ঢাকা ০৫:১০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫, ৭ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
নোটিশঃ
 জরুরি সংবাদকর্মী আবশ্যক। আগ্রহীরা ইমেইল আবেদন করুনঃ chalonbilersomoy@gmail.com। চলনবিলের সময় এর সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। 

খুঁটিতে বেঁধে নির্যাতন, আ.লীগ নেতার মৃত্যু

পরিবর্তন টিভি নিউজ ডেস্কঃ
  • আপডেট সময় : ১১:১৫:৩১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫ ৪০ বার পড়া হয়েছে
চলনবিলের সময় অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলায় বিদ্যুতের খুঁটিতে বেঁধে নির্যাতনের সাড়ে ৪ মাস পর চিকিৎসাধীন এক আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৩ মে) বিকেলে ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

তার মৃত্যুর বিষয়টি কালবেলাকে নিশ্চিত করেছেন ভাতিজা আবু হানিফ সুজা।

ওই নেতার নাম অলিউজ্জামান ওরফে মন্টু (৬৮)। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সাবেক প্রতিমন্ত্রী আবদুল ওয়াদুদ দারার চাচাতো ভাই। অলিউজ্জামান পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি। তিনি একটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। অলিউজ্জামানের বাড়ি পুঠিয়া উপজেলার বিড়ালদহ গ্রামে। তার বিরুদ্ধে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ ছিল।

আবু হানিফ জানান, বিকেল ৪টার দিকে তার চাচার মৃত্যু হয়েছে। ঢাকা থেকে লাশ নিয়ে তারা বাড়ির উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। এলাকায় মাইকিং করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, তার চাচাকে খুঁটিতে বেঁধে নির্যাতনের পর থেকে তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন। এই নির্যাতনের পর থেকেই তিনি গুরুতর অসুস্থ ছিলেন। প্রথমে তাকে পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও পরে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকারের পতনের পর আত্মগোপনে যান অলিউজ্জামান। এরপর ২ জানুয়ারি রাতে তিনি বাড়িতে ফিরেছিলেন। ৪ জানুয়ারি সকাল ১০টার দিকে তিনি পাশের মাইপাড়া বাজারে চা পান করতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে বিএনপির লোকজন তাকে ধরে নিয়ে গিয়ে বিড়ালদহ বাজারের পাশে নন্দনপুর নিয়ে যান। সেখানে সড়কের পাশে একটি বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে তাকে পেটানো হয়। পিটিয়ে তার দুটি পা ভেঙে দেওয়া হয়েছিল। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।

বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত মিঠুন, আহসান ও সীমান্ত এই হামলায় নেতৃত্ব দিয়েছিলেন বলে লোক মুখে শুনেছেন জানিয়ে অলিউজ্জামানের ভাতিজা আবু হানিফ সে সময় বলেছিলেন। হামলার ব্যাপারে তখন মিঠুন বলেছিলেন, যাঁরা অলিউজ্জামানকে মারধরের অভিযোগ করেছেন তাঁরা মিথ্যা অভিযোগ করেছেন। তিনি দাবি করেন আহসান, সীমান্তও ঘটনাস্থলে ছিল না।

অলিউজ্জামানের ভাতিজা আবু হানিফ বলেন, ওই নির্যাতনের ঘটনায় পুঠিয়া থানায় মামলা করতে গেলেও পুলিশ নেয়নি। পরে কোনো সুযোগ হলে আদালতে মামলা করা হবে।

তবে পুঠিয়া থানার ওসি কবির হোসেন কালবেলাকে বলেন, ‘ওই ঘটনার পর পরিবারের কেউ মামলা করেনি।

অলিউজ্জামানের মৃত্যুর বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি কবির হোসেন বলেন, ‘এখনও আমি এটা শুনিনি। দেখি, খোঁজখবর নেই।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

খুঁটিতে বেঁধে নির্যাতন, আ.লীগ নেতার মৃত্যু

আপডেট সময় : ১১:১৫:৩১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫

রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলায় বিদ্যুতের খুঁটিতে বেঁধে নির্যাতনের সাড়ে ৪ মাস পর চিকিৎসাধীন এক আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৩ মে) বিকেলে ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

তার মৃত্যুর বিষয়টি কালবেলাকে নিশ্চিত করেছেন ভাতিজা আবু হানিফ সুজা।

ওই নেতার নাম অলিউজ্জামান ওরফে মন্টু (৬৮)। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সাবেক প্রতিমন্ত্রী আবদুল ওয়াদুদ দারার চাচাতো ভাই। অলিউজ্জামান পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি। তিনি একটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। অলিউজ্জামানের বাড়ি পুঠিয়া উপজেলার বিড়ালদহ গ্রামে। তার বিরুদ্ধে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ ছিল।

আবু হানিফ জানান, বিকেল ৪টার দিকে তার চাচার মৃত্যু হয়েছে। ঢাকা থেকে লাশ নিয়ে তারা বাড়ির উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। এলাকায় মাইকিং করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, তার চাচাকে খুঁটিতে বেঁধে নির্যাতনের পর থেকে তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন। এই নির্যাতনের পর থেকেই তিনি গুরুতর অসুস্থ ছিলেন। প্রথমে তাকে পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও পরে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকারের পতনের পর আত্মগোপনে যান অলিউজ্জামান। এরপর ২ জানুয়ারি রাতে তিনি বাড়িতে ফিরেছিলেন। ৪ জানুয়ারি সকাল ১০টার দিকে তিনি পাশের মাইপাড়া বাজারে চা পান করতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে বিএনপির লোকজন তাকে ধরে নিয়ে গিয়ে বিড়ালদহ বাজারের পাশে নন্দনপুর নিয়ে যান। সেখানে সড়কের পাশে একটি বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে তাকে পেটানো হয়। পিটিয়ে তার দুটি পা ভেঙে দেওয়া হয়েছিল। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।

বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত মিঠুন, আহসান ও সীমান্ত এই হামলায় নেতৃত্ব দিয়েছিলেন বলে লোক মুখে শুনেছেন জানিয়ে অলিউজ্জামানের ভাতিজা আবু হানিফ সে সময় বলেছিলেন। হামলার ব্যাপারে তখন মিঠুন বলেছিলেন, যাঁরা অলিউজ্জামানকে মারধরের অভিযোগ করেছেন তাঁরা মিথ্যা অভিযোগ করেছেন। তিনি দাবি করেন আহসান, সীমান্তও ঘটনাস্থলে ছিল না।

অলিউজ্জামানের ভাতিজা আবু হানিফ বলেন, ওই নির্যাতনের ঘটনায় পুঠিয়া থানায় মামলা করতে গেলেও পুলিশ নেয়নি। পরে কোনো সুযোগ হলে আদালতে মামলা করা হবে।

তবে পুঠিয়া থানার ওসি কবির হোসেন কালবেলাকে বলেন, ‘ওই ঘটনার পর পরিবারের কেউ মামলা করেনি।

অলিউজ্জামানের মৃত্যুর বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি কবির হোসেন বলেন, ‘এখনও আমি এটা শুনিনি। দেখি, খোঁজখবর নেই।