ঢাকা ০৩:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫, ৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মেধাভিত্তিক দেশ গঠনে শিক্ষা অপরিহার্য: ব্যারিস্টার অসীম Logo রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পাচ্ছেন মাদ্রাসাশিক্ষার্থীরা Logo জুলাই যোদ্ধাদের জন্য চাকরিতে কোটা থাকছে না : মুক্তিযুদ্ধ উপদেষ্টা Logo ৮ দফা দাবিতে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে তালা ঝুলিয়ে অবস্থান ধর্মঘট করেছেন শিক্ষার্থীরা Logo বিআরটিএ পাবনা সার্কেলের অভিযানে ১২ টি মামলা ও ২৯ হাজার টাকা জরিমানা Logo পদ্মার ভাঙনে সুজানগরের মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাচ্ছে শ শ বাড়ীঘর ও ফসলী জমি Logo ৭ম জন্মদিনে স্বপ্নকে শাজাহানপুর প্রেসক্লাবের উষ্ণ অভিনন্দন! Logo টাইগারদের দাপুটে বোলিংয়ে বিধ্বস্ত পাক ব্যাটাররা, মামুলি লক্ষ্য বাংলাদেশের Logo মধ্যরাতে মদ্যপ অবস্থায় নোবেলের মারামারি, অতঃপর… Logo হাতে পবিত্র কোরআন লিখলেন ৯ বছরের শিশু
নোটিশঃ
 জরুরি সংবাদকর্মী আবশ্যক। আগ্রহীরা ইমেইল আবেদন করুনঃ chalonbilersomoy@gmail.com। চলনবিলের সময় এর সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। 

পাবনায় নির্যাতনের পর গৃহবধূকে হাসপাতালে ফেলে পালালেন স্বামী, পরে মৃত্যু

চলনবিলের সময় নিউজ ডেস্কঃ
  • আপডেট সময় : ১০:১৩:১৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫ ১১ বার পড়া হয়েছে
চলনবিলের সময় অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

পাবনা সদর উপজেলার মালিগাছা ইউনিয়নের টিকরী গ্রামে সাদিয়া খাতুন (২২) নামের এক গৃহবধূর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। যৌতুকের দাবিতে নির্যাতনের পর তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসী।

 

ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন নিহতের স্বামী সাব্বির হোসেনসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন। নিহতের তিন বছরের একটি সন্তান রয়েছে।

বুধবার (২৬ জুন) দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সাদিয়া উপজেলার টিকরি গ্রামের মো. সোহেল মোল্লার মেয়ে।

পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সালাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, পাবনা সদর উপজেলার হেমায়েতপুরপুর ইউনিয়নের কাজীপাড়া গ্রামের সালাম প্রামানিকের ছেলে সাব্বির হোসেনের সঙ্গে চার বছর আগে বিয়ে হয় সাদিয়ার।

সাদিয়ার স্বজনরা বলেন, বিয়ের পর থেকেই নানা অজুহাতে যৌতুকের জন্য সাদিয়াকে নির্যাতন করতেন তার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন। কিছুদিন আগে সাব্বিরকে একটি মোটরসাইকেল কিনে দেওয়া হয়। এরপরও সাদিয়ার ওপর চালানো হতো নির্যাতন।

এরই জেরে বুধবার দিবাগত রাতে সাদিয়াকে মারধর করে গুরুতর আহত অবস্থায় পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ফেলে রেখে পালিয়ে যান তার স্বামী। কিছুক্ষণ পরই চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাদিয়ার মৃত্যু হয়।

নিহত সাদিয়ার মামা দুলাল মোল্লা বলেন, সাদিয়ার শরীরে মারধরের স্পষ্ট চিহ্ন ছিল। এটি স্বাভাবিক মৃত্যু নয়, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। দ্রুত অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি।

পাবনা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সালাম বলেন, ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

পাবনায় নির্যাতনের পর গৃহবধূকে হাসপাতালে ফেলে পালালেন স্বামী, পরে মৃত্যু

আপডেট সময় : ১০:১৩:১৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫

পাবনা সদর উপজেলার মালিগাছা ইউনিয়নের টিকরী গ্রামে সাদিয়া খাতুন (২২) নামের এক গৃহবধূর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। যৌতুকের দাবিতে নির্যাতনের পর তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসী।

 

ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন নিহতের স্বামী সাব্বির হোসেনসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন। নিহতের তিন বছরের একটি সন্তান রয়েছে।

বুধবার (২৬ জুন) দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সাদিয়া উপজেলার টিকরি গ্রামের মো. সোহেল মোল্লার মেয়ে।

পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সালাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, পাবনা সদর উপজেলার হেমায়েতপুরপুর ইউনিয়নের কাজীপাড়া গ্রামের সালাম প্রামানিকের ছেলে সাব্বির হোসেনের সঙ্গে চার বছর আগে বিয়ে হয় সাদিয়ার।

সাদিয়ার স্বজনরা বলেন, বিয়ের পর থেকেই নানা অজুহাতে যৌতুকের জন্য সাদিয়াকে নির্যাতন করতেন তার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন। কিছুদিন আগে সাব্বিরকে একটি মোটরসাইকেল কিনে দেওয়া হয়। এরপরও সাদিয়ার ওপর চালানো হতো নির্যাতন।

এরই জেরে বুধবার দিবাগত রাতে সাদিয়াকে মারধর করে গুরুতর আহত অবস্থায় পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ফেলে রেখে পালিয়ে যান তার স্বামী। কিছুক্ষণ পরই চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাদিয়ার মৃত্যু হয়।

নিহত সাদিয়ার মামা দুলাল মোল্লা বলেন, সাদিয়ার শরীরে মারধরের স্পষ্ট চিহ্ন ছিল। এটি স্বাভাবিক মৃত্যু নয়, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। দ্রুত অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি।

পাবনা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সালাম বলেন, ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।