ঢাকা ০৫:৩১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫, ৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশঃ
 জরুরি সংবাদকর্মী আবশ্যক। আগ্রহীরা ইমেইল আবেদন করুনঃ chalonbilersomoy@gmail.com। চলনবিলের সময় এর সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। 

বাংলাদেশ ইস্যু যে কারণে মোদির ওপর ছেড়ে দেন ট্রাম্প

আন্তর্জাতিক নিউজ ডেস্ক ,পরিবর্তন টিভি
  • আপডেট সময় : ১১:১৯:১৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ৬৩ বার পড়া হয়েছে

ছবি: সংগৃহীত

চলনবিলের সময় অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

হোয়াইট হাউসে নরেন্দ্র মোদি ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের ঠিক পরেই সাংবাদিক সম্মেলনে এক ভারতীয় সাংবাদিকের কাছ থেকে প্রশ্নটা ধেয়ে আসে মার্কিন প্রেসিডেন্টের দিকে!

তিনি জানতে চান, আমরা দেখেছি, কীভাবে যুক্তরাষ্ট্রের ডিপ স্টেট বাইডেন প্রশাসনের সময় দেশটির শাসন পরিবর্তনে জড়িত ছিল- এটি স্পষ্ট। আর তারপর মোহাম্মদ ইউনূস জুনিয়র সোরোসের সঙ্গে দেখা করেন… তো বাংলাদেশ নিয়ে আপনি কী বলবেন?

 

জবাবে ট্রাম্প বলেন, না, আমাদের ডিপ স্টেটের এখানে কোনো ভূমিকা ছিল না। প্রধানমন্ত্রী (ভারতের) এই বিষয়টা নিয়ে বহুদিন ধরে কাজ করেছেন…। আসলে আমি পড়েছি (ভারত) এটা নিয়ে শত শত বছর ধরে কাজ করেছে। কাজেই বাংলাদেশের বিষয়ে উত্তর দিতে আমি প্রধানমন্ত্রীর (ভারতের) ওপরই ছেড়ে দিতে চাই।

কিন্তু আমেরিকান প্রেসিডেন্টের এমন মন্তব্যে মোদি কোনো উত্তর দেননি। এরপরই মোদি ইউক্রেন প্রসঙ্গে কথা বলতে শুরু করেন।

এ ছাড়া এদিন হোয়াইট হাউসের বৈঠক তাদের মধ্যে বাণিজ্য, শুল্ক, অভিবাসনসহ নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।

দুদিনের সফরে যুক্তরাষ্ট্রের গিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। সফরকালে ট্রাম্পের পাশাপাশি ইলন মাস্কসহ যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ নেতা ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন তিনি।

 

মোদির বিষয়ে ট্রাম্প বলেছেন, আমাদের মধ্যে দারুণ সম্পর্ক রয়েছে। তবে ব্যক্তিগত সম্পর্ক ভালো হলেও বাণিজ্য নিয়ে দুই নেতার মধ্যে বেশ মতপার্থক্য রয়েছে। ট্রাম্প জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র ভারতের কাছে কোটি কোটি ডলারের সামরিক সরঞ্জাম বিক্রি করবে এবং ভবিষ্যতে দিল্লিকে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান সরবরাহ করা হবে।

 

বৈঠকে অভিবাসন ইস্যু নিয়েও আলোচনা হয়। ট্রাম্প আশা করেন, ভারত যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত কয়েক হাজার অনথিভুক্ত অভিবাসীকে ফিরিয়ে নেবে।

 

এর আগে মোদি বলেন, তিনি স্পেস, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন নিয়ে ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মিত্র ইলন মাস্কের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। মোদি আরও বলেন, আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, ট্রাম্পের সঙ্গে আমরা তার প্রথম মেয়াদের তুলনায় দ্বিগুণ গতিতে কাজ করবো।

 

এদিকে, ট্রাম্প তার উপদেষ্টাদের নির্দেশ দিয়েছেন, বিশ্বব্যাপী মার্কিন বাণিজ্য অংশীদারদের ওপর নতুন শুল্ক নির্ধারণ করতে। এসব শুল্ক আগামী ১ এপ্রিল থেকে কার্যকর হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন তিনি। শুল্ক আরোপ হতে যাওয়া সম্ভাব্য দেশের তালিকায় ভারতেরও নাম রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

বাংলাদেশ ইস্যু যে কারণে মোদির ওপর ছেড়ে দেন ট্রাম্প

আপডেট সময় : ১১:১৯:১৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

হোয়াইট হাউসে নরেন্দ্র মোদি ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের ঠিক পরেই সাংবাদিক সম্মেলনে এক ভারতীয় সাংবাদিকের কাছ থেকে প্রশ্নটা ধেয়ে আসে মার্কিন প্রেসিডেন্টের দিকে!

তিনি জানতে চান, আমরা দেখেছি, কীভাবে যুক্তরাষ্ট্রের ডিপ স্টেট বাইডেন প্রশাসনের সময় দেশটির শাসন পরিবর্তনে জড়িত ছিল- এটি স্পষ্ট। আর তারপর মোহাম্মদ ইউনূস জুনিয়র সোরোসের সঙ্গে দেখা করেন… তো বাংলাদেশ নিয়ে আপনি কী বলবেন?

 

জবাবে ট্রাম্প বলেন, না, আমাদের ডিপ স্টেটের এখানে কোনো ভূমিকা ছিল না। প্রধানমন্ত্রী (ভারতের) এই বিষয়টা নিয়ে বহুদিন ধরে কাজ করেছেন…। আসলে আমি পড়েছি (ভারত) এটা নিয়ে শত শত বছর ধরে কাজ করেছে। কাজেই বাংলাদেশের বিষয়ে উত্তর দিতে আমি প্রধানমন্ত্রীর (ভারতের) ওপরই ছেড়ে দিতে চাই।

কিন্তু আমেরিকান প্রেসিডেন্টের এমন মন্তব্যে মোদি কোনো উত্তর দেননি। এরপরই মোদি ইউক্রেন প্রসঙ্গে কথা বলতে শুরু করেন।

এ ছাড়া এদিন হোয়াইট হাউসের বৈঠক তাদের মধ্যে বাণিজ্য, শুল্ক, অভিবাসনসহ নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।

দুদিনের সফরে যুক্তরাষ্ট্রের গিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। সফরকালে ট্রাম্পের পাশাপাশি ইলন মাস্কসহ যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ নেতা ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন তিনি।

 

মোদির বিষয়ে ট্রাম্প বলেছেন, আমাদের মধ্যে দারুণ সম্পর্ক রয়েছে। তবে ব্যক্তিগত সম্পর্ক ভালো হলেও বাণিজ্য নিয়ে দুই নেতার মধ্যে বেশ মতপার্থক্য রয়েছে। ট্রাম্প জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র ভারতের কাছে কোটি কোটি ডলারের সামরিক সরঞ্জাম বিক্রি করবে এবং ভবিষ্যতে দিল্লিকে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান সরবরাহ করা হবে।

 

বৈঠকে অভিবাসন ইস্যু নিয়েও আলোচনা হয়। ট্রাম্প আশা করেন, ভারত যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত কয়েক হাজার অনথিভুক্ত অভিবাসীকে ফিরিয়ে নেবে।

 

এর আগে মোদি বলেন, তিনি স্পেস, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন নিয়ে ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মিত্র ইলন মাস্কের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। মোদি আরও বলেন, আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, ট্রাম্পের সঙ্গে আমরা তার প্রথম মেয়াদের তুলনায় দ্বিগুণ গতিতে কাজ করবো।

 

এদিকে, ট্রাম্প তার উপদেষ্টাদের নির্দেশ দিয়েছেন, বিশ্বব্যাপী মার্কিন বাণিজ্য অংশীদারদের ওপর নতুন শুল্ক নির্ধারণ করতে। এসব শুল্ক আগামী ১ এপ্রিল থেকে কার্যকর হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন তিনি। শুল্ক আরোপ হতে যাওয়া সম্ভাব্য দেশের তালিকায় ভারতেরও নাম রয়েছে।