ঢাকা ০৪:৪০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫, ৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশঃ
 জরুরি সংবাদকর্মী আবশ্যক। আগ্রহীরা ইমেইল আবেদন করুনঃ chalonbilersomoy@gmail.com। চলনবিলের সময় এর সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। 

পাবনা মেডিকেল কলেজ ছাত্রদলের ২২ পদের ১১ জন ছাত্রলীগ নেতা

পাবনা জেলা প্রতিনিধি,পরিবর্তন টিভি
  • আপডেট সময় : ১০:৫৫:১২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫ ৫০ বার পড়া হয়েছে
চলনবিলের সময় অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর পাবনা মেডিকেল কলেজ শাখা ছাত্রদলের ২২ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ২২ সদস্যের এই কমিটির সিনিয়র সহসভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ১১ পদেই নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের ১১ জন নেতাকে গুরুত্বপূর্ণ পদ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

রোববার (২৩ মার্চ) দুপুরে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব এবং সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাসির এই কমিটির অনুমোদন দেন। একই সঙ্গে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে কমিটি পূর্ণাঙ্গ করে কেন্দ্রে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।

পাবনা মেডিকেল কলেজের নবগঠিত ছাত্রদলের কমিটি এবং নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের বঙ্গবন্ধু হল শাখার আগের কমিটি বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, শাখা ছাত্রদলের নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক হাসিবুল হাসান শুভ নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের কলেজের হল শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন, সিনিয়র সহসভাপতি আমিমুল আহসান তনিম ছিলেন তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক, সহসভাপতি রাহুল রায় ছিলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ আল ফায়াদ ছিলেন ছাত্রলীগের গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক, সহসাংগঠনিক সম্পাদক ইয়াসির আরাফাত ছিলেন আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম ছিলেন ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, আরেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান ছিলেন সমাজসেবা সম্পাদক, আরেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তাসরীফ আলম ছিলেন হল ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক।

এ ছাড়া নবনির্বাচিত যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক স্বাধীন মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাবিল, প্রচার সম্পাদক সামিন রাফিদ আরোহ ছিলেন ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী।

এ বিষয়ে নবগঠিত ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক হাসিবুল হাসান শুভ বলেন, আমি কখনো ছাত্রলীগ করতাম না। কিন্তু ওই সময় ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক কলেজে যারা একটিভ ছিল, তারাই কমিটিতে আমাকে অ্যাড করে দিয়েছিল। আমার অনুমতি না নিয়েই তারা আমাকে ছাত্রলীগের হল কমিটিতে রেখেছিল।

এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব এবং সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাসিরের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিবার যোগাযোগ করেও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

তবে নবনির্বাচিত সভাপতি সাগর মাহমুদ বলেন, ‘ওদের অজান্তেই ওরা হল কমিটিতে নাম ছিল কিন্তু জুলাই আন্দোলনে পদত্যাগসহ ভূমিকা ছিল। আন্দোলনের পরপরই তারা ওই কমিটিতে কীভাবে নাম এল, তা ক্লিয়ার করেছে। তারা অনেক আগেই পদত্যাগ করেছে বা সেগুলো নিয়ে আমাদের কাছে ক্লিয়ার ভিডিও আছে। এটা নিয়ে কোনো সমস্যা নেই।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

পাবনা মেডিকেল কলেজ ছাত্রদলের ২২ পদের ১১ জন ছাত্রলীগ নেতা

আপডেট সময় : ১০:৫৫:১২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫

দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর পাবনা মেডিকেল কলেজ শাখা ছাত্রদলের ২২ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ২২ সদস্যের এই কমিটির সিনিয়র সহসভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ১১ পদেই নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের ১১ জন নেতাকে গুরুত্বপূর্ণ পদ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

রোববার (২৩ মার্চ) দুপুরে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব এবং সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাসির এই কমিটির অনুমোদন দেন। একই সঙ্গে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে কমিটি পূর্ণাঙ্গ করে কেন্দ্রে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।

পাবনা মেডিকেল কলেজের নবগঠিত ছাত্রদলের কমিটি এবং নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের বঙ্গবন্ধু হল শাখার আগের কমিটি বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, শাখা ছাত্রদলের নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক হাসিবুল হাসান শুভ নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের কলেজের হল শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন, সিনিয়র সহসভাপতি আমিমুল আহসান তনিম ছিলেন তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক, সহসভাপতি রাহুল রায় ছিলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ আল ফায়াদ ছিলেন ছাত্রলীগের গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক, সহসাংগঠনিক সম্পাদক ইয়াসির আরাফাত ছিলেন আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম ছিলেন ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, আরেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান ছিলেন সমাজসেবা সম্পাদক, আরেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তাসরীফ আলম ছিলেন হল ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক।

এ ছাড়া নবনির্বাচিত যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক স্বাধীন মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাবিল, প্রচার সম্পাদক সামিন রাফিদ আরোহ ছিলেন ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী।

এ বিষয়ে নবগঠিত ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক হাসিবুল হাসান শুভ বলেন, আমি কখনো ছাত্রলীগ করতাম না। কিন্তু ওই সময় ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক কলেজে যারা একটিভ ছিল, তারাই কমিটিতে আমাকে অ্যাড করে দিয়েছিল। আমার অনুমতি না নিয়েই তারা আমাকে ছাত্রলীগের হল কমিটিতে রেখেছিল।

এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব এবং সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাসিরের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিবার যোগাযোগ করেও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

তবে নবনির্বাচিত সভাপতি সাগর মাহমুদ বলেন, ‘ওদের অজান্তেই ওরা হল কমিটিতে নাম ছিল কিন্তু জুলাই আন্দোলনে পদত্যাগসহ ভূমিকা ছিল। আন্দোলনের পরপরই তারা ওই কমিটিতে কীভাবে নাম এল, তা ক্লিয়ার করেছে। তারা অনেক আগেই পদত্যাগ করেছে বা সেগুলো নিয়ে আমাদের কাছে ক্লিয়ার ভিডিও আছে। এটা নিয়ে কোনো সমস্যা নেই।