প্রিন্ট এর তারিখঃ জুলাই ২১, ২০২৫, ৩:৪২ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ জুলাই ৬, ২০২৫, ৯:২২ পি.এম
“যখন বাবা বৃদ্ধ হন…”

পৃথিবীতে একজন পুরুষের জীবনে সবচেয়ে আনন্দের মুহূর্তটি আসে তখন, যখন সে "বাবা" হয়ে ওঠে। সন্তানের প্রথম কান্না, প্রথম হাঁটা, প্রথম কথা—সবকিছু তার জীবনের শ্রেষ্ঠ অর্জন মনে হয়। সে নিজের স্বপ্ন বিসর্জন দিয়ে সন্তানের জন্য গড়ে তোলে ভবিষ্যতের প্রাসাদ। নিজের না খেয়ে খাওয়ায় সন্তানকে, রাত জেগে পাহারা দেয় জ্বরতপ্ত ছেলেমেয়েকে।
কিন্তু বড় হয়ে সেই সন্তান যখন নিজের ব্যস্ততায় ডুবে যায়, তখন কোথায় যেন হারিয়ে যায় সেই ‘বাবা’। বয়সের ভারে নুয়ে পড়া, মুখে ভাঁজ, হাতে কাঁপুনি নিয়ে যখন সেই বাবা কারো বাড়িতে কাজ করতে বাধ্য হন কিংবা ভিক্ষার ঝুলি কাঁধে নিয়ে রাস্তায় দাঁড়ান—তখন প্রশ্ন জাগে, এ কেমন সন্তান?
যে মানুষটা নিজের সব স্বপ্ন বিসর্জন দিয়ে আমাদের জন্য দিনরাত পরিশ্রম করেছেন, তার শেষ বয়সে একটু ভালোবাসা, যত্ন, নিরাপত্তা—এটাই কি তার প্রাপ্য নয়?
সমাজে আমরা অহরহ দেখি, বৃদ্ধ বাবা-মা অবহেলিত, অনাদৃত, একাকী। অথচ তাঁরাই ছিলেন জীবনের প্রথম শিক্ষক, প্রথম রক্ষাকর্তা।
আজ যদি আমরা প্রতিজ্ঞা করি—বৃদ্ধ বাবাকে অবহেলা করবো না, তাহলে এই পৃথিবীটা একটু সুন্দর, একটু মানবিক হবে।
একটি প্রশ্ন রেখেই শেষ করি:
বৃদ্ধ বাবা কি শুধুই একটা বোঝা?
নাকি তিনিই আমাদের জীবনের ছায়া, আমাদের শেকড়?
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ লুৎফর রহমান হীরা
ঢাকা অফিস: ১/জি,আদর্শ ছায়ানীড়,রিংরোড,শ্যামলী,আদাবর ঢাকা-১২০৭।
©2025 l চলনবিলের সময়