ঢাকা ০৪:১৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫, ৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশঃ
 জরুরি সংবাদকর্মী আবশ্যক। আগ্রহীরা ইমেইল আবেদন করুনঃ chalonbilersomoy@gmail.com। চলনবিলের সময় এর সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। 

বিয়ে করেই অনশন ভাঙলেন মাদরাসা ছাত্রী

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি,পরিবর্তন টিভি
  • আপডেট সময় : ১০:০৬:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ৫৫ বার পড়া হয়েছে
চলনবিলের সময় অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে ইমামের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অনশনরত মাদরাসাছাত্রী শেষ পর্যন্ত বিয়ে করে অনশন ভেঙেছেন। অভিযুক্ত প্রেমিক মাহাদি হাসান (২৭)। তিনি পেশায় একজন মসজিদের ইমাম। সামাজিক ও পারিবারিক চাপে মেয়েটিকে বিয়ে করতে বাধ্য হন মাহাদি।

 

ভুক্তভোগী তানহা তমা (১৬) স্থানীয় সবুজ সংঘ দাখিল মাদরাসার দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী এবং উপজেলার বরকতপুর গ্রামের হাবিবুর রহমানের মেয়ে। প্রেমিক মাহাদি হাসান বরকতপুর জামে মসজিদের ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন এবং উপজেলার কয়েড়া গ্রামের মহিউদ্দিনের ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এলাকাবাসী মাহাদি হাসানের বিরুদ্ধে অনৈতিকতার অভিযোগ তুলে তাকে ইমামের দায়িত্ব থেকে অপসারণের দাবি জানায়। উত্তেজনার সৃষ্টি হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং তাকে মসজিদ ত্যাগ করতে বলে। পরে পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে হয়ে যায়। পুলিশ এসে মাহাদির কক্ষে তালা ভেঙে প্রবেশ করে এবং খাটের নিচে লুকিয়ে থাকা তানহাকে উদ্ধার করে। স্থানীয়দের মধ্যে ঘটনাটি নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।

পরে ওই রাতেই তানহা প্রেমিকের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অনশন শুরু করেন। তিনি সাফ জানিয়ে দেন, মাহাদি যদি তাকে বিয়ে না করেন, তবে তিনি আত্মহত্যা করবেন।

প্রথমে মাহাদি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক নেই, আমি তাকে আমার কক্ষে আসতেও বলিনি। এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ। তবে সামাজিক ও পারিবারিক চাপে তিনি বিয়ে করতে রাজি হন।

পরে রোববার গভীর রাতে দুই পরিবারের উপস্থিতিতে মাহাদি হাসান ও তানহার বিয়ে সম্পন্ন হয়। তবে বিয়ের পরপরই নবদম্পতি আত্মগোপনে চলে যান।

 

জানা গেছে, মাহাদি আগেও দুইবার বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন। তবে দীর্ঘদিন যোগাযোগ না থাকায় সেই সংসার নিয়ে একটি মামলা চলমান রয়েছে।

স্থানীয় মসজিদ কর্তৃপক্ষ মাহাদির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, তাকে ইমামের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ একেএম রেজাউল করিম বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

বিয়ে করেই অনশন ভাঙলেন মাদরাসা ছাত্রী

আপডেট সময় : ১০:০৬:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে ইমামের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অনশনরত মাদরাসাছাত্রী শেষ পর্যন্ত বিয়ে করে অনশন ভেঙেছেন। অভিযুক্ত প্রেমিক মাহাদি হাসান (২৭)। তিনি পেশায় একজন মসজিদের ইমাম। সামাজিক ও পারিবারিক চাপে মেয়েটিকে বিয়ে করতে বাধ্য হন মাহাদি।

 

ভুক্তভোগী তানহা তমা (১৬) স্থানীয় সবুজ সংঘ দাখিল মাদরাসার দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী এবং উপজেলার বরকতপুর গ্রামের হাবিবুর রহমানের মেয়ে। প্রেমিক মাহাদি হাসান বরকতপুর জামে মসজিদের ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন এবং উপজেলার কয়েড়া গ্রামের মহিউদ্দিনের ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এলাকাবাসী মাহাদি হাসানের বিরুদ্ধে অনৈতিকতার অভিযোগ তুলে তাকে ইমামের দায়িত্ব থেকে অপসারণের দাবি জানায়। উত্তেজনার সৃষ্টি হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং তাকে মসজিদ ত্যাগ করতে বলে। পরে পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে হয়ে যায়। পুলিশ এসে মাহাদির কক্ষে তালা ভেঙে প্রবেশ করে এবং খাটের নিচে লুকিয়ে থাকা তানহাকে উদ্ধার করে। স্থানীয়দের মধ্যে ঘটনাটি নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।

পরে ওই রাতেই তানহা প্রেমিকের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অনশন শুরু করেন। তিনি সাফ জানিয়ে দেন, মাহাদি যদি তাকে বিয়ে না করেন, তবে তিনি আত্মহত্যা করবেন।

প্রথমে মাহাদি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক নেই, আমি তাকে আমার কক্ষে আসতেও বলিনি। এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ। তবে সামাজিক ও পারিবারিক চাপে তিনি বিয়ে করতে রাজি হন।

পরে রোববার গভীর রাতে দুই পরিবারের উপস্থিতিতে মাহাদি হাসান ও তানহার বিয়ে সম্পন্ন হয়। তবে বিয়ের পরপরই নবদম্পতি আত্মগোপনে চলে যান।

 

জানা গেছে, মাহাদি আগেও দুইবার বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন। তবে দীর্ঘদিন যোগাযোগ না থাকায় সেই সংসার নিয়ে একটি মামলা চলমান রয়েছে।

স্থানীয় মসজিদ কর্তৃপক্ষ মাহাদির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, তাকে ইমামের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ একেএম রেজাউল করিম বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই।