পাবনার চাটমোহরে ঘুমন্ত শিশুকে পুকুরে ফেলে হত্যা করেন মা

- আপডেট সময় : ০৫:৩৫:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ জুন ২০২৫ ৩৯ বার পড়া হয়েছে

পাবনার চাটমোহর উপজেলায় নিজের ঘুমন্ত ৫ মাস বয়সী কন্যা শিশুকে সাংসারিক অশান্তির কারণে পুকুরে ফেলে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এরপর মেয়েকে খুঁজে না পাওয়া ও বিচার দাবির নাটক সাজান ঘাতক মা। এমন ঘটনা ঘটেছে উপজেলার গুনাইগাছা ইউনিয়নের জালেশ্বর গ্রামে। শুক্রবার (৩১ মে) সকালে শিশু কন্যাটির মৃত্যুর পর হত্যা রহস্য তদন্তে এসব তথ্য বেরিয়ে আসে।
সোমবার (২ মে) সকালে ১০ টার দিকে চাটমোহর থানায় সংবাদ সম্মেলনে এসব জানান সহকারী পুলিশ সুপার (চাটমোহর সার্কেল) আরজুমা আক্তার। নিহত কন্যা শিশু সোহাগী রানী (৫) ওই এলাকার কমল মন্ডলের মেয়ে। প্রেস ব্রিফিংয়ে বলা হয়, শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে সোহাগী রানীকে নিজ বাড়ির উঠানের চৌকিতে শুইয়ে রেখে পাশের বাড়িতে গরুর খড় আনতে যান মা শ্রাবন্তী বিশ্বাস। পরে ফিরে এসে তার শিশু কন্যাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। পরবর্তীতে পাশের বড়াল নদীতে উপুড় হওয়া অবস্থায় ওই শিশুর মরদেহের সন্ধান মেলে।
এঘটনায় ব্যাপক আহাজারিতে পরিবেশ ভারী করে তোলেন মা শ্রাবন্তী বিশ্বাস। হত্যা মামলা দায়েরও করতে চান। কিন্তু তার কথাবার্তায় অসংলগ্নতা দেখা গেলে ঘটনা তদন্তে তাকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আসল তথ্য বেরিয়ে আসে। প্রেস ব্রিফিংয়ে আরো বলা হয়, মা শ্রাবন্তী নিজেই মেয়েকে হত্যা করেছেন। সাংসারিক অশান্তি ও শিশু মেয়ে পালনে নিজেকে মানিয়ে নিতে না পারায় অসহ্য মনোভাবের জায়গা থেকে সে নিজেই ওইদিন সকালে ঘুমন্ত শিশুকে পুকুরে ফেলে দেন। পরে তার মৃত্যু হয়।
এব্যাপারে সহকারী পুলিশ সুপার (চাটমোহর সার্কেল) আরজুমা আক্তার বলেন, ঘটনাটিকে নাটকীয় রুপ দেবার চেষ্টা করেছিলেন ঘাতক মা শ্রাবন্তী বিশ্বাস। মেয়ে হত্যা করে বিচার দাবিতে নিজেই হত্যা মামলাও দায়ের করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু আমাদের কাছে রহস্যটি ধরা পড়ে।
এঘটনায় শিশুর বাবা শ্রাবন্তী বিশ্বাসকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করলে তাকে আটক করে রবিবার (১ মে) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।