ঢাকা ০৩:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫, ৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মেধাভিত্তিক দেশ গঠনে শিক্ষা অপরিহার্য: ব্যারিস্টার অসীম Logo রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পাচ্ছেন মাদ্রাসাশিক্ষার্থীরা Logo জুলাই যোদ্ধাদের জন্য চাকরিতে কোটা থাকছে না : মুক্তিযুদ্ধ উপদেষ্টা Logo ৮ দফা দাবিতে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে তালা ঝুলিয়ে অবস্থান ধর্মঘট করেছেন শিক্ষার্থীরা Logo বিআরটিএ পাবনা সার্কেলের অভিযানে ১২ টি মামলা ও ২৯ হাজার টাকা জরিমানা Logo পদ্মার ভাঙনে সুজানগরের মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাচ্ছে শ শ বাড়ীঘর ও ফসলী জমি Logo ৭ম জন্মদিনে স্বপ্নকে শাজাহানপুর প্রেসক্লাবের উষ্ণ অভিনন্দন! Logo টাইগারদের দাপুটে বোলিংয়ে বিধ্বস্ত পাক ব্যাটাররা, মামুলি লক্ষ্য বাংলাদেশের Logo মধ্যরাতে মদ্যপ অবস্থায় নোবেলের মারামারি, অতঃপর… Logo হাতে পবিত্র কোরআন লিখলেন ৯ বছরের শিশু
নোটিশঃ
 জরুরি সংবাদকর্মী আবশ্যক। আগ্রহীরা ইমেইল আবেদন করুনঃ chalonbilersomoy@gmail.com। চলনবিলের সময় এর সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। 

ভয়াবহ সুনামির আশঙ্কা, প্রাণহানি ঘটতে পারে ৩ লাখ মানুষের

আন্তর্জাতিক নিউজ ডেস্ক,
  • আপডেট সময় : ১০:১৫:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ জুলাই ২০২৫ ১৭ বার পড়া হয়েছে
চলনবিলের সময় অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

জাপানে ভয়াবহ ‘মেগাক্যুয়েক’ বা বিশাল ভূমিকম্পের সম্ভাবনায় নতুন করে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। দেশটির সরকারের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প ও তার পরবর্তী সুনামিতে প্রায় ২,৯৮,০০০ মানুষ মারা যেতে পারেন, আর ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়াতে পারে দুই ট্রিলিয়ন ডলার পর্যন্ত।

বিশেষজ্ঞদের মতে, আগামী ৩০ বছরের মধ্যে জাপানের প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূলবর্তী ‘নানকাই ট্রাফ’ এলাকায় এ ধরনের একটি বড় ভূমিকম্প আঘাত হানতে পারে। আর এমনটা ঘটার সম্ভাবনা প্রায় ৭৫ থেকে ৮২ শতাংশ।

জাপান সরকার জানিয়েছে, ২০১৪ সালে দুর্যোগ প্রস্তুতি পরিকল্পনার আওতায় যেসব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল, তা সম্ভাব্য প্রাণহানি মাত্র ২০ শতাংশ পর্যন্ত কমাতে পারবে। অথচ পরিকল্পনা অনুযায়ী মৃত্যুর হার কমানো উচিত ছিল ৮০ শতাংশ পর্যন্ত।

এই পরিস্থিতিতে জাপান সরকার নতুন করে একটি হালনাগাদ পরিকল্পনা প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়েছে, দেশজুড়ে বাঁধ নির্মাণ, জরুরি আশ্রয়কেন্দ্র তৈরি এবং জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে নিয়মিত মহড়ার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হবে।

জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা এক সরকারি বৈঠকে বলেন, ‘প্রাণহানি কমাতে হলে সরকার, স্থানীয় প্রশাসন, বেসরকারি সংস্থা ও সাধারণ জনগণকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।

নানকাই ট্রাফ হলো ৫০০ মাইল দীর্ঘ একটি সমুদ্রতলীয় খাত, যেখানে একটি টেকটোনিক প্লেট আরেকটির নিচ দিয়ে ধীরে ধীরে সরে যাচ্ছে। গত ১,৪০০ বছরে এই অঞ্চলে প্রতি ১০০ থেকে ২০০ বছর পর পর বড় ভূমিকম্প ঘটেছে। সর্বশেষ মেগাক্যুয়েক হয়েছিল ১৯৪৬ সালে।

২০২৩ সালের আগস্টে জাপানের আবহাওয়া সংস্থা (জেএমএ) প্রথমবারের মতো সতর্কবার্তা জারি করলেও এক সপ্তাহের মধ্যেই তা তুলে নেওয়া হয়। তবে সাম্প্রতিক রিপোর্টগুলো নতুন করে উদ্বেগ বাড়িয়ে তুলেছে।

জাপানের আবহাওয়া সংস্থার প্রধান রিওইচি নোমুরা বলেন, বর্তমান বৈজ্ঞানিক প্রযুক্তি দিয়ে ভূমিকম্পের নির্দিষ্ট সময়, স্থান বা মাত্রা পূর্বাভাস দেওয়া সম্ভব নয়। তাই জনসাধারণকে অহেতুক আতঙ্কিত না হয়ে প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।

প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে জাপানে রিখটার স্কেলে ৯ মাত্রার ভূমিকম্প এবং ১৩২ ফুট উচ্চতার সুনামি প্রায় ১৫,৫০০ মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছিল। এই দুর্যোগে ফুকুশিমা পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৩টি চুল্লি বিধ্বস্ত হয় এবং ব্যাপক তেজস্ক্রিয় পদার্থ ছড়িয়ে পড়ে।

কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, নানকাই ট্রাফে যদি এবার মেগাক্যুয়েক হয়, তবে তা ২০১১ সালের ভূমিকম্পের চেয়েও ভয়াবহ হতে পারে। জাপানের সরকার ও জনগণের সামনে এখন বড় চ্যালেঞ্জ—এই সম্ভাব্য দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুত হওয়া।

সূত্র : ডেইলি মেইল

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ভয়াবহ সুনামির আশঙ্কা, প্রাণহানি ঘটতে পারে ৩ লাখ মানুষের

আপডেট সময় : ১০:১৫:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ জুলাই ২০২৫

জাপানে ভয়াবহ ‘মেগাক্যুয়েক’ বা বিশাল ভূমিকম্পের সম্ভাবনায় নতুন করে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। দেশটির সরকারের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প ও তার পরবর্তী সুনামিতে প্রায় ২,৯৮,০০০ মানুষ মারা যেতে পারেন, আর ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়াতে পারে দুই ট্রিলিয়ন ডলার পর্যন্ত।

বিশেষজ্ঞদের মতে, আগামী ৩০ বছরের মধ্যে জাপানের প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূলবর্তী ‘নানকাই ট্রাফ’ এলাকায় এ ধরনের একটি বড় ভূমিকম্প আঘাত হানতে পারে। আর এমনটা ঘটার সম্ভাবনা প্রায় ৭৫ থেকে ৮২ শতাংশ।

জাপান সরকার জানিয়েছে, ২০১৪ সালে দুর্যোগ প্রস্তুতি পরিকল্পনার আওতায় যেসব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল, তা সম্ভাব্য প্রাণহানি মাত্র ২০ শতাংশ পর্যন্ত কমাতে পারবে। অথচ পরিকল্পনা অনুযায়ী মৃত্যুর হার কমানো উচিত ছিল ৮০ শতাংশ পর্যন্ত।

এই পরিস্থিতিতে জাপান সরকার নতুন করে একটি হালনাগাদ পরিকল্পনা প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়েছে, দেশজুড়ে বাঁধ নির্মাণ, জরুরি আশ্রয়কেন্দ্র তৈরি এবং জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে নিয়মিত মহড়ার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হবে।

জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা এক সরকারি বৈঠকে বলেন, ‘প্রাণহানি কমাতে হলে সরকার, স্থানীয় প্রশাসন, বেসরকারি সংস্থা ও সাধারণ জনগণকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।

নানকাই ট্রাফ হলো ৫০০ মাইল দীর্ঘ একটি সমুদ্রতলীয় খাত, যেখানে একটি টেকটোনিক প্লেট আরেকটির নিচ দিয়ে ধীরে ধীরে সরে যাচ্ছে। গত ১,৪০০ বছরে এই অঞ্চলে প্রতি ১০০ থেকে ২০০ বছর পর পর বড় ভূমিকম্প ঘটেছে। সর্বশেষ মেগাক্যুয়েক হয়েছিল ১৯৪৬ সালে।

২০২৩ সালের আগস্টে জাপানের আবহাওয়া সংস্থা (জেএমএ) প্রথমবারের মতো সতর্কবার্তা জারি করলেও এক সপ্তাহের মধ্যেই তা তুলে নেওয়া হয়। তবে সাম্প্রতিক রিপোর্টগুলো নতুন করে উদ্বেগ বাড়িয়ে তুলেছে।

জাপানের আবহাওয়া সংস্থার প্রধান রিওইচি নোমুরা বলেন, বর্তমান বৈজ্ঞানিক প্রযুক্তি দিয়ে ভূমিকম্পের নির্দিষ্ট সময়, স্থান বা মাত্রা পূর্বাভাস দেওয়া সম্ভব নয়। তাই জনসাধারণকে অহেতুক আতঙ্কিত না হয়ে প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।

প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে জাপানে রিখটার স্কেলে ৯ মাত্রার ভূমিকম্প এবং ১৩২ ফুট উচ্চতার সুনামি প্রায় ১৫,৫০০ মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছিল। এই দুর্যোগে ফুকুশিমা পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৩টি চুল্লি বিধ্বস্ত হয় এবং ব্যাপক তেজস্ক্রিয় পদার্থ ছড়িয়ে পড়ে।

কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, নানকাই ট্রাফে যদি এবার মেগাক্যুয়েক হয়, তবে তা ২০১১ সালের ভূমিকম্পের চেয়েও ভয়াবহ হতে পারে। জাপানের সরকার ও জনগণের সামনে এখন বড় চ্যালেঞ্জ—এই সম্ভাব্য দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুত হওয়া।

সূত্র : ডেইলি মেইল