ঢাকা ০৮:২৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫, ৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশঃ
 জরুরি সংবাদকর্মী আবশ্যক। আগ্রহীরা ইমেইল আবেদন করুনঃ chalonbilersomoy@gmail.com। চলনবিলের সময় এর সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। 

চাটমোহর-মান্নাননগর আঞ্চলিক সড়কের উন্নয়ন এখন সময়ের দাবি

চলনবিলের সময়
  • আপডেট সময় : ১১:০০:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ জুলাই ২০২৫ ২৭ বার পড়া হয়েছে
চলনবিলের সময় অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

গত ৫ জুন’ত্রৈমাসিক চলনবিলের সময় ‘ পত্রিকায় প্রকাশিত “চাটমোহর-হান্ডিয়াল সড়কে প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে যানবাহন” শিরোনামের সংবাদে চাটমোহর-মান্নাননগর আঞ্চলিক সড়কের করুণ অবস্থার যে চিত্র উঠে এসেছে, তা উদ্বেগজনক এবং জনস্বার্থে তাৎক্ষণিক হস্তক্ষেপ দাবি করে।

এই গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি চাটমোহর থেকে মান্নাননগর মহাসড়ক পর্যন্ত প্রায় ১৮ কিলোমিটার দীর্ঘ, যার মধ্যে চাটমোহর জারদিস মোড় ব্রীজের দক্ষিণ পাশ থেকে শুরু হয়ে প্রায় ৮ কিলোমিটার সংস্কার কাজ শুরু হয়েছিল। কিন্তু সরকারের পরিবর্তনের পর থেকেই কার্যত স্থবির হয়ে পড়েছে কাজটি। ঠিকাদার গা ঢাকা দেওয়ায় বছরের পর বছর ধরে নির্মাণাধীন অবস্থায় পড়ে থাকা এই সড়কে সৃষ্টি হয়েছে শত শত গর্ত, পিচ উঠে গিয়ে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে রাস্তার বড় অংশ।

২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর এই সড়কটি পুনঃনির্মাণে কাজ শুরু হয়। এই পথে সিরাজগঞ্জ হয়ে ঢাকা যাতায়াতে সময় ও জ্বালানি খরচ কম হওয়ায় যানবাহনের চাপ বেড়েছিল। কিন্তু বর্তমানে হান্ডিয়াল থেকে চাটমোহরের নতুন বাজার পর্যন্ত রাস্তার অবস্থা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, গাড়ি চালকদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। ধুলা, কাদা ও অসংখ্য গর্তে ভরা এই সড়ক দিন দিন দুর্ঘটনার আশঙ্কা বাড়িয়ে দিচ্ছে।

অফিসিয়াল তথ্যমতে, গত অর্থবছরের জুলাই মাসে ১৬ কোটি ৪২ লাখ টাকা ব্যয়ে ১২.৫ কিলোমিটার সড়ক মেরামতের প্রকল্প শুরু হয়, যার নির্ধারিত মেয়াদ ছিল আট মাস। কিন্তু সরকার পতনের পর কাজ বন্ধ হয়ে যায়। চার মাস অতিবাহিত হলেও কেবল ১০ শতাংশ কাজই সম্পন্ন হয়েছে। এই ব্যর্থতা স্থানীয় জনগণ ও ব্যবহারকারীদের জন্য চরম দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এই সড়ক শুধু চাটমোহরের নয়, চলনবিল অঞ্চলের কৃষিনির্ভর মানুষদের জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চলনবিলের মাছ ও কৃষিপণ্য ঢাকা ও উত্তরবঙ্গে সরবরাহ হয় এই পথ ধরেই। তাই ব্যবসায়িক দিক দিয়েও এর গুরুত্ব অপরিসীম। বর্তমানে রাস্তার করুণ অবস্থার কারণে বড় ব্যবসায়ীরা এ পথ পরিহার করছেন, যা স্থানীয় অর্থনীতিতেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।

এই পরিস্থিতিতে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উচিত দ্রুত এই সড়কের অসম্পূর্ণ সংস্কারকাজ সম্পন্ন করা, দায়ী ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ এবং ভবিষ্যতে এমন পরিস্থিতি রোধে কার্যকর তদারকি নিশ্চিত করা।

জনগণের জীবন ও জীবিকার স্বার্থে চাটমোহর-মান্নাননগর ভায়া হান্ডিয়াল আঞ্চলিক সড়কের দ্রুত উন্নয়ন এখন সময়ের দাবি।

সম্পাদক ও প্রকাশক

চলনবিলের সময়

০৯/০৭/২০২৫

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

চাটমোহর-মান্নাননগর আঞ্চলিক সড়কের উন্নয়ন এখন সময়ের দাবি

আপডেট সময় : ১১:০০:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ জুলাই ২০২৫

গত ৫ জুন’ত্রৈমাসিক চলনবিলের সময় ‘ পত্রিকায় প্রকাশিত “চাটমোহর-হান্ডিয়াল সড়কে প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে যানবাহন” শিরোনামের সংবাদে চাটমোহর-মান্নাননগর আঞ্চলিক সড়কের করুণ অবস্থার যে চিত্র উঠে এসেছে, তা উদ্বেগজনক এবং জনস্বার্থে তাৎক্ষণিক হস্তক্ষেপ দাবি করে।

এই গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি চাটমোহর থেকে মান্নাননগর মহাসড়ক পর্যন্ত প্রায় ১৮ কিলোমিটার দীর্ঘ, যার মধ্যে চাটমোহর জারদিস মোড় ব্রীজের দক্ষিণ পাশ থেকে শুরু হয়ে প্রায় ৮ কিলোমিটার সংস্কার কাজ শুরু হয়েছিল। কিন্তু সরকারের পরিবর্তনের পর থেকেই কার্যত স্থবির হয়ে পড়েছে কাজটি। ঠিকাদার গা ঢাকা দেওয়ায় বছরের পর বছর ধরে নির্মাণাধীন অবস্থায় পড়ে থাকা এই সড়কে সৃষ্টি হয়েছে শত শত গর্ত, পিচ উঠে গিয়ে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে রাস্তার বড় অংশ।

২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর এই সড়কটি পুনঃনির্মাণে কাজ শুরু হয়। এই পথে সিরাজগঞ্জ হয়ে ঢাকা যাতায়াতে সময় ও জ্বালানি খরচ কম হওয়ায় যানবাহনের চাপ বেড়েছিল। কিন্তু বর্তমানে হান্ডিয়াল থেকে চাটমোহরের নতুন বাজার পর্যন্ত রাস্তার অবস্থা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, গাড়ি চালকদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। ধুলা, কাদা ও অসংখ্য গর্তে ভরা এই সড়ক দিন দিন দুর্ঘটনার আশঙ্কা বাড়িয়ে দিচ্ছে।

অফিসিয়াল তথ্যমতে, গত অর্থবছরের জুলাই মাসে ১৬ কোটি ৪২ লাখ টাকা ব্যয়ে ১২.৫ কিলোমিটার সড়ক মেরামতের প্রকল্প শুরু হয়, যার নির্ধারিত মেয়াদ ছিল আট মাস। কিন্তু সরকার পতনের পর কাজ বন্ধ হয়ে যায়। চার মাস অতিবাহিত হলেও কেবল ১০ শতাংশ কাজই সম্পন্ন হয়েছে। এই ব্যর্থতা স্থানীয় জনগণ ও ব্যবহারকারীদের জন্য চরম দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এই সড়ক শুধু চাটমোহরের নয়, চলনবিল অঞ্চলের কৃষিনির্ভর মানুষদের জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চলনবিলের মাছ ও কৃষিপণ্য ঢাকা ও উত্তরবঙ্গে সরবরাহ হয় এই পথ ধরেই। তাই ব্যবসায়িক দিক দিয়েও এর গুরুত্ব অপরিসীম। বর্তমানে রাস্তার করুণ অবস্থার কারণে বড় ব্যবসায়ীরা এ পথ পরিহার করছেন, যা স্থানীয় অর্থনীতিতেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।

এই পরিস্থিতিতে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উচিত দ্রুত এই সড়কের অসম্পূর্ণ সংস্কারকাজ সম্পন্ন করা, দায়ী ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ এবং ভবিষ্যতে এমন পরিস্থিতি রোধে কার্যকর তদারকি নিশ্চিত করা।

জনগণের জীবন ও জীবিকার স্বার্থে চাটমোহর-মান্নাননগর ভায়া হান্ডিয়াল আঞ্চলিক সড়কের দ্রুত উন্নয়ন এখন সময়ের দাবি।

সম্পাদক ও প্রকাশক

চলনবিলের সময়

০৯/০৭/২০২৫