ঢাকা ০৩:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫, ৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মেধাভিত্তিক দেশ গঠনে শিক্ষা অপরিহার্য: ব্যারিস্টার অসীম Logo রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পাচ্ছেন মাদ্রাসাশিক্ষার্থীরা Logo জুলাই যোদ্ধাদের জন্য চাকরিতে কোটা থাকছে না : মুক্তিযুদ্ধ উপদেষ্টা Logo ৮ দফা দাবিতে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে তালা ঝুলিয়ে অবস্থান ধর্মঘট করেছেন শিক্ষার্থীরা Logo বিআরটিএ পাবনা সার্কেলের অভিযানে ১২ টি মামলা ও ২৯ হাজার টাকা জরিমানা Logo পদ্মার ভাঙনে সুজানগরের মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাচ্ছে শ শ বাড়ীঘর ও ফসলী জমি Logo ৭ম জন্মদিনে স্বপ্নকে শাজাহানপুর প্রেসক্লাবের উষ্ণ অভিনন্দন! Logo টাইগারদের দাপুটে বোলিংয়ে বিধ্বস্ত পাক ব্যাটাররা, মামুলি লক্ষ্য বাংলাদেশের Logo মধ্যরাতে মদ্যপ অবস্থায় নোবেলের মারামারি, অতঃপর… Logo হাতে পবিত্র কোরআন লিখলেন ৯ বছরের শিশু
নোটিশঃ
 জরুরি সংবাদকর্মী আবশ্যক। আগ্রহীরা ইমেইল আবেদন করুনঃ chalonbilersomoy@gmail.com। চলনবিলের সময় এর সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। 

ঋতুপর্ণাদের ইতিহাস, ৪৫ বছর পর এশিয়া কাপে বাংলাদেশ

স্পোর্টস ডেস্ক,চলনবিলের সময়
  • আপডেট সময় : ১০:২০:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ জুলাই ২০২৫ ১২ বার পড়া হয়েছে
চলনবিলের সময় অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নারী ফুটবলে ইতিহাস গড়ল বাংলাদেশ। স্বাগতিক মিয়ানমারকে হারিয়ে এবং গ্রুপের আরেক ম্যাচে বাহরাইন ও তুর্কমেনিস্তানের ২-২ গোলে ড্রয়ের ফলে সি-গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে প্রথমবারের মতো এশিয়া কাপের মূল পর্বে জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। আগামী বছর অস্ট্রেলিয়ায় বসতে যাওয়া নারী এশিয়ান কাপেই প্রথমবারের মতো খেলবে লাল-সবুজের মেয়েরা।

দুম্যাচ শেষে পূর্ণ ৬ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের শীর্ষে আছে বাংলাদেশ। মিয়ানমারের পয়েন্ট ৩, বাহরাইন ও তুর্কমেনিস্তানের ১ করে। এমন পরিস্থিতিতে শেষ ম্যাচে তুর্কমেনিস্তানের কাছে বাংলাদেশ হেরে গেলেও এবং মিয়ানমার বাহরাইনকে হারিয়ে ৬ পয়েন্টে পৌঁছালেও হেড টু হেড বিবেচনায় এগিয়ে থাকায় গ্রুপ চ্যাম্পিয়নই হিসেবেই টিকিট নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ।

 

এই ফলাফলের পেছনে বড় অবদান রেখেছেন ফরোয়ার্ড ঋতুপর্ণা চাকমা। আজকের ম্যাচে তাঁর জোড়া গোলেই স্বাগতিকদের বিপক্ষে ২-০ ব্যবধানে জয় পায় বাংলাদেশ। কোচ বাটলারের কণ্ঠে তাই প্রশংসার ঝর, ‘ঋতুপর্ণা ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে। ওর গোলগুলো আমাদের আত্মবিশ্বাস দিয়েছে এবং মেয়েরা দুর্দান্তভাবে তা ধরে রেখেছে।

বাহরাইন-তুর্কমেনিস্তান ম্যাচটি শেষ দিকে নাটকীয় মোড় নেয়। ইনজুরি সময়ে গোল করে বাহরাইন ম্যাচটি ২-২ গোলে ড্র করে, যা বাংলাদেশের জন্য স্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কারণ তুর্কমেনিস্তান জিতলে পরবর্তী ম্যাচে বাংলাদেশের ওপর চাপ থাকত।

 

৫ জুলাই তুর্কমেনিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটি এখন শুধুই আনুষ্ঠানিকতা। ঐ ম্যাচে ফল যা-ই হোক না কেন, বাংলাদেশ নারী দল এরই মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে ২০২৬ সালের নারী এশিয়া কাপের মূল পর্বে।

 

এই অর্জন শুধু একটি ফুটবল ম্যাচ জয়ের নয়, বরং দেশের ক্রীড়া ইতিহাসে নতুন অধ্যায়ের সূচনা। ১৯৮০ সালে পুরুষ দল প্রথমবার এশিয়া কাপে খেলেছিল কুয়েতে। দীর্ঘ চার দশক পর এবার সেই মঞ্চে পা রাখতে চলেছেন দেশের নারীরা—এবার অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে।

 

এটাই বাংলাদেশের নারী ফুটবলের সবচেয়ে বড় অর্জন, এবং এর নায়ক হয়ে রইলেন ঋতুপর্ণারা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ঋতুপর্ণাদের ইতিহাস, ৪৫ বছর পর এশিয়া কাপে বাংলাদেশ

আপডেট সময় : ১০:২০:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ জুলাই ২০২৫

নারী ফুটবলে ইতিহাস গড়ল বাংলাদেশ। স্বাগতিক মিয়ানমারকে হারিয়ে এবং গ্রুপের আরেক ম্যাচে বাহরাইন ও তুর্কমেনিস্তানের ২-২ গোলে ড্রয়ের ফলে সি-গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে প্রথমবারের মতো এশিয়া কাপের মূল পর্বে জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। আগামী বছর অস্ট্রেলিয়ায় বসতে যাওয়া নারী এশিয়ান কাপেই প্রথমবারের মতো খেলবে লাল-সবুজের মেয়েরা।

দুম্যাচ শেষে পূর্ণ ৬ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের শীর্ষে আছে বাংলাদেশ। মিয়ানমারের পয়েন্ট ৩, বাহরাইন ও তুর্কমেনিস্তানের ১ করে। এমন পরিস্থিতিতে শেষ ম্যাচে তুর্কমেনিস্তানের কাছে বাংলাদেশ হেরে গেলেও এবং মিয়ানমার বাহরাইনকে হারিয়ে ৬ পয়েন্টে পৌঁছালেও হেড টু হেড বিবেচনায় এগিয়ে থাকায় গ্রুপ চ্যাম্পিয়নই হিসেবেই টিকিট নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ।

 

এই ফলাফলের পেছনে বড় অবদান রেখেছেন ফরোয়ার্ড ঋতুপর্ণা চাকমা। আজকের ম্যাচে তাঁর জোড়া গোলেই স্বাগতিকদের বিপক্ষে ২-০ ব্যবধানে জয় পায় বাংলাদেশ। কোচ বাটলারের কণ্ঠে তাই প্রশংসার ঝর, ‘ঋতুপর্ণা ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে। ওর গোলগুলো আমাদের আত্মবিশ্বাস দিয়েছে এবং মেয়েরা দুর্দান্তভাবে তা ধরে রেখেছে।

বাহরাইন-তুর্কমেনিস্তান ম্যাচটি শেষ দিকে নাটকীয় মোড় নেয়। ইনজুরি সময়ে গোল করে বাহরাইন ম্যাচটি ২-২ গোলে ড্র করে, যা বাংলাদেশের জন্য স্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কারণ তুর্কমেনিস্তান জিতলে পরবর্তী ম্যাচে বাংলাদেশের ওপর চাপ থাকত।

 

৫ জুলাই তুর্কমেনিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটি এখন শুধুই আনুষ্ঠানিকতা। ঐ ম্যাচে ফল যা-ই হোক না কেন, বাংলাদেশ নারী দল এরই মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে ২০২৬ সালের নারী এশিয়া কাপের মূল পর্বে।

 

এই অর্জন শুধু একটি ফুটবল ম্যাচ জয়ের নয়, বরং দেশের ক্রীড়া ইতিহাসে নতুন অধ্যায়ের সূচনা। ১৯৮০ সালে পুরুষ দল প্রথমবার এশিয়া কাপে খেলেছিল কুয়েতে। দীর্ঘ চার দশক পর এবার সেই মঞ্চে পা রাখতে চলেছেন দেশের নারীরা—এবার অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে।

 

এটাই বাংলাদেশের নারী ফুটবলের সবচেয়ে বড় অর্জন, এবং এর নায়ক হয়ে রইলেন ঋতুপর্ণারা।