ঢাকা ১২:২৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫, ৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশঃ
 জরুরি সংবাদকর্মী আবশ্যক। আগ্রহীরা ইমেইল আবেদন করুনঃ chalonbilersomoy@gmail.com। চলনবিলের সময় এর সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। 

দ্বিতীয় ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয় তানজিদের

স্পোর্টস ডেস্ক,চলনবিলের সময়
  • আপডেট সময় : ১১:৪০:৩৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ জুলাই ২০২৫ ৮ বার পড়া হয়েছে
চলনবিলের সময় অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে বাজে হারের পর হতাশ টাইগার ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম। যদিও তাকে ঘিরে দর্শক-সমর্থকদের প্রশংসা ছিল, কিন্তু নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে সন্তুষ্ট নন এই বাঁহাতি ব্যাটার। তার মতে, দলের প্রয়োজনের সময় প্রয়োজনীয় অবদান রাখতে না পারায় নিজের খেলা ভালো বলতে পারছেন না তানজিদ।

 

আগামীকাল শনিবার (০৫ জুলাই) দ্বিতীয় ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে তানজিদ বলেন, প্রথমে আপনি বললেন আমি ভালো খেলেছি। আমার কাছে মনে হয় না আমি ভালো খেলেছি। কারণ দলের যখন যেটা দরকার ছিল আমি সেটা পূরণ করতে পারিনি। যদি সেটা পারতাম তাহলে বলতে পারতাম হ্যাঁ, ভালো খেলেছি।

ম্যাচে তানজিদ ও অধিনায়ক শান্ত জুটি গড়ে এগিয়ে নিচ্ছিলেন দলকে। কিন্তু হঠাৎ এক রান আউটে ভেঙে যায় সেই গুরুত্বপূর্ণ জুটি। সেটাকে ম্যাচের বড় টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে দেখছেন তানজিদ। তিনি বলেন, ‘আমি আর শান্ত ভাই ভালো একটা জুটি গড়েছিলাম। রান আউটটা খুব দুর্ভাগ্যজনক ছিল। ওখান থেকে যদি আরও ৩০-৪০ রান যোগ করতে পারতাম, তাহলে ম্যাচটা সহজ হয়ে যেত।

উইকেটের আচরণ নিয়েও বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়েছেন তানজিদ। তার মতে, ‘এই ধরনের উইকেটে সবচেয়ে বেশি দরকার যারা থিতু হবে, তাদেরই লম্বা ইনিংস খেলতে হবে। আমাদের জুটিটা টিকে গেলে পরের ব্যাটারদের জন্য কাজটা সহজ হতো।’

 

প্রথম ম্যাচের ভুলগুলো নিয়ে দলের মধ্যে লম্বা আলোচনা হয়েছে জানিয়ে তানজিদ বলেন, ‘কোচ আমাদের জানিয়েছেন, এই ধরনের উইকেটে থিতু ব্যাটারদের ম্যাচ শেষ করা খুব গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে হাসারাঙ্গার মতো স্পিনারের বিপক্ষে বাঁহাতি ব্যাটাররা ভালো করতে পারে। এসব বিষয় নিয়ে আমরা কাজ করছি।

 

তানজিদ আরও যোগ করেন, ‘ইতিবাচক অনেক কিছুই ছিল। বোলিংয়ের শুরু ও শেষ দুটোই ভালো হয়েছে। ফিল্ডিংও ভালো ছিল। তবে ব্যাটিং ধসই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে। আশা করি, পরের ম্যাচে এই ধরনের ধস আর হবে না।

 

ব্যক্তিগত লক্ষ্য প্রসঙ্গে তানজিদ বলেন, ‘প্রতিটি ম্যাচেই দলের জন্য অবদান রাখতে চাই। পরের ম্যাচটা আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। এখন আমাদের লক্ষ্য পরের ম্যাচে জিতেই সিরিজে টিকে থাকা।

 

তিন ম্যাচের সিরিজে প্রথম ম্যাচ হারের পর এখন বাকি দুই ম্যাচই বাঁচা-মরার লড়াই বাংলাদেশের জন্য। তানজিদ হাসান তামিমের মতো তরুণ ব্যাটারদের আত্মবিশ্বাস আর লড়াইয়ের মানসিকতা থাকলে সিরিজে ফিরে আসার স্বপ্ন দেখতেই পারে টাইগাররা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

দ্বিতীয় ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয় তানজিদের

আপডেট সময় : ১১:৪০:৩৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ জুলাই ২০২৫

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে বাজে হারের পর হতাশ টাইগার ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম। যদিও তাকে ঘিরে দর্শক-সমর্থকদের প্রশংসা ছিল, কিন্তু নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে সন্তুষ্ট নন এই বাঁহাতি ব্যাটার। তার মতে, দলের প্রয়োজনের সময় প্রয়োজনীয় অবদান রাখতে না পারায় নিজের খেলা ভালো বলতে পারছেন না তানজিদ।

 

আগামীকাল শনিবার (০৫ জুলাই) দ্বিতীয় ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে তানজিদ বলেন, প্রথমে আপনি বললেন আমি ভালো খেলেছি। আমার কাছে মনে হয় না আমি ভালো খেলেছি। কারণ দলের যখন যেটা দরকার ছিল আমি সেটা পূরণ করতে পারিনি। যদি সেটা পারতাম তাহলে বলতে পারতাম হ্যাঁ, ভালো খেলেছি।

ম্যাচে তানজিদ ও অধিনায়ক শান্ত জুটি গড়ে এগিয়ে নিচ্ছিলেন দলকে। কিন্তু হঠাৎ এক রান আউটে ভেঙে যায় সেই গুরুত্বপূর্ণ জুটি। সেটাকে ম্যাচের বড় টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে দেখছেন তানজিদ। তিনি বলেন, ‘আমি আর শান্ত ভাই ভালো একটা জুটি গড়েছিলাম। রান আউটটা খুব দুর্ভাগ্যজনক ছিল। ওখান থেকে যদি আরও ৩০-৪০ রান যোগ করতে পারতাম, তাহলে ম্যাচটা সহজ হয়ে যেত।

উইকেটের আচরণ নিয়েও বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়েছেন তানজিদ। তার মতে, ‘এই ধরনের উইকেটে সবচেয়ে বেশি দরকার যারা থিতু হবে, তাদেরই লম্বা ইনিংস খেলতে হবে। আমাদের জুটিটা টিকে গেলে পরের ব্যাটারদের জন্য কাজটা সহজ হতো।’

 

প্রথম ম্যাচের ভুলগুলো নিয়ে দলের মধ্যে লম্বা আলোচনা হয়েছে জানিয়ে তানজিদ বলেন, ‘কোচ আমাদের জানিয়েছেন, এই ধরনের উইকেটে থিতু ব্যাটারদের ম্যাচ শেষ করা খুব গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে হাসারাঙ্গার মতো স্পিনারের বিপক্ষে বাঁহাতি ব্যাটাররা ভালো করতে পারে। এসব বিষয় নিয়ে আমরা কাজ করছি।

 

তানজিদ আরও যোগ করেন, ‘ইতিবাচক অনেক কিছুই ছিল। বোলিংয়ের শুরু ও শেষ দুটোই ভালো হয়েছে। ফিল্ডিংও ভালো ছিল। তবে ব্যাটিং ধসই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে। আশা করি, পরের ম্যাচে এই ধরনের ধস আর হবে না।

 

ব্যক্তিগত লক্ষ্য প্রসঙ্গে তানজিদ বলেন, ‘প্রতিটি ম্যাচেই দলের জন্য অবদান রাখতে চাই। পরের ম্যাচটা আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। এখন আমাদের লক্ষ্য পরের ম্যাচে জিতেই সিরিজে টিকে থাকা।

 

তিন ম্যাচের সিরিজে প্রথম ম্যাচ হারের পর এখন বাকি দুই ম্যাচই বাঁচা-মরার লড়াই বাংলাদেশের জন্য। তানজিদ হাসান তামিমের মতো তরুণ ব্যাটারদের আত্মবিশ্বাস আর লড়াইয়ের মানসিকতা থাকলে সিরিজে ফিরে আসার স্বপ্ন দেখতেই পারে টাইগাররা।