাবেই সিটি করপোরেশন এবং পৌরসভায় নির্বাচন হবে।

জানা গেছে, চেয়ারম্যান ও মেয়রদের সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করতে হবে। তাই তাদের বেতন কাঠামোতেও সংস্কারের প্রস্তাব আনা হয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যানের বেতন উপজেলা পর্যায়ের প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তার সমান ও পৌর মেয়রের বেতন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সমান হবে। এ ছাড়া স্থানীয় সরকারে উপদেষ্টা বা কোনো পদে থাকতে পারবেন না সংসদ সদস্যরা (এমপি)। তারা শুধু সভায় উপস্থিত হয়ে মতামত দিতে পারবেন।

 

সংস্কার কমিশন ৫০ হাজারের চেয়ে কম জনসংখ্যার পৌরসভাকে বাতিলের সুপারিশ করবে। কেননা এসব পৌরসভার বেশির ভাগই অতীতে দলীয় নেতাদের পুনর্বাসনের জন্য করা হয়েছে। এসব পৌরসভায় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাসের পর মাস বেতন বকেয়া থাকে। এ ধরনের প্রায় শখানেক পৌরসভাকে ইউনিয়নের সঙ্গে একীভূত করা জন্য কমিশন সুপারিশ করবে।

 

এ বিষয়ে কমিশনপ্রধান ড. তোফায়েল জানান, ২০২১ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত স্থানীয় সরকারে ভোট করতে নির্বাচন কমিশনের ২৩ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। একই সঙ্গে এসব নির্বাচন করলে খরচ হতো ৬০০ কোটি টাকা। এ জন্য প্রস্তাবে সব স্থানীয় সরকার নির্বাচন একসঙ্গে করার সুপারিশ থাকবে। আর কোনো স্থানীয় সরকার নির্বাচন দলীয় প্রতীকে হবে না।