ঢাকা ০৫:০৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশঃ
 জরুরি সংবাদকর্মী আবশ্যক। আগ্রহীরা ইমেইল আবেদন করুনঃ chalonbilersomoy@gmail.com। চলনবিলের সময় এর সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। 

ইসলামে আত্মহত্যার শাস্তি ভয়াবহ

চলনবিলের সময় নিউজ ডেস্কঃ
  • আপডেট সময় : ০৯:৩২:৪৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫ ৫২ বার পড়া হয়েছে
চলনবিলের সময় অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আত্মহত্যা মানে নিজকে নিজেই ধ্বংস করা। নিজ আত্মাকে চরম যন্ত্রণা ও কষ্ট দেওয়া। নিজ হাতে নিজের জীবনের সব কর্মকাণ্ডের পরিসমাপ্তি ঘটানোর নামই আত্মহত্যা। ইসলামে আত্মহত্যার ভয়াবহ পরিণাম ইসলামী দৃষ্টিকোণে আত্মহত্যা একটি জঘন্যতম মহাপাপ।

মহান আল্লাহ মানুষকে মরণশীল করে সৃষ্টি করেছেন। তিনিই মানুষের জীবন দিয়েছেন, তিনিই মৃত্যু দেবেন। কিন্তু আত্মহত্যার ক্ষেত্রে বান্দা স্বাভাবিক মৃত্যুকে উপেক্ষা করে মৃত্যুকে নিজের হাতে নিয়ে নিজেই নিজেকে হত্যা করে ফেলে। এ কারণে এটি একটি গর্হিত কাজ।

পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেন,

তোমরা আত্মহত্যা করো না। নিঃসন্দেহে আল্লাহ তোমাদের প্রতি দয়ালু। (সুরা নিসা, আয়াত: ২৯)

মহানবী হজরত মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আত্মহত্যা করার ভয়াবহ শাস্তি উল্লেখ করে বলেন,

যে ব্যক্তি পাহাড়ের ওপর থেকে লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করে, সে জাহান্নামের আগুনে পুড়বে, চিরদিন সে জাহান্নামের মধ্যে অনুরূপভাবে লাফিয়ে পড়তে থাকবে। যে ব্যক্তি বিষপান করে আত্মহত্যা করবে, জাহান্নামে বিষ তার হাতে থাকবে, সে বিষ বারবার সে পান করতে থাকবে। আর কষ্ট পেতেই থাকবে। চিরকাল সে জাহান্নামের মধ্যে তা পান করতে থাকবে, যে ব্যক্তি লোহার আঘাতে আত্মহত্যা করবে, সে জাহান্নামের মধ্যে লোহা তার হাতে থাকবে, চিরকাল সে তার মাধ্যমে নিজের পেটে আঘাত করতে থাকবে। (বুখারি: ৫৪৪২; নাসায়ি: ১৯৬৪)

বিখ্যাত সাহাবি হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

যে ব্যক্তি ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করবে, সে জাহান্নামে (অনুরূপভাবে) নিজেকে ফাঁস লাগাতে থাকবে আর যে ব্যক্তি বর্শার আঘাতে আত্মহত্যা করবে, সে জাহান্নাম (অনুরূপভাবে) বর্শায় বিঁধতে থাকবে। (বুখারি: ১৩৬৫)

হজরত আনাস (রা.)-এর বরাতে এক হাদিস থেকে জানা যায় রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন,

তোমাদের কেউ যেন কোনো বিপদে পতিত হয়ে মৃত্যু কামনা না করে। মৃত্যু যদি তাকে প্রত্যাশা করতেই হয় তবে সে যেন বলে, ‘হে আল্লাহ, আমাকে সে অবধি জীবিত রাখুন, যতক্ষণ আমার জীবনটা হয় আমার জন্য কল্যাণকর। আর আমাকে তখনই মৃত্যু দিন যখন মৃত্যুই হয় আমার জন্য শ্রেয়।(বুখারি, হাদিস: ৫,৬৭১)

আত্মহত্যা করা কখনোই সমাধান হতে পারে না। সবচেয়ে খারাপ জীবনের পরিস্থিতিযুক্ত ব্যক্তিরা হতাশার বাইরে প্রতিদিন শ্বাস নিতে লড়াই করে বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখে। এক জন ব্যক্তি হাজারো চেষ্টা করেও অন্য কারোর মতো হতে পারবেন না। তাই সবচেয়ে ভালো নিজের মতো হয়ে ওঠার সাধনা করা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ইসলামে আত্মহত্যার শাস্তি ভয়াবহ

আপডেট সময় : ০৯:৩২:৪৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫

আত্মহত্যা মানে নিজকে নিজেই ধ্বংস করা। নিজ আত্মাকে চরম যন্ত্রণা ও কষ্ট দেওয়া। নিজ হাতে নিজের জীবনের সব কর্মকাণ্ডের পরিসমাপ্তি ঘটানোর নামই আত্মহত্যা। ইসলামে আত্মহত্যার ভয়াবহ পরিণাম ইসলামী দৃষ্টিকোণে আত্মহত্যা একটি জঘন্যতম মহাপাপ।

মহান আল্লাহ মানুষকে মরণশীল করে সৃষ্টি করেছেন। তিনিই মানুষের জীবন দিয়েছেন, তিনিই মৃত্যু দেবেন। কিন্তু আত্মহত্যার ক্ষেত্রে বান্দা স্বাভাবিক মৃত্যুকে উপেক্ষা করে মৃত্যুকে নিজের হাতে নিয়ে নিজেই নিজেকে হত্যা করে ফেলে। এ কারণে এটি একটি গর্হিত কাজ।

পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেন,

তোমরা আত্মহত্যা করো না। নিঃসন্দেহে আল্লাহ তোমাদের প্রতি দয়ালু। (সুরা নিসা, আয়াত: ২৯)

মহানবী হজরত মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আত্মহত্যা করার ভয়াবহ শাস্তি উল্লেখ করে বলেন,

যে ব্যক্তি পাহাড়ের ওপর থেকে লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করে, সে জাহান্নামের আগুনে পুড়বে, চিরদিন সে জাহান্নামের মধ্যে অনুরূপভাবে লাফিয়ে পড়তে থাকবে। যে ব্যক্তি বিষপান করে আত্মহত্যা করবে, জাহান্নামে বিষ তার হাতে থাকবে, সে বিষ বারবার সে পান করতে থাকবে। আর কষ্ট পেতেই থাকবে। চিরকাল সে জাহান্নামের মধ্যে তা পান করতে থাকবে, যে ব্যক্তি লোহার আঘাতে আত্মহত্যা করবে, সে জাহান্নামের মধ্যে লোহা তার হাতে থাকবে, চিরকাল সে তার মাধ্যমে নিজের পেটে আঘাত করতে থাকবে। (বুখারি: ৫৪৪২; নাসায়ি: ১৯৬৪)

বিখ্যাত সাহাবি হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

যে ব্যক্তি ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করবে, সে জাহান্নামে (অনুরূপভাবে) নিজেকে ফাঁস লাগাতে থাকবে আর যে ব্যক্তি বর্শার আঘাতে আত্মহত্যা করবে, সে জাহান্নাম (অনুরূপভাবে) বর্শায় বিঁধতে থাকবে। (বুখারি: ১৩৬৫)

হজরত আনাস (রা.)-এর বরাতে এক হাদিস থেকে জানা যায় রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন,

তোমাদের কেউ যেন কোনো বিপদে পতিত হয়ে মৃত্যু কামনা না করে। মৃত্যু যদি তাকে প্রত্যাশা করতেই হয় তবে সে যেন বলে, ‘হে আল্লাহ, আমাকে সে অবধি জীবিত রাখুন, যতক্ষণ আমার জীবনটা হয় আমার জন্য কল্যাণকর। আর আমাকে তখনই মৃত্যু দিন যখন মৃত্যুই হয় আমার জন্য শ্রেয়।(বুখারি, হাদিস: ৫,৬৭১)

আত্মহত্যা করা কখনোই সমাধান হতে পারে না। সবচেয়ে খারাপ জীবনের পরিস্থিতিযুক্ত ব্যক্তিরা হতাশার বাইরে প্রতিদিন শ্বাস নিতে লড়াই করে বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখে। এক জন ব্যক্তি হাজারো চেষ্টা করেও অন্য কারোর মতো হতে পারবেন না। তাই সবচেয়ে ভালো নিজের মতো হয়ে ওঠার সাধনা করা।