ঢাকা ০৪:২৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫, ৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশঃ
 জরুরি সংবাদকর্মী আবশ্যক। আগ্রহীরা ইমেইল আবেদন করুনঃ chalonbilersomoy@gmail.com। চলনবিলের সময় এর সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। 

কুতুবদিয়ায় কাফনের কাপড় পরে টেকসই বেড়িবাঁধের দাবি

পরিবর্তন টিভি নিউজ ডেস্কঃ
  • আপডেট সময় : ১২:২৬:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫ ৩৫ বার পড়া হয়েছে
চলনবিলের সময় অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

কক্সবাজারের দ্বীপ উপজেলা কুতুবদিয়ার ১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিল প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়ে নিহতদের স্মরণে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

এ ছাড়া টেকসই বেড়িবাঁধ এবং ফেরি চলাচলের দাবিতে কাফনের কাপড় পরে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছেন কুতুবদিয়াবাসী।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) সকালে কুতুবদিয়া সমিতি ও কুতুবদিয়া টেকসই বেড়িবাঁধ ও ফেরি বাস্তবায়ন পরিষদের ব্যানারে জেলা প্রশাসক কার্যালয় চত্বরে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এ ছাড়া শোকর‍্যালি ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এ সময় কুতুবদিয়া সমিতি কক্সবাজারের সভাপতি প্রফেসর গিয়াস উদ্দিন, সদস্য সচিব আশরাফুল হুদা সিদ্দিকী জামশেদ, বড়ঘোপ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শহিদ উদ্দীন ছোটন, সাবেক কাউন্সিলর আক্তার কামাল আজাদ, জেলা যুবদল নেতা দিদারুল ইসলাম রুবেল, এজাবত উল্লাহ কুতুবী, কুতুবদিয়া টেকসই বেড়িবাঁধ ও ফেরি বাস্তবায়ন পরিষদের সমন্বয়ক এহসান আল কুতুবী প্রমুখ বক্তব্য দেন।

এহসান আল কুতুবী বলেন, আমরা কুতুবদিয়া ছেড়ে কোথাও যেতে চাই না। কুতুবদিয়ার খেটে খাওয়া, অবহেলিত, বঞ্চিত মানুষ, লবণচাষি, মৎস্যজীবীসহ সর্বস্তরের মানুষ কুতুবদিয়াতে থাকতে চাই। প্রধান উপদেষ্টার কাছে আবেদন, হয় কুতুবদিয়াকে ভেঙে সাগরের সঙ্গে তছনছ করে মিশিয়ে দেন, নাহয় টেকসই বেড়িবাঁধ দেন। আমাদের সঙ্গে প্রতি বছর বেড়িবাঁধের নামে নাটক আর করবেন না। বারবার বরাদ্দ এবং সেখান থেকে তথাকথিত নেতাদের লুটপাট আর দেখতে চাই না।

প্রফেসর গিয়াস উদ্দিন বলেন, আমাদের তিনটি দাবি হলো, কুতুবদিয়ার চারদিকে স্থায়ী টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ, কুতুবদিয়া থেকে মগনামা পারাপারের জন্য ফেরি চালু এবং শহরের ১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের স্থায়ী পুনর্বাসন। এগুলোর দ্রুত বাস্তবায়ন চাই। অন্যথায় কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধসহ নানা কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন।

দুর্ভোগ লাগবে টেকসই বেড়িবাঁধ চেয়ে শাহীন আবরার নিজের লেখা ও সুর করা প্রতিবাদী গান পরিবেশন করেন। এ সময় সবাই একবাক্যে উচ্চারণ করেন ‘হোক প্রতিবাদ মুক্তি চাই, টেকসই বেড়িবাঁধ চাই।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

কুতুবদিয়ায় কাফনের কাপড় পরে টেকসই বেড়িবাঁধের দাবি

আপডেট সময় : ১২:২৬:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫

কক্সবাজারের দ্বীপ উপজেলা কুতুবদিয়ার ১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিল প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়ে নিহতদের স্মরণে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

এ ছাড়া টেকসই বেড়িবাঁধ এবং ফেরি চলাচলের দাবিতে কাফনের কাপড় পরে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছেন কুতুবদিয়াবাসী।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) সকালে কুতুবদিয়া সমিতি ও কুতুবদিয়া টেকসই বেড়িবাঁধ ও ফেরি বাস্তবায়ন পরিষদের ব্যানারে জেলা প্রশাসক কার্যালয় চত্বরে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এ ছাড়া শোকর‍্যালি ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এ সময় কুতুবদিয়া সমিতি কক্সবাজারের সভাপতি প্রফেসর গিয়াস উদ্দিন, সদস্য সচিব আশরাফুল হুদা সিদ্দিকী জামশেদ, বড়ঘোপ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শহিদ উদ্দীন ছোটন, সাবেক কাউন্সিলর আক্তার কামাল আজাদ, জেলা যুবদল নেতা দিদারুল ইসলাম রুবেল, এজাবত উল্লাহ কুতুবী, কুতুবদিয়া টেকসই বেড়িবাঁধ ও ফেরি বাস্তবায়ন পরিষদের সমন্বয়ক এহসান আল কুতুবী প্রমুখ বক্তব্য দেন।

এহসান আল কুতুবী বলেন, আমরা কুতুবদিয়া ছেড়ে কোথাও যেতে চাই না। কুতুবদিয়ার খেটে খাওয়া, অবহেলিত, বঞ্চিত মানুষ, লবণচাষি, মৎস্যজীবীসহ সর্বস্তরের মানুষ কুতুবদিয়াতে থাকতে চাই। প্রধান উপদেষ্টার কাছে আবেদন, হয় কুতুবদিয়াকে ভেঙে সাগরের সঙ্গে তছনছ করে মিশিয়ে দেন, নাহয় টেকসই বেড়িবাঁধ দেন। আমাদের সঙ্গে প্রতি বছর বেড়িবাঁধের নামে নাটক আর করবেন না। বারবার বরাদ্দ এবং সেখান থেকে তথাকথিত নেতাদের লুটপাট আর দেখতে চাই না।

প্রফেসর গিয়াস উদ্দিন বলেন, আমাদের তিনটি দাবি হলো, কুতুবদিয়ার চারদিকে স্থায়ী টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ, কুতুবদিয়া থেকে মগনামা পারাপারের জন্য ফেরি চালু এবং শহরের ১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের স্থায়ী পুনর্বাসন। এগুলোর দ্রুত বাস্তবায়ন চাই। অন্যথায় কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধসহ নানা কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন।

দুর্ভোগ লাগবে টেকসই বেড়িবাঁধ চেয়ে শাহীন আবরার নিজের লেখা ও সুর করা প্রতিবাদী গান পরিবেশন করেন। এ সময় সবাই একবাক্যে উচ্চারণ করেন ‘হোক প্রতিবাদ মুক্তি চাই, টেকসই বেড়িবাঁধ চাই।