ঢাকা ১২:১৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫, ৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশঃ
 জরুরি সংবাদকর্মী আবশ্যক। আগ্রহীরা ইমেইল আবেদন করুনঃ chalonbilersomoy@gmail.com। চলনবিলের সময় এর সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। 

বাজারে সবজি ও পেঁয়াজ পর্যাপ্ত, ক্রেতা কম

মেহেরপুর প্রতিনিধি,পরিবর্তন টিভি
  • আপডেট সময় : ০৯:১৩:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫ ৫৪ বার পড়া হয়েছে
চলনবিলের সময় অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সামনে সাজানো শীতকালীন সবজির পসরা। গালে হাত দিয়ে চিন্তায় মগ্ন সবজি চাষি মনিরুল ইসলাম। মেহেরপুর সদর উপজেলার কালিগাংনী গ্রামের চাষি কামরুল ইসলাম নিজের আবাদকৃত সবজি বাজারে বিক্রি করেন। তবে গেল কয়েক হাট এভাবেই তাকে গালে হাত দিয়ে চিন্তায় থাকতে দেখা গেছে ক্রেতার আশায়।

 

শনিবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুরে গাংনীর সাপ্তাহিক হাটে মনিরুলের মতো অনেক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী এভাবেই বসে ছিলেন।

 

সবজি বিক্রেতা কামরুল ইসলাম জানান, তিনি সারা বছরই নিজের জমিতে সবজি আবাদ করে নিজেই বিক্রি করেন। এতে তার লাভ একটু বেশি হয়। পালংশাক প্রতি কেজিতে ৫ টাকাও পাওয়া যাচ্ছে না। বাঁধাকপি বিক্রি করতে হচ্ছে ২-৫ টাকা কেজিতে, যা বিক্রি করে খেতের ফসল তোলার খরচই হচ্ছে না।

 

শনিবার জেলার হাটবাজারগুলোতে ১০০ টাকা মিলছে ৫ কেজি আলু। বেগুন, টমেটো, লাউ রয়েছে ২০ টাকার মধ্যে। বাঁধাকপি ও ফুলকপি গেল সপ্তাহের মতই বিক্রি হচ্ছে ৩ থেকে ৫ টাকা কেজি এবং প্রতি কেজি পেঁয়াজ পাওয়া যাচ্ছে ৩০-৩৫ টাকায়।

 

ক্রেতারা কেনার পরিমাণ বাড়িয়ে দিলেও বাজারে অবশিষ্ট থেকে যাচ্ছে শীতের শাকসবজি। প্রতিদিন যে পরিমাণ সবজি আমদানি হচ্ছে সে তুলনায় ক্রেতার চাহিদা অনেক কম। ফলে কৃষকের পাশাপাশি ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরাও লোকসানের মুখে পড়েছে। তবে ক্রেতাদের মনে স্বস্তি দেখা দিলেও সারা বছর নিয়ন্ত্রিত দর নিশ্চিত করার দাবি তাদের।

 

সবজি ক্রেতা জিল্লুর রহমান বলেন, কিছুদিন আগেও আমরা সামান্য পরিমাণ পেঁয়াজ, আলু ও সবজি কিনেছি। এখন কিনছি ব্যাগ ভরে। তবে বাজারে প্রচুর আমদানি তাই প্রচুর কেনার পরেও সংকট হচ্ছে না। তবে চাষির লোকসানের কথা চিন্তা করে ক্রেতা হিসেবেও আমরা স্বস্তি পাচ্ছি না। শীতে কম মূল্য এবং অন্য সময় চড়া মূল্য থাকে। এ ব্যবস্থাপনা আমরা চায় না। আমরা চায় সব সময় বাজার একটা নিয়ন্ত্রণ অবস্থা থাকুক। যাতে কৃষকও বাঁচবে এবং ক্রেতাদেরও ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে থাকবে।

 

সবজি বিক্রেতা আমিরুল ইসলাম ও হালিম হোসেন জানান, পাইকারি বাজার থেকে কম দামেই পাওয়া যাচ্ছে আলু এবং সবজি। তবে হাটে বিপুল পরিমাণ আমদানি থাকায় ব্যবসায়ীদের লোকসান গুনতে হচ্ছে।

 

মেহেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিজয় কৃষ্ণ হালদার বলেন, আমদানির ওপর কাঁচা সবজির দর নির্ভর করে। এবার একসঙ্গে সারা দেশেই বিপুল পরিমাণ সবজি উঠেছে। তাই দর এত নিচে নেমেছে। লোকসান এড়াতে বছরের বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন সবজির আবাদ করার জন্য চাষিদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

বাজারে সবজি ও পেঁয়াজ পর্যাপ্ত, ক্রেতা কম

আপডেট সময় : ০৯:১৩:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫

সামনে সাজানো শীতকালীন সবজির পসরা। গালে হাত দিয়ে চিন্তায় মগ্ন সবজি চাষি মনিরুল ইসলাম। মেহেরপুর সদর উপজেলার কালিগাংনী গ্রামের চাষি কামরুল ইসলাম নিজের আবাদকৃত সবজি বাজারে বিক্রি করেন। তবে গেল কয়েক হাট এভাবেই তাকে গালে হাত দিয়ে চিন্তায় থাকতে দেখা গেছে ক্রেতার আশায়।

 

শনিবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুরে গাংনীর সাপ্তাহিক হাটে মনিরুলের মতো অনেক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী এভাবেই বসে ছিলেন।

 

সবজি বিক্রেতা কামরুল ইসলাম জানান, তিনি সারা বছরই নিজের জমিতে সবজি আবাদ করে নিজেই বিক্রি করেন। এতে তার লাভ একটু বেশি হয়। পালংশাক প্রতি কেজিতে ৫ টাকাও পাওয়া যাচ্ছে না। বাঁধাকপি বিক্রি করতে হচ্ছে ২-৫ টাকা কেজিতে, যা বিক্রি করে খেতের ফসল তোলার খরচই হচ্ছে না।

 

শনিবার জেলার হাটবাজারগুলোতে ১০০ টাকা মিলছে ৫ কেজি আলু। বেগুন, টমেটো, লাউ রয়েছে ২০ টাকার মধ্যে। বাঁধাকপি ও ফুলকপি গেল সপ্তাহের মতই বিক্রি হচ্ছে ৩ থেকে ৫ টাকা কেজি এবং প্রতি কেজি পেঁয়াজ পাওয়া যাচ্ছে ৩০-৩৫ টাকায়।

 

ক্রেতারা কেনার পরিমাণ বাড়িয়ে দিলেও বাজারে অবশিষ্ট থেকে যাচ্ছে শীতের শাকসবজি। প্রতিদিন যে পরিমাণ সবজি আমদানি হচ্ছে সে তুলনায় ক্রেতার চাহিদা অনেক কম। ফলে কৃষকের পাশাপাশি ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরাও লোকসানের মুখে পড়েছে। তবে ক্রেতাদের মনে স্বস্তি দেখা দিলেও সারা বছর নিয়ন্ত্রিত দর নিশ্চিত করার দাবি তাদের।

 

সবজি ক্রেতা জিল্লুর রহমান বলেন, কিছুদিন আগেও আমরা সামান্য পরিমাণ পেঁয়াজ, আলু ও সবজি কিনেছি। এখন কিনছি ব্যাগ ভরে। তবে বাজারে প্রচুর আমদানি তাই প্রচুর কেনার পরেও সংকট হচ্ছে না। তবে চাষির লোকসানের কথা চিন্তা করে ক্রেতা হিসেবেও আমরা স্বস্তি পাচ্ছি না। শীতে কম মূল্য এবং অন্য সময় চড়া মূল্য থাকে। এ ব্যবস্থাপনা আমরা চায় না। আমরা চায় সব সময় বাজার একটা নিয়ন্ত্রণ অবস্থা থাকুক। যাতে কৃষকও বাঁচবে এবং ক্রেতাদেরও ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে থাকবে।

 

সবজি বিক্রেতা আমিরুল ইসলাম ও হালিম হোসেন জানান, পাইকারি বাজার থেকে কম দামেই পাওয়া যাচ্ছে আলু এবং সবজি। তবে হাটে বিপুল পরিমাণ আমদানি থাকায় ব্যবসায়ীদের লোকসান গুনতে হচ্ছে।

 

মেহেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিজয় কৃষ্ণ হালদার বলেন, আমদানির ওপর কাঁচা সবজির দর নির্ভর করে। এবার একসঙ্গে সারা দেশেই বিপুল পরিমাণ সবজি উঠেছে। তাই দর এত নিচে নেমেছে। লোকসান এড়াতে বছরের বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন সবজির আবাদ করার জন্য চাষিদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।