ঢাকা ০৩:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫, ৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মেধাভিত্তিক দেশ গঠনে শিক্ষা অপরিহার্য: ব্যারিস্টার অসীম Logo রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পাচ্ছেন মাদ্রাসাশিক্ষার্থীরা Logo জুলাই যোদ্ধাদের জন্য চাকরিতে কোটা থাকছে না : মুক্তিযুদ্ধ উপদেষ্টা Logo ৮ দফা দাবিতে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে তালা ঝুলিয়ে অবস্থান ধর্মঘট করেছেন শিক্ষার্থীরা Logo বিআরটিএ পাবনা সার্কেলের অভিযানে ১২ টি মামলা ও ২৯ হাজার টাকা জরিমানা Logo পদ্মার ভাঙনে সুজানগরের মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাচ্ছে শ শ বাড়ীঘর ও ফসলী জমি Logo ৭ম জন্মদিনে স্বপ্নকে শাজাহানপুর প্রেসক্লাবের উষ্ণ অভিনন্দন! Logo টাইগারদের দাপুটে বোলিংয়ে বিধ্বস্ত পাক ব্যাটাররা, মামুলি লক্ষ্য বাংলাদেশের Logo মধ্যরাতে মদ্যপ অবস্থায় নোবেলের মারামারি, অতঃপর… Logo হাতে পবিত্র কোরআন লিখলেন ৯ বছরের শিশু
নোটিশঃ
 জরুরি সংবাদকর্মী আবশ্যক। আগ্রহীরা ইমেইল আবেদন করুনঃ chalonbilersomoy@gmail.com। চলনবিলের সময় এর সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। 

মুরাদনগরে তিন খুন

মানুষ না থাকায় গ্রাম পুলিশ দিয়ে খোঁড়া হয়েছে কবর

চলনবিলের সময় নিউজ ডেস্কঃ
  • আপডেট সময় : ১১:৩৮:০৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ জুলাই ২০২৫ ১৮ বার পড়া হয়েছে
চলনবিলের সময় অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

কুমিল্লার মুরাদনগরের কড়ইবাড়ী গ্রামে একই পরিবারের তিনজনকে পিটিয়ে হত্যার পর গোটা গ্রাম এখন ‘আতঙ্কের নগরী’। গ্রেপ্তার আতঙ্কে পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে পুরো গ্রাম।

তাই এলাকাবাসীর গণপিটুনিতে নিহত মাদকসম্রাজ্ঞী রোকসানা আক্তার রুবি ও তার সন্তানদের দাফনের জন্য কবর খোঁড়ার জন্য মানুষ পাওয়া যাচ্ছে না সেখানে। বাঙ্গরা বাজার থানা পুলিশের সহযোগিতায় গ্রাম পুলিশ দিয়ে খোঁড়া হয়েছে কবর।

শুক্রবার (৪ জুলাই) সন্ধ্যায় সরেজমিনে কড়ইবাড়ী কবরস্থানে গিয়ে দেখা যায়, ৩ গ্রাম পুলিশসহ চারজনে তিনটি কবর খোঁড়ার কাজ করছেন। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা পর্যন্ত লাশ নিয়ে এলাকায় পৌঁছায়নি নিহতদের স্বজনরা।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ময়নাতদন্ত শেষ হলেও শুক্রবার দুপুর নাগাদ নিহতদের লাশ গ্রহণ করতে যায়নি কেউ। বিকেলের দিকে নিহত রুবির মেয়ে জামাই মনির হোসেন লাশ গ্রহণ করেন বলে জানা যায়।

বাঙ্গরা বাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মাহফুজুর রহমান বলেন, নিহতদের স্বজনদের সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা শুক্রবার রাতের মধ্যেই মামলা করবে বলে জানিয়েছেন। এ ঘটনায় আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে।

প্রসঙ্গত, গত ৩ জুলাই সকাল ৯টায় মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানাধীন আকুবপুর ইউনিয়নের কড়ইবাড়ী গ্রামে এলাকাবাসী হামলা করে চিহ্নিত মাদককারবারি রোকসানা বেগম রুবি ও তার ছেলে রাসেল ও মেয়ে জোনাকি আক্তারকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করে। এ সময় রুমা নামে রোকসানার আরও এক মেয়ে গুরুতর আহত হন। নিহতের স্বজনরা এখনো এই ঘটনায় মামলা করেননি।

নিহত রাসেলের স্ত্রী মীম আক্তার জানান, রুবির বাড়ির সামনে ৮০-৯০ জন লাঠিসোঁটা নিয়ে আসে। প্রথমে তারা বাড়িতে ইট ছোড়ে, পরে ঢুকে পড়ে। রুবিকে মারতে মারতে উঠানে ফেলে রাখে। পাশের ঘর থেকে মেয়েরা বের হলে তাদেরও পেটানো হয়।

স্থানীয় আরেক ব্যক্তি জানান, চেয়ারম্যান শিমুল আর মেম্বার বাচ্চু সামনে ছিলেন। কেউ কাউকে থামায়নি। বরং লোকে বলেছে, ‘চেয়ারম্যান সাহেব আছেন, কিছু হবে না।’ তারপর শুরু হয় পিটুনি।

এদিকে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশের পর দেশজুড়ে আলোড়ন তোলে ঘটনাটি। এ সময় কড়ইবাড়ী গ্রামের অনেকেই এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান। অধিকাংশ বাড়িঘরে তালা ঝুলছে এখন। গ্রামের রাস্তা ফাঁকা, পুরুষ সদস্যদের কাউকেই দেখা যাচ্ছে না।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

মুরাদনগরে তিন খুন

মানুষ না থাকায় গ্রাম পুলিশ দিয়ে খোঁড়া হয়েছে কবর

আপডেট সময় : ১১:৩৮:০৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ জুলাই ২০২৫

কুমিল্লার মুরাদনগরের কড়ইবাড়ী গ্রামে একই পরিবারের তিনজনকে পিটিয়ে হত্যার পর গোটা গ্রাম এখন ‘আতঙ্কের নগরী’। গ্রেপ্তার আতঙ্কে পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে পুরো গ্রাম।

তাই এলাকাবাসীর গণপিটুনিতে নিহত মাদকসম্রাজ্ঞী রোকসানা আক্তার রুবি ও তার সন্তানদের দাফনের জন্য কবর খোঁড়ার জন্য মানুষ পাওয়া যাচ্ছে না সেখানে। বাঙ্গরা বাজার থানা পুলিশের সহযোগিতায় গ্রাম পুলিশ দিয়ে খোঁড়া হয়েছে কবর।

শুক্রবার (৪ জুলাই) সন্ধ্যায় সরেজমিনে কড়ইবাড়ী কবরস্থানে গিয়ে দেখা যায়, ৩ গ্রাম পুলিশসহ চারজনে তিনটি কবর খোঁড়ার কাজ করছেন। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা পর্যন্ত লাশ নিয়ে এলাকায় পৌঁছায়নি নিহতদের স্বজনরা।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ময়নাতদন্ত শেষ হলেও শুক্রবার দুপুর নাগাদ নিহতদের লাশ গ্রহণ করতে যায়নি কেউ। বিকেলের দিকে নিহত রুবির মেয়ে জামাই মনির হোসেন লাশ গ্রহণ করেন বলে জানা যায়।

বাঙ্গরা বাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মাহফুজুর রহমান বলেন, নিহতদের স্বজনদের সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা শুক্রবার রাতের মধ্যেই মামলা করবে বলে জানিয়েছেন। এ ঘটনায় আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে।

প্রসঙ্গত, গত ৩ জুলাই সকাল ৯টায় মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানাধীন আকুবপুর ইউনিয়নের কড়ইবাড়ী গ্রামে এলাকাবাসী হামলা করে চিহ্নিত মাদককারবারি রোকসানা বেগম রুবি ও তার ছেলে রাসেল ও মেয়ে জোনাকি আক্তারকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করে। এ সময় রুমা নামে রোকসানার আরও এক মেয়ে গুরুতর আহত হন। নিহতের স্বজনরা এখনো এই ঘটনায় মামলা করেননি।

নিহত রাসেলের স্ত্রী মীম আক্তার জানান, রুবির বাড়ির সামনে ৮০-৯০ জন লাঠিসোঁটা নিয়ে আসে। প্রথমে তারা বাড়িতে ইট ছোড়ে, পরে ঢুকে পড়ে। রুবিকে মারতে মারতে উঠানে ফেলে রাখে। পাশের ঘর থেকে মেয়েরা বের হলে তাদেরও পেটানো হয়।

স্থানীয় আরেক ব্যক্তি জানান, চেয়ারম্যান শিমুল আর মেম্বার বাচ্চু সামনে ছিলেন। কেউ কাউকে থামায়নি। বরং লোকে বলেছে, ‘চেয়ারম্যান সাহেব আছেন, কিছু হবে না।’ তারপর শুরু হয় পিটুনি।

এদিকে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশের পর দেশজুড়ে আলোড়ন তোলে ঘটনাটি। এ সময় কড়ইবাড়ী গ্রামের অনেকেই এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান। অধিকাংশ বাড়িঘরে তালা ঝুলছে এখন। গ্রামের রাস্তা ফাঁকা, পুরুষ সদস্যদের কাউকেই দেখা যাচ্ছে না।