ঢাকা ০৫:০৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫, ৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশঃ
 জরুরি সংবাদকর্মী আবশ্যক। আগ্রহীরা ইমেইল আবেদন করুনঃ chalonbilersomoy@gmail.com। চলনবিলের সময় এর সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। 

মামলা তুলে না নেওয়ায় ধর্ষিতার মাকে পিটিয়ে হত্যাচেষ্টা

গাইবান্ধা উপজেলা প্রতিনিধি,চলনবিলের সময়
  • আপডেট সময় : ০৬:২৮:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ জুলাই ২০২৫ ২১ বার পড়া হয়েছে
চলনবিলের সময় অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরে নাইম মিয়া (১৯) নামের যুবক এক তরুণীকে একাধিকবার ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওই তরুণী অন্তঃসত্ত্বা হলে কৌশলে গর্ভপাত ঘটিয়েছে ধর্ষক ও তার পরিবার। এ নিয়ে ধর্ষিতার মা বাদী হয়ে মামলা করেন।

এতে ক্ষুব্ধ হয়ে এই বাদীকে রাস্তা থেকে তুলে বাড়ির ভেতর নিয়ে পিটিয়ে হত্যার চেষ্টা করেছে ধর্ষকের পিতা শহিদ মিয়া ও তার লোকজন। এদিকে বাড়িতে হামলাসহ ডাকাতির চেষ্টার নাটক সাজিয়ে শহিদ মিয়া মামলা করার পাঁয়তারা করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

বুধবার (৯ জুলাই) বিকেল পর্যন্ত মারধরের শিকার ধর্ষিতার মাকে সাদুল্লাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন দেখা গেছে।

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার (৮ জুলাই) রাত ৯টার দিকে পূর্বপরিকল্পিতভাবে শহিদ মিয়া দলবদ্ধ হয়ে জয়েনপুর রাস্তা থেকে ধর্ষিতার মা ও দুলাভাই বেলাল মিয়াকে বাড়ির ভেতর নিয়ে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত হন। এ সময় শহিদ মিয়া ও তার লোকজন পুলিশের ওপর উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। এরই মধ্যে মারধরের শিকার নারীকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে পুলিশ। এছাড়া বেলাল মিয়াকে ভর্তি করান স্বজনরা।

এসব তথ্য নিশ্চিত করে ভুক্তভোগী নারী বলেন, আমার মেয়েকে ধর্ষণ-গর্ভপাত মামলার জেরে শহিদ মিয়ারা আমাদের রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে মারধর করে হত্যার চেষ্টা করেছে। এরপর নিজেরাই তাদের আলমারি ভেঙে নাটক সাজিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করার কূটকৌশল করছে। এর আগেও আমার বৃদ্ধ বাবাকে মারধর করেছে তারা। এসব ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।

এ বিষয়ে সাদুল্লাপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক মাহমুদ হাসান কালবেলাকে বলেন, শহিদ মিয়ার বাড়িতে মারধরের ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়। সেখান থেকে ভুক্তভোগী নারীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, সাদুল্লাপুর উপজেলার বনগ্রাম ইউনিয়নের জয়েনপুর গ্রামের শহিদ মিয়ার ছেলে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একই গ্রামের এক তরুণীকে বিভিন্ন সময়ে ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় ওই তরুণী অন্তঃসত্ত্বা হয়। পরে কৌশলে গর্ভপাত ঘটিয়েছে ধর্ষক নাইম মিয়া ও তার সহযোগীরা। এ বিষয়ে গত ২৭ মে সাদুল্লাপুর থানায় মামলা করেন ধর্ষিতার মা। এদিকে এই মামলা তুলে নেওয়ার জন্য ও বাদী পরিবারকে ফাঁসানোর জন্য নাটকীয় কৌশল অবলম্বন করছে শহিদ মিয়া। এই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ৮ জুলাই রাতে বাদী ও তার আত্মীয় বেলালকে পিটিয়ে হত্যার চেষ্টা করে উল্টো তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করার পাঁয়তারা করছে শহিদ মিয়া।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

মামলা তুলে না নেওয়ায় ধর্ষিতার মাকে পিটিয়ে হত্যাচেষ্টা

আপডেট সময় : ০৬:২৮:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ জুলাই ২০২৫

গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরে নাইম মিয়া (১৯) নামের যুবক এক তরুণীকে একাধিকবার ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওই তরুণী অন্তঃসত্ত্বা হলে কৌশলে গর্ভপাত ঘটিয়েছে ধর্ষক ও তার পরিবার। এ নিয়ে ধর্ষিতার মা বাদী হয়ে মামলা করেন।

এতে ক্ষুব্ধ হয়ে এই বাদীকে রাস্তা থেকে তুলে বাড়ির ভেতর নিয়ে পিটিয়ে হত্যার চেষ্টা করেছে ধর্ষকের পিতা শহিদ মিয়া ও তার লোকজন। এদিকে বাড়িতে হামলাসহ ডাকাতির চেষ্টার নাটক সাজিয়ে শহিদ মিয়া মামলা করার পাঁয়তারা করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

বুধবার (৯ জুলাই) বিকেল পর্যন্ত মারধরের শিকার ধর্ষিতার মাকে সাদুল্লাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন দেখা গেছে।

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার (৮ জুলাই) রাত ৯টার দিকে পূর্বপরিকল্পিতভাবে শহিদ মিয়া দলবদ্ধ হয়ে জয়েনপুর রাস্তা থেকে ধর্ষিতার মা ও দুলাভাই বেলাল মিয়াকে বাড়ির ভেতর নিয়ে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত হন। এ সময় শহিদ মিয়া ও তার লোকজন পুলিশের ওপর উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। এরই মধ্যে মারধরের শিকার নারীকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে পুলিশ। এছাড়া বেলাল মিয়াকে ভর্তি করান স্বজনরা।

এসব তথ্য নিশ্চিত করে ভুক্তভোগী নারী বলেন, আমার মেয়েকে ধর্ষণ-গর্ভপাত মামলার জেরে শহিদ মিয়ারা আমাদের রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে মারধর করে হত্যার চেষ্টা করেছে। এরপর নিজেরাই তাদের আলমারি ভেঙে নাটক সাজিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করার কূটকৌশল করছে। এর আগেও আমার বৃদ্ধ বাবাকে মারধর করেছে তারা। এসব ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।

এ বিষয়ে সাদুল্লাপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক মাহমুদ হাসান কালবেলাকে বলেন, শহিদ মিয়ার বাড়িতে মারধরের ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়। সেখান থেকে ভুক্তভোগী নারীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, সাদুল্লাপুর উপজেলার বনগ্রাম ইউনিয়নের জয়েনপুর গ্রামের শহিদ মিয়ার ছেলে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একই গ্রামের এক তরুণীকে বিভিন্ন সময়ে ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় ওই তরুণী অন্তঃসত্ত্বা হয়। পরে কৌশলে গর্ভপাত ঘটিয়েছে ধর্ষক নাইম মিয়া ও তার সহযোগীরা। এ বিষয়ে গত ২৭ মে সাদুল্লাপুর থানায় মামলা করেন ধর্ষিতার মা। এদিকে এই মামলা তুলে নেওয়ার জন্য ও বাদী পরিবারকে ফাঁসানোর জন্য নাটকীয় কৌশল অবলম্বন করছে শহিদ মিয়া। এই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ৮ জুলাই রাতে বাদী ও তার আত্মীয় বেলালকে পিটিয়ে হত্যার চেষ্টা করে উল্টো তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করার পাঁয়তারা করছে শহিদ মিয়া।