ঢাকা ০১:২০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশঃ
 জরুরি সংবাদকর্মী আবশ্যক। আগ্রহীরা ইমেইল আবেদন করুনঃ chalonbilersomoy@gmail.com। চলনবিলের সময় এর সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। 

৫০০ টাকায় ১০ এমবিপিএস, গ্রাহক কি আসলেই এই গতির ইন্টারনেট পাবেন?

চলনবিলের সময় নিউজ ডেস্কঃ
  • আপডেট সময় : ১১:০১:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ জুলাই ২০২৫ ১৬ বার পড়া হয়েছে
চলনবিলের সময় অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের জন্য সুখবর দিয়েছে সরকার। গ্রাহক পর্যায়ে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের দাম আরও কমানো হয়েছে। এক দেশ, এক রেট’ আইএসপিদের জন্য নতুন ট্যারিফ ঘোষণা করা হয়েছে। ফলে এখন ১০ এমবিপিএসের ৭০০ টাকার ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট প্যাকেজ গ্রাহকরা পাবেন ৫০০ টাকায়।

মঙ্গলবার (১ জুলাই) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এমনটা জানায় সংগঠনটি, যা ১ জুলাই থেকে কার্যকরের কথা বলা হয়েছে।

এখন প্রশ্ন হলো, ৫০০ টাকায় ১০ এমবিপিএসের যে ঘোষণা এসেছে, গ্রাহক কি আসলেই এই গতির ইন্টারনেট পাবেন?

দেশের গ্রাহকেরা সব সময়ই অভিযোগ করে আসছেন, যে গতির ইন্টারনেট দেখে তারা সংযোগ নেন, ব্যবহারের সময় সে গতি পাওয়া যায় না। দেখা যায়, ভাগাভাগির নীতি অনুযায়ী একটি সংযোগ কয়েকজন গ্রাহককে দেওয়া হয়। ফলে ১০ এমবিপিএসের ক্ষেত্রে একজন গ্রাহক হয়তো গড়ে ৩ এমবিপিএসের মতো গতি পায়।

এ বিষয়ে রাজধানীর রায়ের বাজারের ফয়জুল ইসলাম বলেন, গত দু’বছর ধরে তিনি ৫০০ টাকায় ১০ এমবিপিএসের সংযোগ নিয়ে ব্যবহার করছেন। কিন্তু তিনি ২ থেকে ৩ এমবিপিএসের মতো গতি পান। ১০ এমবিপিএসের গতি দেওয়ার কথা থাকলেও তা তিনি পান না।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের স্যোসাল মিডিয়া এক্সপার্ট শাহরিয়া রোকন বলেন, ১০ এমবিপিএস শুধু খাতা-কলমেই সীমাবদ্ধ। বাস্তবে ইন্টারনেট প্রভাইডাররা যে গতি দেন তাতে অভিযোগ জানালে  পিক আওয়ার বা অফপিক নানান কথা বলে ফোন রেখে দেন।

গত বছর থেকে তিনি ৫০০ টাকায় ১০ এমবিপিএসের সংযোগ নিয়ে ব্যবহার করছেন। কিন্তু তিনি ২ থেকে ৩ এমবিপিএসের মতো গতি পান। ১০ এমবিপিএসের  গতি দেওয়ার কথা থাকলেও তা তারা আসলে পান না।

বিটিআরসির নির্দেশনা অনুযায়ী, একটি সংযোগ সর্বোচ্চ আটজনের মধ্যে ভাগ করা যাবে। সে হিসাবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে গ্রাহক যে সংযোগ পান, তা এই ভাগাভাগির ভিত্তিতেই পেয়ে থাকেন বলে জানায় আইএসপি প্রতিষ্ঠানগুলো।

তবে গ্রাহকের একক সংযোগ নেওয়ারও সুযোগ আছে। সে ক্ষেত্রে দাম বেশি পড়ে।

ইন্টারনেট গতি নিয়ে কয়েকটি আইএসপি প্রতিষ্ঠান বলে, পিক আওয়ারে, অর্থাৎ রাতের দিকে সব গ্রাহক যখন একসঙ্গে ইন্টারনেট ব্যবহার শুরু করেন, তখন গতি কমে যায়। আবার দিনের বেলায় বা অফপিক আওয়ারে (চাহিদা যখন কম থাকা) গতি বেড়ে যায়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমানে কোনো আইএসপি ৫ এমবিপিএস-এর প্যাকেজ দেয় না। আইএসপিগুলো কমবেশি গড়ে ১০ এমবিপিএস ব্যান্ডউইথ দিয়ে থাকে। সেই অনুযায়ী আইএসপিএবি ৫০০ টাকা থেকে প্যাকেজ শুরু করতে যাচ্ছে।

আইএসপিএবি সভাপতি আমিনুল হাকিম এ প্রসঙ্গে বলেছেন, স্পিডটেস্ট গ্লোবাল ইনডেস্কে ফিক্সড ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবায় বিশ্বের ১৫৩টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৯৮তম। এই সূচকে বাংলাদেশের অবস্থানকে আরও উপরে দেখতে চায় আইএসপিএবি। সরকার যদি সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিল ও রেভিনিউ শেয়ার প্রত্যাহার করে নেয় তাহলে ভবিষ্যতে ২০ এমবিপিএস ব্যান্ডউইথ নিশ্চিত করা যাবে।

এর আগে, ২২ মে সারাদেশে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের জন্য নতুন করে এক দেশ এক রেট জারি করে বিটিআরসি। সে অনুযায়ী জুলাই থেকে সারা দেশে ৫ এমবিপিএস গতির ইন্টারনেট সেবার মাসিক মূল্য নির্ধারণ করা হয় সর্বোচ্চ ৪০০ টাকা। এ ছাড়া ১০ এমবিপিএস ইন্টারনেট সেবার দাম ৭০০ টাকা এবং ২০ এমবিপিএসের জন্য ১ হাজার ১০০ টাকা নির্ধারণ করে বিটিআরসি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

৫০০ টাকায় ১০ এমবিপিএস, গ্রাহক কি আসলেই এই গতির ইন্টারনেট পাবেন?

আপডেট সময় : ১১:০১:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ জুলাই ২০২৫

ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের জন্য সুখবর দিয়েছে সরকার। গ্রাহক পর্যায়ে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের দাম আরও কমানো হয়েছে। এক দেশ, এক রেট’ আইএসপিদের জন্য নতুন ট্যারিফ ঘোষণা করা হয়েছে। ফলে এখন ১০ এমবিপিএসের ৭০০ টাকার ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট প্যাকেজ গ্রাহকরা পাবেন ৫০০ টাকায়।

মঙ্গলবার (১ জুলাই) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এমনটা জানায় সংগঠনটি, যা ১ জুলাই থেকে কার্যকরের কথা বলা হয়েছে।

এখন প্রশ্ন হলো, ৫০০ টাকায় ১০ এমবিপিএসের যে ঘোষণা এসেছে, গ্রাহক কি আসলেই এই গতির ইন্টারনেট পাবেন?

দেশের গ্রাহকেরা সব সময়ই অভিযোগ করে আসছেন, যে গতির ইন্টারনেট দেখে তারা সংযোগ নেন, ব্যবহারের সময় সে গতি পাওয়া যায় না। দেখা যায়, ভাগাভাগির নীতি অনুযায়ী একটি সংযোগ কয়েকজন গ্রাহককে দেওয়া হয়। ফলে ১০ এমবিপিএসের ক্ষেত্রে একজন গ্রাহক হয়তো গড়ে ৩ এমবিপিএসের মতো গতি পায়।

এ বিষয়ে রাজধানীর রায়ের বাজারের ফয়জুল ইসলাম বলেন, গত দু’বছর ধরে তিনি ৫০০ টাকায় ১০ এমবিপিএসের সংযোগ নিয়ে ব্যবহার করছেন। কিন্তু তিনি ২ থেকে ৩ এমবিপিএসের মতো গতি পান। ১০ এমবিপিএসের গতি দেওয়ার কথা থাকলেও তা তিনি পান না।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের স্যোসাল মিডিয়া এক্সপার্ট শাহরিয়া রোকন বলেন, ১০ এমবিপিএস শুধু খাতা-কলমেই সীমাবদ্ধ। বাস্তবে ইন্টারনেট প্রভাইডাররা যে গতি দেন তাতে অভিযোগ জানালে  পিক আওয়ার বা অফপিক নানান কথা বলে ফোন রেখে দেন।

গত বছর থেকে তিনি ৫০০ টাকায় ১০ এমবিপিএসের সংযোগ নিয়ে ব্যবহার করছেন। কিন্তু তিনি ২ থেকে ৩ এমবিপিএসের মতো গতি পান। ১০ এমবিপিএসের  গতি দেওয়ার কথা থাকলেও তা তারা আসলে পান না।

বিটিআরসির নির্দেশনা অনুযায়ী, একটি সংযোগ সর্বোচ্চ আটজনের মধ্যে ভাগ করা যাবে। সে হিসাবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে গ্রাহক যে সংযোগ পান, তা এই ভাগাভাগির ভিত্তিতেই পেয়ে থাকেন বলে জানায় আইএসপি প্রতিষ্ঠানগুলো।

তবে গ্রাহকের একক সংযোগ নেওয়ারও সুযোগ আছে। সে ক্ষেত্রে দাম বেশি পড়ে।

ইন্টারনেট গতি নিয়ে কয়েকটি আইএসপি প্রতিষ্ঠান বলে, পিক আওয়ারে, অর্থাৎ রাতের দিকে সব গ্রাহক যখন একসঙ্গে ইন্টারনেট ব্যবহার শুরু করেন, তখন গতি কমে যায়। আবার দিনের বেলায় বা অফপিক আওয়ারে (চাহিদা যখন কম থাকা) গতি বেড়ে যায়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমানে কোনো আইএসপি ৫ এমবিপিএস-এর প্যাকেজ দেয় না। আইএসপিগুলো কমবেশি গড়ে ১০ এমবিপিএস ব্যান্ডউইথ দিয়ে থাকে। সেই অনুযায়ী আইএসপিএবি ৫০০ টাকা থেকে প্যাকেজ শুরু করতে যাচ্ছে।

আইএসপিএবি সভাপতি আমিনুল হাকিম এ প্রসঙ্গে বলেছেন, স্পিডটেস্ট গ্লোবাল ইনডেস্কে ফিক্সড ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবায় বিশ্বের ১৫৩টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৯৮তম। এই সূচকে বাংলাদেশের অবস্থানকে আরও উপরে দেখতে চায় আইএসপিএবি। সরকার যদি সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিল ও রেভিনিউ শেয়ার প্রত্যাহার করে নেয় তাহলে ভবিষ্যতে ২০ এমবিপিএস ব্যান্ডউইথ নিশ্চিত করা যাবে।

এর আগে, ২২ মে সারাদেশে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের জন্য নতুন করে এক দেশ এক রেট জারি করে বিটিআরসি। সে অনুযায়ী জুলাই থেকে সারা দেশে ৫ এমবিপিএস গতির ইন্টারনেট সেবার মাসিক মূল্য নির্ধারণ করা হয় সর্বোচ্চ ৪০০ টাকা। এ ছাড়া ১০ এমবিপিএস ইন্টারনেট সেবার দাম ৭০০ টাকা এবং ২০ এমবিপিএসের জন্য ১ হাজার ১০০ টাকা নির্ধারণ করে বিটিআরসি।