ঢাকা ০৯:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫, ৭ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশঃ
 জরুরি সংবাদকর্মী আবশ্যক। আগ্রহীরা ইমেইল আবেদন করুনঃ chalonbilersomoy@gmail.com। চলনবিলের সময় এর সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। 

সাঁকো দিয়ে ব্রিজে উঠেন ১০ গ্রামের মানুষ

চলনবিলের সময় নিউজ ডেস্কঃ
  • আপডেট সময় : ১১:২৯:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ জুলাই ২০২৫ ৩২ বার পড়া হয়েছে
চলনবিলের সময় অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার সাধুরপাড়া ইউনিয়নের খেতারচর এলাকায় বাঁশের সাঁকো দিয়ে ব্রিজে উঠতে হয় ১০ গ্রামের হাজার হাজার পথচারীকে। গত ৯ বছর আগে বন্যায় ধসে গেছে ওই ব্রিজের এক পাশের সংযোগ সড়ক। এত বছর অতিবাহিত হলেও ওই ব্রিজের সংযোগ সড়কটি মেরামত করা হয়নি। ফলে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন হাজার হাজার পথচারী।

শিঙি ডোবা নদীর সংযোগ খালের উপর খেতারচর গ্রামের এই ব্রিজ পারাপারের জন্য বিকল্প পাটাতন দিয়ে তৈরি বাঁশের ওই সাঁকো দিয়েই ব্রিজে উঠে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে খানপাড়া, মোল্লা পাড়া, থাঠারু পাড়া, মসজিদ পাড়া, উত্তর ধাতুয়াকান্দা, দক্ষিণ ধাতুয়াকানদা, ঝালুরচর পশ্চিম পাড়াসহ ১০ গ্রামের হাজার হাজার মানুষ।

এই ব্রিজ পার হয়েই সাধুর পাড়া নজরুল ইসলাম উচ্চ বিদ্যালয়, আলহাজ কছর উদ্দিন দাখিল মাদ্রাসা, সাধুর পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দক্ষিণ ধাতুয়া কান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীসহ সাধারণ পথচারীদের সাধুর পাড়া ইউনিয়ন পরিষদ, সাধুর পাড়া উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে যাতায়াত করতে হয়।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ব্রিজটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। কোনো ধরনের যানবাহন চলাচল করতে পারে না। ব্রিজের একপাশে বন্যায় বেশির ভাগ অংশই ধসে ভেঙে পড়েছে। একটি বাঁশের সাঁকো দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে কোনো রকম পথচারীরা চলাচল করছে। এতে করে যে কোনো মুহূর্তে দুর্ঘটনার শিকার হতে পারে। যে কোনো সময় নড়বড়ে ওই বাঁশের সাঁকো ভেঙে দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে জনমনে। দিনের বেলায় পথচারীরা চলাচল করতে পারলেও রাতে চলাচল করতে খুবই অসুবিধা হচ্ছে। দীর্ঘদিন ব্রিজটির একপাশে মাটি না থাকায় ওই রাস্তা দিয়ে ভারি যানবাহন, চলাচল করতে পারছে না। ধাতুয়া কান্দা গ্রামের সাইফুল ইসলাম জানান, দীর্ঘ ৯ বছরেও এই ব্রিজের সংযোগ সড়কটি মেরামত না করা যথাযথ কর্তৃপক্ষের চরম অবহেলা। এ কারণে জনদুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে।

ওই রাস্তায় চলাচলকারী শিক্ষার্থী আশা মনি বলেন, পাটাতনের ওই সাঁকো দিয়ে ব্রিজে উঠতে খুবই ডর করে। তবুও ডর-ভয়কে জয় করেই প্রতিনিয়ত সেই পথেই স্কুলে যেতে হয়।

সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান কালবেলাকে জানান, এই ব্রিজের সংযোগ স্থাপনের জন্য উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে অবহিত করা হয়েছে। চলতি বছরই কাজটি বাস্তবায়ন হবে বলে আশা করছি।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান সুমন কালবেলাকে বলেন, জনগণ চলাচলের জন্য সেখানে টিআর প্রকল্পের মাধ্যমে বিকল্প সাঁকোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। চলতি বছরই এখানে বড় আকারের একটি ব্রিজ করার প্রস্তুতি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

সাঁকো দিয়ে ব্রিজে উঠেন ১০ গ্রামের মানুষ

আপডেট সময় : ১১:২৯:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ জুলাই ২০২৫

জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার সাধুরপাড়া ইউনিয়নের খেতারচর এলাকায় বাঁশের সাঁকো দিয়ে ব্রিজে উঠতে হয় ১০ গ্রামের হাজার হাজার পথচারীকে। গত ৯ বছর আগে বন্যায় ধসে গেছে ওই ব্রিজের এক পাশের সংযোগ সড়ক। এত বছর অতিবাহিত হলেও ওই ব্রিজের সংযোগ সড়কটি মেরামত করা হয়নি। ফলে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন হাজার হাজার পথচারী।

শিঙি ডোবা নদীর সংযোগ খালের উপর খেতারচর গ্রামের এই ব্রিজ পারাপারের জন্য বিকল্প পাটাতন দিয়ে তৈরি বাঁশের ওই সাঁকো দিয়েই ব্রিজে উঠে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে খানপাড়া, মোল্লা পাড়া, থাঠারু পাড়া, মসজিদ পাড়া, উত্তর ধাতুয়াকান্দা, দক্ষিণ ধাতুয়াকানদা, ঝালুরচর পশ্চিম পাড়াসহ ১০ গ্রামের হাজার হাজার মানুষ।

এই ব্রিজ পার হয়েই সাধুর পাড়া নজরুল ইসলাম উচ্চ বিদ্যালয়, আলহাজ কছর উদ্দিন দাখিল মাদ্রাসা, সাধুর পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দক্ষিণ ধাতুয়া কান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীসহ সাধারণ পথচারীদের সাধুর পাড়া ইউনিয়ন পরিষদ, সাধুর পাড়া উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে যাতায়াত করতে হয়।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ব্রিজটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। কোনো ধরনের যানবাহন চলাচল করতে পারে না। ব্রিজের একপাশে বন্যায় বেশির ভাগ অংশই ধসে ভেঙে পড়েছে। একটি বাঁশের সাঁকো দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে কোনো রকম পথচারীরা চলাচল করছে। এতে করে যে কোনো মুহূর্তে দুর্ঘটনার শিকার হতে পারে। যে কোনো সময় নড়বড়ে ওই বাঁশের সাঁকো ভেঙে দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে জনমনে। দিনের বেলায় পথচারীরা চলাচল করতে পারলেও রাতে চলাচল করতে খুবই অসুবিধা হচ্ছে। দীর্ঘদিন ব্রিজটির একপাশে মাটি না থাকায় ওই রাস্তা দিয়ে ভারি যানবাহন, চলাচল করতে পারছে না। ধাতুয়া কান্দা গ্রামের সাইফুল ইসলাম জানান, দীর্ঘ ৯ বছরেও এই ব্রিজের সংযোগ সড়কটি মেরামত না করা যথাযথ কর্তৃপক্ষের চরম অবহেলা। এ কারণে জনদুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে।

ওই রাস্তায় চলাচলকারী শিক্ষার্থী আশা মনি বলেন, পাটাতনের ওই সাঁকো দিয়ে ব্রিজে উঠতে খুবই ডর করে। তবুও ডর-ভয়কে জয় করেই প্রতিনিয়ত সেই পথেই স্কুলে যেতে হয়।

সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান কালবেলাকে জানান, এই ব্রিজের সংযোগ স্থাপনের জন্য উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে অবহিত করা হয়েছে। চলতি বছরই কাজটি বাস্তবায়ন হবে বলে আশা করছি।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান সুমন কালবেলাকে বলেন, জনগণ চলাচলের জন্য সেখানে টিআর প্রকল্পের মাধ্যমে বিকল্প সাঁকোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। চলতি বছরই এখানে বড় আকারের একটি ব্রিজ করার প্রস্তুতি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।