ঢাকা ০৩:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫, ৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মেধাভিত্তিক দেশ গঠনে শিক্ষা অপরিহার্য: ব্যারিস্টার অসীম Logo রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পাচ্ছেন মাদ্রাসাশিক্ষার্থীরা Logo জুলাই যোদ্ধাদের জন্য চাকরিতে কোটা থাকছে না : মুক্তিযুদ্ধ উপদেষ্টা Logo ৮ দফা দাবিতে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে তালা ঝুলিয়ে অবস্থান ধর্মঘট করেছেন শিক্ষার্থীরা Logo বিআরটিএ পাবনা সার্কেলের অভিযানে ১২ টি মামলা ও ২৯ হাজার টাকা জরিমানা Logo পদ্মার ভাঙনে সুজানগরের মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাচ্ছে শ শ বাড়ীঘর ও ফসলী জমি Logo ৭ম জন্মদিনে স্বপ্নকে শাজাহানপুর প্রেসক্লাবের উষ্ণ অভিনন্দন! Logo টাইগারদের দাপুটে বোলিংয়ে বিধ্বস্ত পাক ব্যাটাররা, মামুলি লক্ষ্য বাংলাদেশের Logo মধ্যরাতে মদ্যপ অবস্থায় নোবেলের মারামারি, অতঃপর… Logo হাতে পবিত্র কোরআন লিখলেন ৯ বছরের শিশু
নোটিশঃ
 জরুরি সংবাদকর্মী আবশ্যক। আগ্রহীরা ইমেইল আবেদন করুনঃ chalonbilersomoy@gmail.com। চলনবিলের সময় এর সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। 

‘সবাই বিবাহিত হওয়ায় পরীক্ষায় ফেল করেছে’

পিরোজপুর প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৩:০৬:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫ ৬৮ বার পড়া হয়েছে
চলনবিলের সময় অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষায় পিরোজপুরের দুটি বিদ্যালয়ের পাস করতে পারেনি কোনো শিক্ষার্থী। বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) চলতি বছরের ফলে এ তথ্য জানা যায়।

‎বিদ্যালয় দুটি হলো—পিরোজপুর সদর উপজেলার জুজখোলা সম্মিলিত মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় এবং ভান্ডারিয়া উপজেলার মধ্য চড়াইল মাধ্যমিক বিদ্যালয়।

‎জানা যায়, প্রতিষ্ঠান দুটি এমপিওভুক্ত হওয়ার পরও এবং ১০ জন শিক্ষক থাকা সত্ত্বেও তাদের অবহেলায় থেমে গেছে পড়ালেখার মান। অভিযোগ রয়েছে, জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় শিক্ষা কর্মকর্তাদের কোনো তদারকি নেই।

‎সদর উপজেলার জুজখোলা সম্মিলনী বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক উত্তম হালদার বলেন, আমাদের প্রতিষ্ঠান থেকে এবারে ১২ জনের রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করেছিলাম। তার মধ্যে ৫ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে এবং সবাই ফেল করেছে। আমাদের সব ছাত্রী বিবাহিত হওয়ায় ঠিকমতো ক্লাসে আসেনি। তাই লেখাপড়া করতে পারেনি। এ কারণেই সম্ভবত এমন হয়েছে।

‎সদর উপজেলার সিকদার মল্লিক ইউনিয়নের বাসিন্দা সুমন বলেন, আমার দুই বোন জুজখোলা সম্মিলনী বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী। আগামী বছর এসএসসি পরীক্ষা দেবে। কিন্তু বিদ্যালয়ের অবকাঠামো খুবই অনুন্নত। ক্লাসে বসলে বৃষ্টির সময় পানি পড়ে। অধিকাংশ সময়ই ক্লাস হয় না। এ বছর বিদ্যালয়ের ফল খুবই খারাপ হয়েছে। আমাদের দাবি, শিক্ষকরা ছাত্রীদের পড়াশোনার প্রতি আরও মনোযোগী হবেন। যাতে আগামী বছর এই বিদ্যালয়ের ফল ভালো হয়।

‎ভান্ডারিয়া উপজেলার মধ্য চড়াইল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন বলেন, এ বছরে আমাদের স্কুল থেকে ৭ জন রেজিস্ট্রেশন করেছিল। এর মধ্যে ৪ জন নিয়মিত এবং ১ জন অনিয়মিতভাবে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে। গ্রাম পর্যায়ের স্কুল হওয়ায় সবাই নিয়মিত ক্লাস করে না। তারা বাসায়ও ঠিকমতো পড়াশোনা করে না। যার ফলে উত্তীর্ণ হতে পারেনি।

‎এ বিষয়ে পিরোজপুর জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. ইদ্রিস আলী আযিযী বলেন, এ বিষয়ে আমরা কোনো তথ্য এখনো পাইনি। খোঁজ নিয়ে পরে বলতে পারব। ‎

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

‘সবাই বিবাহিত হওয়ায় পরীক্ষায় ফেল করেছে’

আপডেট সময় : ০৩:০৬:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫

মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষায় পিরোজপুরের দুটি বিদ্যালয়ের পাস করতে পারেনি কোনো শিক্ষার্থী। বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) চলতি বছরের ফলে এ তথ্য জানা যায়।

‎বিদ্যালয় দুটি হলো—পিরোজপুর সদর উপজেলার জুজখোলা সম্মিলিত মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় এবং ভান্ডারিয়া উপজেলার মধ্য চড়াইল মাধ্যমিক বিদ্যালয়।

‎জানা যায়, প্রতিষ্ঠান দুটি এমপিওভুক্ত হওয়ার পরও এবং ১০ জন শিক্ষক থাকা সত্ত্বেও তাদের অবহেলায় থেমে গেছে পড়ালেখার মান। অভিযোগ রয়েছে, জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় শিক্ষা কর্মকর্তাদের কোনো তদারকি নেই।

‎সদর উপজেলার জুজখোলা সম্মিলনী বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক উত্তম হালদার বলেন, আমাদের প্রতিষ্ঠান থেকে এবারে ১২ জনের রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করেছিলাম। তার মধ্যে ৫ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে এবং সবাই ফেল করেছে। আমাদের সব ছাত্রী বিবাহিত হওয়ায় ঠিকমতো ক্লাসে আসেনি। তাই লেখাপড়া করতে পারেনি। এ কারণেই সম্ভবত এমন হয়েছে।

‎সদর উপজেলার সিকদার মল্লিক ইউনিয়নের বাসিন্দা সুমন বলেন, আমার দুই বোন জুজখোলা সম্মিলনী বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী। আগামী বছর এসএসসি পরীক্ষা দেবে। কিন্তু বিদ্যালয়ের অবকাঠামো খুবই অনুন্নত। ক্লাসে বসলে বৃষ্টির সময় পানি পড়ে। অধিকাংশ সময়ই ক্লাস হয় না। এ বছর বিদ্যালয়ের ফল খুবই খারাপ হয়েছে। আমাদের দাবি, শিক্ষকরা ছাত্রীদের পড়াশোনার প্রতি আরও মনোযোগী হবেন। যাতে আগামী বছর এই বিদ্যালয়ের ফল ভালো হয়।

‎ভান্ডারিয়া উপজেলার মধ্য চড়াইল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন বলেন, এ বছরে আমাদের স্কুল থেকে ৭ জন রেজিস্ট্রেশন করেছিল। এর মধ্যে ৪ জন নিয়মিত এবং ১ জন অনিয়মিতভাবে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে। গ্রাম পর্যায়ের স্কুল হওয়ায় সবাই নিয়মিত ক্লাস করে না। তারা বাসায়ও ঠিকমতো পড়াশোনা করে না। যার ফলে উত্তীর্ণ হতে পারেনি।

‎এ বিষয়ে পিরোজপুর জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. ইদ্রিস আলী আযিযী বলেন, এ বিষয়ে আমরা কোনো তথ্য এখনো পাইনি। খোঁজ নিয়ে পরে বলতে পারব। ‎