ঢাকা ০৩:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫, ৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মেধাভিত্তিক দেশ গঠনে শিক্ষা অপরিহার্য: ব্যারিস্টার অসীম Logo রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পাচ্ছেন মাদ্রাসাশিক্ষার্থীরা Logo জুলাই যোদ্ধাদের জন্য চাকরিতে কোটা থাকছে না : মুক্তিযুদ্ধ উপদেষ্টা Logo ৮ দফা দাবিতে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে তালা ঝুলিয়ে অবস্থান ধর্মঘট করেছেন শিক্ষার্থীরা Logo বিআরটিএ পাবনা সার্কেলের অভিযানে ১২ টি মামলা ও ২৯ হাজার টাকা জরিমানা Logo পদ্মার ভাঙনে সুজানগরের মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাচ্ছে শ শ বাড়ীঘর ও ফসলী জমি Logo ৭ম জন্মদিনে স্বপ্নকে শাজাহানপুর প্রেসক্লাবের উষ্ণ অভিনন্দন! Logo টাইগারদের দাপুটে বোলিংয়ে বিধ্বস্ত পাক ব্যাটাররা, মামুলি লক্ষ্য বাংলাদেশের Logo মধ্যরাতে মদ্যপ অবস্থায় নোবেলের মারামারি, অতঃপর… Logo হাতে পবিত্র কোরআন লিখলেন ৯ বছরের শিশু
নোটিশঃ
 জরুরি সংবাদকর্মী আবশ্যক। আগ্রহীরা ইমেইল আবেদন করুনঃ chalonbilersomoy@gmail.com। চলনবিলের সময় এর সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। 

ব্যবসায়ীরা গণতান্ত্রিক সরকার চায়: বিসিআই সভাপতি

অর্থনীতি নিউজ ডেস্ক,পরিবর্তন টিভি
  • আপডেট সময় : ০৯:২৪:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫ ৫৬ বার পড়া হয়েছে

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন বিসিআইয়ের সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

চলনবিলের সময় অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রির (বিসিআই) সভাপতি আনোয়ারুল আলম চৌধুরী পারভেজ বলেছেন, ‌ব্যবসায়ীরা গণতান্ত্রিক সরকার চায়। গণতান্ত্রিক সরকার ছাড়া স্বস্তি ফিরবে না। তাই যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় যাওয়া উচিত অন্তর্বর্তী সরকারের।

 

শনিবার (২৫ জানুয়ারি) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী। বিসিআই দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি, শিল্প ও ব্যবসা-বাণিজ্যের চ্যালেঞ্জ নিয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।

 

আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী আরও বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার যত দ্রুত প্রয়োজনীয় সংস্কার করে বাকি সংস্কারের জন্য পথনকশা করে দিতে পারে, ততই মঙ্গল।

 

এ সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিসিআই সভাপতি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক সংকোচনমূলক নীতি নিয়েছে; তারল্য সরবরাহ কমিয়েছে। এগুলো দেশের অর্থনীতি, শিল্প ও ব্যবসায়ীদের জন্য অনুকূল নয়।

 

তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশ আইএমএফের প্রেসক্রিপশন নিয়ে কিছু জায়গায় প্রস্তুতি নিতে পারি; কমপ্ল্যায়েন্স পূরণ করার জন্য অনেক জায়গায় কাজ করতে পারি। কিন্তু, আইএমএফের প্রেসক্রিপশন পুরোপুরি বাস্তবায়ন করতে গেলে আমাদের অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব পড়বে।

 

দেশি উদ্যোক্তারা বিনিয়োগ করতে ভয় পেলে বিদেশি বিনিয়োগ কীভাবে আসবে—এমন প্রশ্ন রেখে বিসিআই সভাপতি বলেন, সুদহার বাড়ানো হচ্ছে, ভ্যাট বাড়ানো ও ঋণ শ্রেণিকরণের মেয়াদ ৬ মাস থেকে কমিয়ে ৩ মাসে নিয়ে আসার মতো পদক্ষেপ নেওয়া হলো। আবার যখন উপদেষ্টা গভর্নরের পক্ষ থেকে বলা হয়, দাম বাড়বে না, শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। এ ধরনের বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য শিল্প উদ্যোক্তাদের খুবই চিন্তিত করে।

 

বর্তমান সরকারের কার্যক্রমে অর্থনীতি অগ্রাধিকার পাচ্ছে না উল্লেখ করে আনোয়ার-উল আলম বলেন, সরকার একদিকে সুদহার বাড়িয়ে রেখেছে, অন্যদিকে আছে সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি। অন্যদিকে এখন পর্যন্ত জ্বালানি সমস্যার সুরাহা হয়নি; বরং নতুন করে মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে কথা হচ্ছে। ফলে এটা পরিষ্কার, সরকারের কার্যক্রম শিল্প খাতের জন্য ইতিবাচক নয়। এভাবে চললে নতুন শিল্প স্থাপন তো দূরের কথা, বিদ্যমান শিল্পপ্রতিষ্ঠানের পক্ষেও টিকে থাকা কঠিন।

 

দেশের রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে আনোয়ার-উল আলম বলেন, রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার ভয় কে পাচ্ছে না। এ ক্ষেত্রে তাৎক্ষণিক সমাধানও দেখা যাচ্ছে না। তার মতে, অন্তর্বর্তী সরকার যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় চলে যাওয়া উচিত। তাতে সবার মধ্যে স্বস্তি আসবে।

 

২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা (এলডিসি) থেকে উত্তরণের কথা আছে বাংলাদেশের। তবে এই সময়সীমা ২০২৯ সাল পর্যন্ত পেছানোর দাবি জানিয়েছে বিসিআই।

 

বিসিআই সভাপতি বলেন, গত সরকার বাহবা নেওয়ার জন্য ফোলানো-ফাঁপানো অর্থনৈতিক পরিসংখ্যান দিয়ে উত্তরণের পথে হেঁটেছিল। আমরা ব্যবসায়ীরা মনে করছি, এই সময়সীমা পেছানো না হলে দেশের অর্থনীতিতে বড় ধস নামবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ব্যবসায়ীরা গণতান্ত্রিক সরকার চায়: বিসিআই সভাপতি

আপডেট সময় : ০৯:২৪:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫

বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রির (বিসিআই) সভাপতি আনোয়ারুল আলম চৌধুরী পারভেজ বলেছেন, ‌ব্যবসায়ীরা গণতান্ত্রিক সরকার চায়। গণতান্ত্রিক সরকার ছাড়া স্বস্তি ফিরবে না। তাই যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় যাওয়া উচিত অন্তর্বর্তী সরকারের।

 

শনিবার (২৫ জানুয়ারি) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী। বিসিআই দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি, শিল্প ও ব্যবসা-বাণিজ্যের চ্যালেঞ্জ নিয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।

 

আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী আরও বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার যত দ্রুত প্রয়োজনীয় সংস্কার করে বাকি সংস্কারের জন্য পথনকশা করে দিতে পারে, ততই মঙ্গল।

 

এ সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিসিআই সভাপতি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক সংকোচনমূলক নীতি নিয়েছে; তারল্য সরবরাহ কমিয়েছে। এগুলো দেশের অর্থনীতি, শিল্প ও ব্যবসায়ীদের জন্য অনুকূল নয়।

 

তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশ আইএমএফের প্রেসক্রিপশন নিয়ে কিছু জায়গায় প্রস্তুতি নিতে পারি; কমপ্ল্যায়েন্স পূরণ করার জন্য অনেক জায়গায় কাজ করতে পারি। কিন্তু, আইএমএফের প্রেসক্রিপশন পুরোপুরি বাস্তবায়ন করতে গেলে আমাদের অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব পড়বে।

 

দেশি উদ্যোক্তারা বিনিয়োগ করতে ভয় পেলে বিদেশি বিনিয়োগ কীভাবে আসবে—এমন প্রশ্ন রেখে বিসিআই সভাপতি বলেন, সুদহার বাড়ানো হচ্ছে, ভ্যাট বাড়ানো ও ঋণ শ্রেণিকরণের মেয়াদ ৬ মাস থেকে কমিয়ে ৩ মাসে নিয়ে আসার মতো পদক্ষেপ নেওয়া হলো। আবার যখন উপদেষ্টা গভর্নরের পক্ষ থেকে বলা হয়, দাম বাড়বে না, শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। এ ধরনের বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য শিল্প উদ্যোক্তাদের খুবই চিন্তিত করে।

 

বর্তমান সরকারের কার্যক্রমে অর্থনীতি অগ্রাধিকার পাচ্ছে না উল্লেখ করে আনোয়ার-উল আলম বলেন, সরকার একদিকে সুদহার বাড়িয়ে রেখেছে, অন্যদিকে আছে সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি। অন্যদিকে এখন পর্যন্ত জ্বালানি সমস্যার সুরাহা হয়নি; বরং নতুন করে মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে কথা হচ্ছে। ফলে এটা পরিষ্কার, সরকারের কার্যক্রম শিল্প খাতের জন্য ইতিবাচক নয়। এভাবে চললে নতুন শিল্প স্থাপন তো দূরের কথা, বিদ্যমান শিল্পপ্রতিষ্ঠানের পক্ষেও টিকে থাকা কঠিন।

 

দেশের রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে আনোয়ার-উল আলম বলেন, রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার ভয় কে পাচ্ছে না। এ ক্ষেত্রে তাৎক্ষণিক সমাধানও দেখা যাচ্ছে না। তার মতে, অন্তর্বর্তী সরকার যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় চলে যাওয়া উচিত। তাতে সবার মধ্যে স্বস্তি আসবে।

 

২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা (এলডিসি) থেকে উত্তরণের কথা আছে বাংলাদেশের। তবে এই সময়সীমা ২০২৯ সাল পর্যন্ত পেছানোর দাবি জানিয়েছে বিসিআই।

 

বিসিআই সভাপতি বলেন, গত সরকার বাহবা নেওয়ার জন্য ফোলানো-ফাঁপানো অর্থনৈতিক পরিসংখ্যান দিয়ে উত্তরণের পথে হেঁটেছিল। আমরা ব্যবসায়ীরা মনে করছি, এই সময়সীমা পেছানো না হলে দেশের অর্থনীতিতে বড় ধস নামবে।