ঢাকা ০৫:১৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫, ৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশঃ
 জরুরি সংবাদকর্মী আবশ্যক। আগ্রহীরা ইমেইল আবেদন করুনঃ chalonbilersomoy@gmail.com। চলনবিলের সময় এর সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। 

প্রধান উপদেষ্টা ফিরলেই সচিবালয়ে সংকট নিরসনে সিদ্ধান্ত : ভূমি সচিব

পরিবর্তন টিভি নিউজ ডেস্কঃ
  • আপডেট সময় : ০৫:৩৬:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ মে ২০২৫ ৫২ বার পড়া হয়েছে
চলনবিলের সময় অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাপান সফর শেষে দেশে ফিরলেই সচিবালয়ে সংকট নিরসনে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এএসএম সালেহ আহমেদ।

বুধবার (২৮ মে) সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।

ভূমি সচিব বলেন, সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরামের দাবিগুলো মন্ত্রিপরিষদ সচিব প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করবেন। চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফর শেষে প্রধান উপদেষ্টা জাপান থেকে দেশে ফিরলে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

এ সময় সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরামের কো-চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বলেন, মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে, ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের সঙ্গে আলোচনা করেই আন্দোলন-বিক্ষোভ কর্মসূচির বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।

এদিকে সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে কর্মচারীদের লাগাতার আন্দোলনের মধ্যে এই অধ্যাদেশ পর্যালোচনায় একটি কমিটি গঠন করতে যাচ্ছে সরকার। আইন ও বিচার বিভাগের সচিব শেখ আবু তাহেরকে প্রধান করে ১৩ সদস্যের এই কমিটি গঠন করা হবে বলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ বাতিলের দাবিতে সচিবালয়ে বুধবারের পূর্বঘোষিত বিক্ষোভ কর্মসূচি স্থগিত ঘোষণা করা হয় মঙ্গলবারই (২৭ মে)। দুপুরে ভূমিসচিব এ এস এম সালেহ আহমেদের নেতৃত্বে সরকারের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরামের কো-চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম এ তথ্য জানান।

উল্লেখ্য, ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ অনুযায়ী কিছু বিধান পুনর্বিন্যাসের মাধ্যমে সরকারি কর্মচারীদের চাকরি নিরাপত্তা ও পদোন্নতির বিষয়ে পরিবর্তন আনা হয়েছে, যা নিয়ে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে কর্মচারীরা অসন্তোষ প্রকাশ করে আন্দোলনে নেমেছেন।

সচিবালয়ে কর্মচারীদের আন্দোলনের মধ্যেই ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ জারি করে অন্তর্বর্তী সরকার। অধ্যাদেশে চার অপরাধের জন্য চাকরিচ্যুতির বিধান রাখা হয়েছে। তারা এ অধ্যাদেশকে ‘নিবর্তনমূলক ও কালাকানুন’ আখ্যায়িত করে তা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন। অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, সরকারি কর্মচারীদের (আইনানুযায়ী সবাই কর্মচারী) চারটি বিষয়কে অপরাধের আওতাভুক্ত করা হয়।

সেগুলো হলো- কোনো সরকারি কর্মচারী যদি এমন কোনো কাজে লিপ্ত হন, যা অনানুগত্যের শামিল বা যা অন্য যেকোনো সরকারি কর্মচারীর মধ্যে অনানুগত্য সৃষ্টি করে বা শৃঙ্খলা বিঘ্নিত করে বা কর্তব্য সম্পাদনে বাধার সৃষ্টি করে, অন্যান্য কর্মচারীর সঙ্গে সমবেতভাবে বা এককভাবে ছুটি ছাড়া বা কোনো যুক্তিসংগত কারণ ছাড়া নিজ কর্ম থেকে অনুপস্থিত থাকেন বা বিরত থাকেন বা কর্তব্য সম্পাদনে ব্যর্থ হন, এ ছাড়া কোনো কর্মচারীকে তার কর্ম থেকে অনুপস্থিত থাকতে বা বিরত থাকতে বা তার কর্তব্য পালন না করার জন্য উসকানি দেন বা প্ররোচিত করেন এবং যেকোনো সরকারি কর্মচারীকে তার কর্মে উপস্থিত হতে বা কর্তব্য সম্পাদনে বাধাগ্রস্ত করেন, তাহলে তিনি অসদাচরণের দায়ে দণ্ডিত হবেন।

অধ্যাদেশে বলা হয়, অভিযোগ গঠনের সাত দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হবে। আর অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করা হলে তাকে কেন দণ্ড আরোপ করা হবে না, সে বিষয়ে আরও সাত কর্মদিবসের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (২২ মে) বৈঠকে সংশোধিত সরকারি চাকরি অধ্যাদেশের খসড়ার অনুমোদন দেয় উপদেষ্টা পরিষদ। যা গত রোববার সন্ধ্যায় গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

প্রধান উপদেষ্টা ফিরলেই সচিবালয়ে সংকট নিরসনে সিদ্ধান্ত : ভূমি সচিব

আপডেট সময় : ০৫:৩৬:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ মে ২০২৫

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাপান সফর শেষে দেশে ফিরলেই সচিবালয়ে সংকট নিরসনে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এএসএম সালেহ আহমেদ।

বুধবার (২৮ মে) সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।

ভূমি সচিব বলেন, সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরামের দাবিগুলো মন্ত্রিপরিষদ সচিব প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করবেন। চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফর শেষে প্রধান উপদেষ্টা জাপান থেকে দেশে ফিরলে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

এ সময় সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরামের কো-চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বলেন, মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে, ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের সঙ্গে আলোচনা করেই আন্দোলন-বিক্ষোভ কর্মসূচির বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।

এদিকে সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে কর্মচারীদের লাগাতার আন্দোলনের মধ্যে এই অধ্যাদেশ পর্যালোচনায় একটি কমিটি গঠন করতে যাচ্ছে সরকার। আইন ও বিচার বিভাগের সচিব শেখ আবু তাহেরকে প্রধান করে ১৩ সদস্যের এই কমিটি গঠন করা হবে বলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ বাতিলের দাবিতে সচিবালয়ে বুধবারের পূর্বঘোষিত বিক্ষোভ কর্মসূচি স্থগিত ঘোষণা করা হয় মঙ্গলবারই (২৭ মে)। দুপুরে ভূমিসচিব এ এস এম সালেহ আহমেদের নেতৃত্বে সরকারের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরামের কো-চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম এ তথ্য জানান।

উল্লেখ্য, ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ অনুযায়ী কিছু বিধান পুনর্বিন্যাসের মাধ্যমে সরকারি কর্মচারীদের চাকরি নিরাপত্তা ও পদোন্নতির বিষয়ে পরিবর্তন আনা হয়েছে, যা নিয়ে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে কর্মচারীরা অসন্তোষ প্রকাশ করে আন্দোলনে নেমেছেন।

সচিবালয়ে কর্মচারীদের আন্দোলনের মধ্যেই ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ জারি করে অন্তর্বর্তী সরকার। অধ্যাদেশে চার অপরাধের জন্য চাকরিচ্যুতির বিধান রাখা হয়েছে। তারা এ অধ্যাদেশকে ‘নিবর্তনমূলক ও কালাকানুন’ আখ্যায়িত করে তা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন। অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, সরকারি কর্মচারীদের (আইনানুযায়ী সবাই কর্মচারী) চারটি বিষয়কে অপরাধের আওতাভুক্ত করা হয়।

সেগুলো হলো- কোনো সরকারি কর্মচারী যদি এমন কোনো কাজে লিপ্ত হন, যা অনানুগত্যের শামিল বা যা অন্য যেকোনো সরকারি কর্মচারীর মধ্যে অনানুগত্য সৃষ্টি করে বা শৃঙ্খলা বিঘ্নিত করে বা কর্তব্য সম্পাদনে বাধার সৃষ্টি করে, অন্যান্য কর্মচারীর সঙ্গে সমবেতভাবে বা এককভাবে ছুটি ছাড়া বা কোনো যুক্তিসংগত কারণ ছাড়া নিজ কর্ম থেকে অনুপস্থিত থাকেন বা বিরত থাকেন বা কর্তব্য সম্পাদনে ব্যর্থ হন, এ ছাড়া কোনো কর্মচারীকে তার কর্ম থেকে অনুপস্থিত থাকতে বা বিরত থাকতে বা তার কর্তব্য পালন না করার জন্য উসকানি দেন বা প্ররোচিত করেন এবং যেকোনো সরকারি কর্মচারীকে তার কর্মে উপস্থিত হতে বা কর্তব্য সম্পাদনে বাধাগ্রস্ত করেন, তাহলে তিনি অসদাচরণের দায়ে দণ্ডিত হবেন।

অধ্যাদেশে বলা হয়, অভিযোগ গঠনের সাত দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হবে। আর অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করা হলে তাকে কেন দণ্ড আরোপ করা হবে না, সে বিষয়ে আরও সাত কর্মদিবসের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (২২ মে) বৈঠকে সংশোধিত সরকারি চাকরি অধ্যাদেশের খসড়ার অনুমোদন দেয় উপদেষ্টা পরিষদ। যা গত রোববার সন্ধ্যায় গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়।